1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

পদ্মা সেতুর তিন স্টেশন আধুনিকায়নে সিবিআই সিগন্যালিং সিস্টেম চালু

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৩

পদ্মা সেতু ঘিরে নতুন রেল নেটওয়ার্কে অত্যাধুনিক সিবিআই সিগন্যালিং সিস্টেম তিনটি স্টেশনে চালু হয়েছে। সেন্ট্রাল ট্রাফিক কন্ট্রোল-সিটিসি যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেললাইনের ২০টি রেল স্টেশনেরও সার্বিক মনিটরিং হবে। প্রথম পর্যায়ে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত এই নেটওয়ার্ক চালু প্রক্রিয়াধীন। তবে সবার আগে মাওয়া স্টেশন, পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের পদ্মা স্টেশন এবং মাদারীপুরের শিবচর স্টেশনের সিবিআই সিস্টেম চালু করা হলো। এটি চালুর পর সোমবার এই রুটে রেল চলাচল করে।

আগামী ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা-ভাঙ্গা রেল পথের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের দিন এই তিনটি স্টেশনই অতিক্রম করবেন।

এই সিগন্যালিং সিস্টেমে ট্রেন চলাচলে সময় অপচয়রোধ হবে আর ট্রেন দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকবে না। এদিকে মাওয়া-ভাঙ্গা ৪২ কিলোমিটার রেলপথের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেওয়ার জন্য কাল বুধবার (৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ রেলওয়ের গভর্মেন্ট ইন্সপেক্টর আসছেন। পুরো রেলপথ পরিদর্শন করার পর তিনি আনুষ্ঠানিক এই পথে রেল চলাচলের সার্টিফিকেট দিবেন।

স্বপ্নজয়ের পদ্মা সেতুতে রেলপথ উদ্বোধনের বাকি সপ্তাহ। সেতুর দুই পাড় ঘিরে নতুন রেল নেটওয়ার্কে ঘিরে এই অত্যাধুনিক সিবিআই সিগন্যালিং সিস্টেম চালুতে খুশি প্রকল্প সংশ্লিষ্টরাও। প্রথম ধাপে সেতুর মুন্সীগঞ্জ প্রান্তের মাওয়া স্টেশন, শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের পদ্মা স্টেশন এবং মাদারীপুরের শীবচর স্টেশনে চালু হলেও ধাপে ধাপে অন্য স্টেশনগুলোতেও চালু হবে।

ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ২০টি রেল স্টেশন রয়েছে। এরমধ্যে নতুন ১৪টি এবং পুরনো ৬টিকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। এই পথের সব স্টেশনই অত্যাধুনিক সিগন্যালিং সিস্টেমের আওতায় আনা হচ্ছে।

এই সিস্টেম চালুর পর প্রায় প্রতিদিন এখন চালানো হচ্ছে ট্রেন। নিরাপত্তা কর্মীরাও ট্রেনে চড়ে সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করছেন। প্রধানমন্ত্রীর ট্রেন পথের মাওয়া-ভাঙ্গা জংশন এই ৩৮ কিলোমিটার পথে বিশেষ ব্যস্ততা এখন সংশ্লিষ্টদের।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প ইলেকট্রনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মো. মনোয়ারুল হাসান বলেন, এই পদ্ধতি চালু হওয়ায় সয়ংক্রিয়ভাবে জানা যাবে ট্রেন কোথায় রয়েছে।

সিনিয়র ইলেকট্রনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার প্রদীপ কুমার সাহা বলেন, কোনো ট্রেনকে ভুল সিগন্যাল দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ কম্পিটার ভুল সিগনাল গ্রহণই করবে না। স্টেশন এলাকায় ৪ থেকে ৩০ কোরের কপার ক্যাবল ব্যবহার করা হয়েছে এবং ১০ থেকে ১৫ ভোল্ট বিদ্যুৎ সঞ্চালন রাখা হয়েছে রেললাইনে।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক-১ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ বলেন, এই সিগন্যাল টেলিকম সিস্টেম দুর্ঘটনামুক্ত আধুনিক রেল নেটওয়ার্কের প্রতীক। কোনভাবে টেলিকমিউনিকেশন কাটা পড়লে, তা কোন দূরত্বে বা কোথায় হয়েছে সেই বার্তা দেবে কন্ট্রোল রুমে।

শক্তিশালী ডাবল রিং নেটওয়ার্কে পুরো ট্রেনপথ জুড়ে ৪৮ কোরের দুটি করে ফাইবার রাখা হয়েছে। প্রতিটি স্টেশনের উভয় দিকে মিলে সিগন্যালিং ট্র্যাকিং সিস্টেম তিন কিলোমিটার এবং ভাঙ্গা জংশনে চার কিলোমিটার বিস্তৃত।

সহকারী সিগন্যাল এন্ড টেলিকমিউনিকেশন্স ইঞ্জিনিয়ার শ্যামবন্ধু মন্ডল বলেন, দেশের দ্রুতগতির আধুনিক রেল নেটওয়ার্কের কেন্দ্রবিন্দু হতে চলছে পদ্মা সেতু। ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত লুপ লাইনসহ ২১৫ কিলোমিটার কম্পিউটার বেজড ইন্টারলকিং-সিবিআই সিস্টেমে যুক্ত। অটোমেটিক ফল্ট ডিটেকশন সিস্টেমে দেশে প্রথমবারের মতো রেল চলাচল করবে এই লাইনে। তাই ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেললাইন জুড়ে স্থাপন করা হয়েছে ৪৮ কোরের দুটি করে অপটিকাল ফাইবার।

প্রকৌশলী ইউসুফ আলী বলেন, পদ্মা সেতু কেন্দ্রিক এই রেল লাইন বিশ্বমানের। দেশের রেল নেটওয়ার্কের বিস্ময়কর। স্মার্ট বাংলাদেশের গড়ার ক্ষেত্রে এই রেল নেটওয়ার্ক বড় দৃষ্টান্ত। এই সিগন্যাল টেলিকম সিস্টেম দেশের রেল নেটওয়ার্ককে বিশেষ উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে মত প্রকল্প পরিচালকের। দ্রুতগতির ট্রেনের আধুনিক সিগনাল ব্যবস্থা ছাড়াও যাত্রী সেবার মানও বাড়ানো হচ্ছে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ