1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

পদ্মা রেলসংযোগ: ঘুরে দাঁড়াবে দক্ষিনাঞ্চলের অর্থনীতি

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৩

গত বছরের ২৫ জুন বহুলপ্রত্যাশিত পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ একটি ব্যতিক্রমী মাইলফলক অর্জন করে। মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা রেলসেতু উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের আরেকটি দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হলো।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই সেতু আত্মমর্যাদার একটি মাইলফলকের পাশাপাশি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে।

২০০৮ সালে দিনবদলের সনদ রূপকল্প ২০২১-এ দেশের যোগাযোগ খাতে অগ্রগতির যে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশ শাসনের ভার নিয়েছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, দেড় দশকের বহুমাত্রিক কর্মযজ্ঞে দেশের বাকি অঞ্চলের মতো সেসবের বাস্তব প্রতিফলন দেখা গেছে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলেও। স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে রেল যোগাযোগ সে অগ্রযাত্রায় আরও এক ধাপ অগ্রগতি।

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার ফলে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ বড় বড় শহরের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। এখন রেল উদ্বোধনের মাধ্যমে সেই পালে ‍যুক্ত হলো নতুন হাওয়া। বিশ্বব্যাংকের মতে, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এর সুফল ভোগ করবে।

পদ্মা সেতু হয়ে দেশের দক্ষিণের পথে নতুন রেলপথটি ঢাকার গেণ্ডারিয়া, কেরানীগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ থেকে পদ্মা সেতু হয়ে মাদারীপুর ও ফরিদপুর গেছে। আগামী বছর এ রেলপথের বাকি অংশ ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত চালুর লক্ষ্য রয়েছে সরকারের।

এরইমধ্যে পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় বৈচিত্র্য এসেছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবহন, পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতে। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে একদিকে যেমন দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর সরাসরি যোগসূত্র তৈরি হয়েছে, তেমনি এ সেতু ঘিরে দক্ষিণাঞ্চলে নতুন নতুন শিল্পকারখানা গড়ে উঠছে। সৃষ্টি হচ্ছে কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ।

রেলপথের অগ্রগতি

মূলত পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চালাতে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার নতুন রেলট্র্যাক নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। অর্ধযুগেরও বেশি সময় ধরে নির্মাণের পর এ প্রকল্প এখন বাস্তব। সুপ্রশস্ত পিচঢালা পথের পাশেই ব্র্যান্ড নিউ রেলট্র্যাক তৈরি করেছে অভূতপূর্ব দৃশ্যপটের।

নতুন এ লাইনটিকে দেশের সবচেয়ে আধুনিক রেলট্র্যাক বলছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, প্রথাগত লাইনের পাশাপাশি এখানে স্থাপন করা হয়েছে পাথরবিহীন ট্র্যাক, যা ভ্রমণ আরামদায়ক এবং নিরাপদ করবে। আশা করা হচ্ছে, পুরোপুরি বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হলে এই ট্র্যাকে অন্তত ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারবে ট্রেন।

তিন অংশে ভাগ করে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রথম অংশ ঢাকা-মাওয়ার দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৮ কিলোমিটার। এই অংশে কেরানীগঞ্জে একটি নতুন স্টেশন তৈরি হচ্ছে। মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৩ কিলোমিটার। এই অংশে নতুন স্টেশন ভবন রয়েছে পাঁচটি। এই দুই অংশ মঙ্গলবার উদ্বোধন হয়েছে। প্রকল্পের শেষ অংশ ভাঙ্গা থেকে যশোর। এই অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ৮৩ কিলোমিটার। স্টেশনের সংখ্যা ১৪। প্রকল্পের মেয়াদ অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত পুরো রেলপথটি চালুর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

নতুন এ রেলপথে রয়েছে ২০টি স্টেশন। এর মধ্যে নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে ১৬টি স্টেশন এবং আগে থেকে রয়েছে ৪টি। এ ছাড়াও এসব স্টেশন আধুনিক টেলিযোগাযোগসহ থাকবে সিবিআই সিস্টেমের সিগন্যালিং ব্যবস্থা।

এদিকে খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্পের কাজ এখন অনেকটাই শেষের পথে। এরই মধ্যে প্রকল্পের ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ৯১ কিলোমিটারের এ রেললাইনের মধ্যে ৮৬ কিলোমিটার বসানো হয়েছে। এছাড়া ১১টি প্ল্যাটফর্ম, ১০৭টি কালভার্ট, ৩১টি ছোট ব্রিজ ও ৯টি আন্ডারপাসের সব কটিই নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এরইমধ্যে গত জানুয়ারিতে প্রকল্পের ফুলতলা অংশে পরীক্ষামূলকভাবে চলেছে ট্রেন। শেষ পর্যায়ে বিভিন্ন স্থানে রেলপথের ফিনিশিং এবং সিগন্যালিং ও টেলিকমিউনিকেশনের কাজ চলছে।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এই পথে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করলেও ঢাকা থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে আগামী ১ নভেম্বর থেকে। পদ্মা সেতু দিয়ে যেসব ট্রেন চলবে তার মধ্যে রয়েছে খুলনা-ঢাকা রুটের দুটি আন্তঃনগর ট্রেন–সুন্দরবন ও চিত্রা, ঢাকা-বেনাপোল রুটের বেনাপোল এক্সপ্রেস বর্তমান রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় চলাচল করবে।

পাশাপাশি রাজশাহী থেকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পর্যন্ত চলাচলকারী মধুমতী এক্সপ্রেস ট্রেনটির যাত্রাপথ বাড়বে। সেদিন থেকে এই ট্রেনটি চলবে রাজশাহী থেকে ঢাকা পর্যন্ত।

এই রুট চালুর পর মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও নড়াইল জেলা রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হবে। এছাড়া ভাঙ্গা-পাচুরিয়া-রাজবাড়ী সেকশনও পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হবে।

বছরে যত যাত্রী ও মালামাল পরিবহন

পদ্মা সেতুর সংযোগ রেলপথে কতটা যাত্রী ও মালামাল পরিবহন হতে পারে, তার একটি বিশ্লেষণ এরইমধ্যে তৈরি করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ (সিআরইসি)। স্বল্পমেয়াদি বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ২০৩০ সাল নাগাদ রেলপথটির ঢাকা-ভাঙ্গা অংশে প্রতিদিন ১৩ জোড়া ট্রেন চলবে। একইভাবে ভাঙ্গা-কাশিয়ানী অংশে প্রতিদিন ৭ জোড়া ও কাশিয়ানী-যশোর অংশে প্রতিদিন চলবে ৫ জোড়া ট্রেন। এ সময়ের মধ্যে ঢাকা-ভাঙ্গা অংশে বছরে ৪০ লাখ, ভাঙ্গা-কাশিয়ানী অংশে বছরে ১৭ লাখ ও কাশিয়ানী-যশোর অংশে বছরে সাড়ে ১৩ লাখ যাত্রী পরিবহন করা হবে। ‘ওয়ান-ডিরেকশন’ বা একমুখী চলাচলের ওপর ভিত্তি করে এই প্রাক্কলন তৈরি করেছে সিআরইসি।

যোগাযোগে প্রভাব

পদ্মা রেল প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার মধ্য দিয়ে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হলো। বর্তমানে যশোর থেকে ট্রেনে ঢাকায় যেতে ১০ ঘণ্টা সময় লাগে। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে রেলসংযোগ চালু হলে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টায় আসা-যাওয়া করা যাবে। শুধু ব্যক্তিযোগাযোগই নয়, ব্যবসা-বাণিজ্যেও নতুন মাত্রা যুক্ত হবে। চাইলে যশোর থেকে ঢাকায় গিয়ে অফিস করে আবার যশোরে ফেরা যাবে, যা আগে কল্পনাও করা যায়নি। পদ্মা সেতুতে রেল লিংক হচ্ছে বলেই এরকম ভাবা সম্ভব হচ্ছে। পদ্মা সেতু দিয়ে রেল চলাচল শুরু হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ত্রিমাত্রিক (সড়ক, নৌপথ ও রেলযোগাযোগ) যোগাযোগের যুগে প্রবেশ করবে।

শিল্পায়নে সম্ভাবনা

পদ্মা সেতু ঘিরে এরইমধ্যে মোংলা বন্দরের গতিশীলতা বেড়েছে। এবার রেল সংযোগে পণ্য পরিবহনে বাড়বে সুবিধা, কমবে খরচ। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা অল্প সময়ের মধ্যে পণ্য পরিবহন করে মোংলা বন্দরের মাধ্যমে রফতানি ও আমদানি করতে উৎসাহিত হবেন। গড়ে উঠবে নতুন নতুন শিল্প-কলকারখানা। এ সেতু দিয়ে বাংলাদেশ যুক্ত হতে পারবে এশিয়ান হাইওয়েতে।

কৃষিতে সম্ভাবনা

দক্ষিণাঞ্চলকে বলা হয় খাদ্যভান্ডার। কিন্তু পদ্মা সেতু হওয়ার আগে এ সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি। এখন যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে রেলপথ যুক্ত হওয়ায় সেখানে সবুজ বিপ্লব ত্বরান্বিত হবে। উৎপাদিত পণ্য দ্রুত ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছানো যাবে।

তরমুজের চাষে এগিয়ে থাকা বরিশাল ও পটুয়াখালীর কৃষকদের অবস্থারও পরিবর্তন হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের বিস্তীর্ণ চরে নারকেল ও সুপারি এবং সমতলে হওয়া পান ও তেজপাতাচাষিদের আশার আলো দেখাচ্ছে পদ্মা রেলসেতু। বর্তমানে নির্মাণাধীন ঢাকা-যশোর রেলপথ চালু হলে ওই অঞ্চলের ফুলচাষিদেরও সুদিন ফিরবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট থেকে প্রতিদিন প্রায় ৬০০ টন কৃষিপণ্য রাজধানীতে আনা হয়। পদ্মা সেতুর ফলে এসব কৃষিপণ্য চাষে কৃষকরা উৎসাহিত হয়েছেন, সামনে উৎপাদন আরও বাড়বে।

মৎস্যখাতে বিপ্লব

মাছ চাষে বরাবরই সফল দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। চিংড়ি ও সামুদ্রিক মাছের সরবরাহ আসে মূলত দক্ষিণাঞ্চল থেকে। সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও খুলনা অঞ্চলে আছে অসংখ্য মাছের ঘের। সেখানে গড়ে উঠেছে অনেক প্রক্রিয়াকরণ শিল্প। ফলে সেখানে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগে ওই অঞ্চলের মাছ ঢাকায় এনে বিক্রি করা মোটেও সহজ ছিল না। এখন রেল সংযোগ চালু হওয়ায় মাছ শিল্পে আরও বড় ধরনের বিপ্লব ঘটবে। সাধারণ মানুষ তাদের মাছ ন্যায্যমূল্যে কিনতে পারবে–এমনটাই আশা মৎস্যশিল্প সংশ্লিষ্টদের।

আশার আলো প্রাণিসম্পদে

পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে দুগ্ধ ও মাংস শিল্প বিকশিত হয়েছে। অনেক দুগ্ধ খামার গড়ে উঠছে। মাদারীপুরের টেকেরহাট এখন দুগ্ধ উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত।

মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, যশোর, মাগুরা, সাতক্ষীরা, নড়াইল ও ঝিনাইদহের ব্যবসায়ীরা ট্রাকে করে গবাদি পশু ঢাকায় আনেন। পদ্মা রেলসেতু চালু হলে এসব পণ্য পরিবহন আরও সহজ হবে।

পর্যটনে সম্ভাবনা

সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের বেলাভূমি সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটা। একসময় ঢাকা থেকে কুয়াকাটায় সড়কপথে যেতে একাধিক ফেরি পার হতে হতো। সেসব নদীতে সেতু হয়ে গেছে। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল পদ্মা সেতু। গত বছর ২৫ জুন পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর গত এক বছরে এ অঞ্চলের পর্যটনসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। পদ্মা সেতুর সুফল সবচেয়ে বেশি ভোগ করছে কুয়াকাটাবাসী। পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়া যাতায়াত করায় এ অঞ্চলের মানুষের আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।

পর্যটকরা জানান, পটুয়াখালীর দর্শনীয় স্থানগুলো, বিশেষ করে কুয়াকাটা তার সৌন্দর্যের তুলনায় কিছুটা আড়ালে পড়েছিল। সহজ যাতায়াতব্যবস্থা না থাকাই এর প্রধান অন্তরায় ছিল। এখন সমস্যা কেটে গেছে। পদ্মা সেতু চালুর পর পর্যটকরা কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই সহজে ঘুরে আসতে পারেন তাদের পছন্দের জায়গাগুলো।

কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মোতালেম শরীফ বলেন, ‘এরইমধ্যে বিনিয়োগকারীরা কুয়াকাটায় বিনিয়োগ করতে শুরু করেছেন। গড়ে উঠছে বড় বড় পাঁচতারকা মানের হোটেল। এই এক বছরের মধ্যে আমরা পদ্মা সেতুর সুফল পেতে শুরু করেছি।’

শুধু কুয়াকাটা নয়, বিশ্ব ঐতিহ্যের মধ্যে বাগেরহাটে খানজাহান (রহ.) মাজার, ষাটগম্বুজ মসজিদ ও সুন্দরবনসহ রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান। রেল যোগাযোগ পুরোপুরি শুরু হলে খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই মানুষ ঘুরে আসতে পারবে।

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পাটশিল্প

খুলনা থেকে প্রতিবছর প্রায় ৫০০ কোটি টাকার পাট রফতানি হয়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাট কিনে খুলনায় নিয়ে আসা হয়। এ পাট মোংলা বন্দর হয়ে বিদেশে রফতানি করা হয়। আবার খুলনার পাটকলে উৎপাদিত পাটজাত পণ্য রাজধানীতে আনা হয়। এতে যে সময়ের অপচয় হয়, তার আর্থিক মূল্য অনেক বেশি। বিশ্ববাজারে পাটের অবস্থান ভালো করতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় এ খাত আরও এগিয়ে যাচ্ছে।

দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র আর সংকট পেছনে ফেলে প্রমত্তা পদ্মার বুকে এই বিস্ময়কর অবকাঠামো নির্মাণ মানুষের আত্মবিশ্বাস জাগানিয়া অন্যতম স্থাপনা হিসেবেও এখন বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত। এই মেগা স্ট্রাকচারের সুফল ঘরে তুলে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে এগিয়ে যাবে দেশ।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ