1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

আন্দোলনের নামে সহিংসতাকে মানুষ পছন্দ করে না

নিউজ এডিটর : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৩

কী আশ্চর্য? বিদেশি বন্ধুদের কাছে এখন আমাদের নানা কৌশল ও পদ্ধতি বর্ণনা করতে হয়। ‘নির্বাচনের সময় কীভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করবে ইসি’- এমন প্রশ্নও করেছে মার্কিন প্রাক-নির্বাচনি পর্যবেক্ষক দল। নির্বাচনী কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার কৌশল কী তাদের জানাতে হবে। অবাক করা ব্যাপার ছাড়া এটাকে কিছু মনে হয় না।

জাতিসংঘে বাংলাদেশ শান্তিবাহিনী প্রশংসিত কেন এই প্রশ্নের জবাব দিক তারা? এ প্রশ্ন কী বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমি করতে পারি না। সারা দুনিয়া জানে বৈশ্বিক সমস্যা ‘জঙ্গি’ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র‌্যাবসহ আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ সরকার আমলে দারুণভাবে সফল হয়েছে। পুলিশ ও র‌্যাবের যারা উচ্চপদে ছিলেন তারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের জন্য কাজ করেছেন। জঙ্গি দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা থেকে শুরু করে নুর মোহাম্মদ (বর্তমান সংসদ সদস্য), হাসান মাহমুদ খন্দকার, একেএম শহীদুল হক, মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারি, বেনজীর আহমেদ, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত আইজিপি আছাদুজ্জামান মিয়া, মো. শফিকুল ইসলাম, মীর শহীদুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, এম খুরশিদ হোসেন, বর্তমান ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ অনেকের নাম বলা যাবে; যারা কর্মজীবনে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন ও করে চলেছেন। এখন নাকি বিদেশিরা প্রশ্ন করে, জানতে চায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে ইসি (নির্বাচন কমিশন)। আশ্চর্য হতে হয় না। বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কিছু কী নেই? মাতব্বরি করবে জনগণই, বিদেশিরা নয়।

বাংলাদেশ একটি শান্তিপ্রিয় দেশ। আর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা হয়েছে বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য। স্বভাবতই জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনগুলোতে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। বর্তমানে ১২ হাজারের মতো বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বাহিনী বিশ্বের ১১টি দেশে জাতিসংঘের অধীনে শান্তিরক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এটা ভুলে গেলে চলবে না। শান্তিমিশনে শুধু বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নয়, পাশাপাশি পুলিশ বাহিনী ও মহিলা পুলিশও নিয়োজিত আছেন। বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, নারীর ক্ষমতায়ন ও সামাজিক অবস্থান পর্যবেক্ষণ করে আজ বিশ্ববাসীর কাছে এটা প্রমাণিত যে, বাংলাদেশ নিরাপদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতেই।

প্রায় প্রতিদিনই রাজনীতি নিয়ে কথা চলছে। দেশে যেন কোনো সমস্যা নেই; কেবলই ‘রাজনৈতিক সমস্যা।’ আসলে এদেশের কিছু মানুষ রাজনীতিকে এখন এক ‘অন্ধকার রাত্রি’ করে তুলেছে। আসলে অগণতান্ত্রিক শক্তিকে ‘তারা’ ক্ষমতায় আনতে চায়। অথচ এটা সম্ভব নয়। কারণ জনগণ জেগে আছে। যখন দেশে কোনো মানবাধিকার ছিল না, গণতন্ত্র ছিল না, রিজার্ভ শূন্যের কোঠায় ছিল, ইউনিভার্সিটিতে প্রতিদিন রক্তারক্তি হতো, খুনের হোলিখেলা ছিল এদেশে নিত্যকার ঘটনা তখন মানবাধিকার নিয়ে চুপচাপ ছিলেন তারা।

১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলো, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড ছুড়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যার লক্ষ্যে অপচেষ্টা চালালো খুনিচক্র তখন কিন্তু আজকের সমালোচকরা নিরব ছিলেন। তবে এখন তারা সরব। তারা এখন গণতন্ত্র নিয়ে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ নিয়ে গলা উঁচিয়ে কথা বলেন, বিরোধী দলের পক্ষে চিৎকার করেন। এটা দুর্ভাগ্য ছাড়া কিছু নয় আমাদের। গণতান্ত্রিক আচরণ দিয়ে এর সৌন্দর্য বৃদ্ধি সম্ভব। কিন্তু রাজনীতির নামে দেশে যা হচ্ছে এটাকে ‘অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার পরিকল্পনা’ বলা ছাড়া আর কিছু বলা সম্ভব নয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি মূল্যায়নে ঢাকায় সফররত মার্কিন প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির নেতারা আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে তাদের এক দফা দাবির সমর্থনে যুক্তি তুলে ধরেছেন। সোমবার (০৯-১০-২৩) মার্কিন নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের সদস্যরা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে এ বৈঠক করেন। এটি হয়েছে ঢাকার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে।

বৈঠক শেষে বিএনপি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ও বর্তমান সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিসহ বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আজকে বাংলাদেশের নির্বাচন শুধু দেশের মধ্যে নয়, সারা বিশ্বেই প্রশ্নবিদ্ধ। বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন চায়, সারা বিশ্বও একইভাবে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন চায়। এখানে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই।

ঢাকায় আসা যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বেঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কথা বলেন। তার ভাষায়, ‘মার্কিন পর্যবেক্ষক দল মধ্যস্থতা করতে আসেনি। তাদের আসার উদ্দেশ্য একটা অবাধ স্ষ্ঠুু নির্বাচন। আমরাও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।’ বিএনপি-জামায়াতসহ দেশের কয়েকটি সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলে দিচ্ছে। চলমান এই রাজনীতি তো জনগণকে বিরক্ত, ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন করছে। জনগণ শান্তি চায়। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাধা নেই। কিন্তু সহিংসতাকে মানুষ অপছন্দ করে।

লেখক : দীপক চৌধুরী – সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট, কথাসাহিত্যিক ও ফিল্মমেকার


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ