অস্ট্রেলিয়ার অধিকাংশ নাগরিক আদিবাসী ও টরেস আইল্যান্ডের মানুষদের অস্ট্রেলিয়ার প্রথম নাগরিক হিসাবে স্বীকৃতি এবং ‘ভয়েস টু পার্লামেন্ট’ নামে পরিষদ গঠনের জন্য শনিবার অনুষ্ঠিত গণভোটে না ভোট দিয়েছে। ১ কোটি ৭০ লাখের বেশি নাগরিক ১২২ বছরের পুরনো সংবিধান পরিবর্তন করতে রাজি কি না, এ প্রশ্নে গণভোটের জন্য নথিভুক্ত হন। ব্যালট পেপারে শুধু ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ লিখে ভোট দিয়েছেন তারা।
২০২২ সালে ফেডারেল নির্বাচনের আগে এই গণভোটের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল লেবার পার্টি। অস্ট্রেলিয়ার মোট জনসংখ্যার মাত্র ৪ শতাংশ আদিবাসী। তারা প্রায় ৬০ হাজার বছর ধরে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া নামে পরিচিত ভূখণ্ডটিতে বসবাস করে এলেও রাষ্ট্রটির সংবিধানে তাদের কোনো উল্লেখ নেই। প্রায় সব ধরনের আর্থ-সামাজিক হিসাবেও তারা দেশটির সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত মানুষ। আদিবাসীদের আয়ু অন্যদের তুলনায় ৮ বছর কম, তাদের মধ্যে আত্মহত্যার হার দ্বিগুণ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং শিশুমৃত্যুর দিক থেকেও তাদের অবস্থান পেছনের দিকে।
প্রধানমন্ত্রী এ্যান্টনি আলব্যানিজ গণভোটের রায়কে স্বাগত জানিয়ে আদিবাসীদের হতাশ না হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
‘না’ ভোটের প্রচারণাকারীরা বলেছে, ‘ভয়েস টু পার্লামেন্ট’ দেশকে জাতিগতভাবে দুইভাগে বিভক্ত করবে। আর ‘হ্যাঁ’ ভোটের প্রচারকারীরা বলেছে, এতে আদিবাসীদের নিজ দেশে তাদের অধিকার সঠিক স্থানে প্রতিষ্ঠিত করবে।