1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

অগ্রাধিকারভুক্ত ৮ মেগা প্রকল্পের গড় অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৩

এগিয়ে চলছে অগ্রাধিকারভুক্ত ৮ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ। প্রকল্পগুলোর শুরু থেকে গত সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এসব প্রকল্পের আওতায় ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার ৩৮২ কোটি ৪২ লাখ টাকা। প্রকল্পগুলোর গড় ভৌত অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৮৫ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৭৩ শতাংশ। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে তিন লাখ ছয় হাজার ২৬৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা।

এরইমধ্যে পদ্মাসেতু এবং মেট্রোরেল (আংশিক) উদ্বোধন হয়েছে। কিন্তু পুরো প্রকল্পও প্রায় শেষের পথে। সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত তৈরি করা বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) অগ্রগতি প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

মেগা প্রকল্প প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান বলেন, ‘বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শেষের পথে। আমরা আশা করছি, জনগণ আমাদের কাজে মূল্যায়ন করবে। তবে উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলে অগ্রগতি অব্যাহত থাকে। জনগণ দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা চাইলে অব্যশ্যই ভোট দেওয়া ক্ষেত্রে বিবেচনা করবে। আমরা মেগা প্রকল্প শুধু হাতেই নিইনি, বাস্তবায়নও করছি। এটি একটি সাহসের ব্যাপার। আওয়ামীলীগ সরকারের সেটি আছে। এখন জনগন পাশে থাকলে সব সম্ভব হবে।’

প্রকল্পগুলো হলো— পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্প, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, পদ্মাসেতুতে রেল সংযোগ এবং দোহাজারী-রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু-মায়ানমারের নিকটে ঘুনধুম পর্যন্ত সিংগেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্প।

পদ্মাসেতু: গত বছরের ২৫ জুন উদ্বাধন করা হয় পদ্মাসেতু প্রকল্পের। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ শতভাগ শেষ হয়নি। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পটির আওতায় ব্যয় হয়েছে ২৯ হাজার ৫০৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আর্থিক অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৯০ দশমিক ৫০ শতাংশ। পুরো প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৯৯ দশমিক ৮০ শতাংশ। এটি বাস্তবায়নে মোট ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। প্রকল্পটির কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে। কয়েক দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এরই মধ্যে সম্প্রতি ব্যয় বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ১১৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

মেট্রোরেল: মেট্রোরেল প্রকল্পের উত্তরা-আগারগাঁও অংশ গত বছর ২৮ ডিসেম্বর উদ্বোধন হয়েছে। ২৯ ডিসেম্বর থেকে নির্ধারিত সময়ে জনগণের চলাচলের জন্য খুলে গেছে এ অংশটি। কিন্তু পুরো প্রকল্প শেষ হতে অপেক্ষা করতে হবে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, আগামী মাসের প্রথম দিকেই মতিঝিল পর্যন্ত খুলে দেওয়া হবে। শুরু থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পটির আওতায় ব্যয় হয়েছে ২২ হাজার ৯৯৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৬৮ দশমিক ৭০ শতাংশ। এ ছাড়া ভৌত অগ্রগতি ৮২ শতাংশ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সংশোধিত ব্যয়সহ মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু দ্বিতীয় সংশোধনীতে ব্যয় বাড়ার সঙ্গে মেয়াদ বেড়েছে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এটির মূল ব্যয় ছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত বাড়তি অংশ যোগ হওয়ায় এই ব্যয় ও মেয়াদ বৃদ্ধি পেয়েছে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পটির শুরু থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভৌত অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৬০ শতাংশ। প্রকল্পের আওতায় এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৬৬ হাজার ২৮৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৫৮ দশমিক ৬১ শতাংশ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে এক লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্য রয়েছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এ বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের উৎপাদন লক্ষ্য ছিল। কিন্তু কোভিড মহামারিতে সঞ্চালন লাইনের কাজ দেরি হওয়ায় কেন্দ্রটির উৎপাদন পিছিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ রূপপুর প্রকল্পটি উৎপাদনে আসতে পারে। সেই সঙ্গে বর্তমান ঋণ পরিশোধের জটিলতাও পুরোপুরি কাটেনি।

পদ্মাসেতুতে রেল সংযোগ: পদ্মাসেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পে গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ৩২২ কোটি ৪ লাখ টাকা। প্রকল্পটির আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৭৭ দশমিক ২৬ শতাংশ। এ ছাড়া ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৮৩ শতাংশ। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে মোট ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা। প্রকল্পটি ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্য রয়েছে।

মহেশখালী-মাতারবাড়ি সমন্বিত কার্যক্রম: মহেশখালী-মাতারবাড়ি সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম (১২টি প্রকল্পযুক্ত) প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৫১ হাজার ৮৫৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। ২০১৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্য রয়েছে। সেপ্টম্বর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৩৪ হাজার ৮২৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা। আর্থিক অগ্রগতি ৬৭ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং সার্বিক অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৭৯ শতাংশে।

রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প: এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১৪ হাজার ৪৭৪ কোটি টাকা। আর্থিক অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৯০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৯৬ দশমিক ২৬ শতাংশ।

পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর: এ প্রকল্পটি ৪ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে তিন হাজার ৭৫২ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৮৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং ভৌত অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৯১ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুনধুম রেল পথ নির্মাণ: দোহাজারী-রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু-মায়ানমারের কাছে ঘুনধুম পর্যন্ত সিংগেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।

গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৮ হাজার ২১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা। প্রকল্পটির আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৪৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এছাড়া ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৮৯ শতাংশ।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ