1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

পতেঙ্গাবাসীর পানির সমস্যা সমাধানে চালু হচ্ছে বুস্টার পাম্প স্টেশন

ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর, ২০২০

ওয়াসার পানির সংযোগ থাকার পরও ঠিকমতো পানি পেতো না চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা এলাকার বাসিন্দারা। বুস্টার স্টেশন না থাকায় অনেক চেষ্টা করেও ওই এলাকার বাসিন্দাদের কাছে নিরবচ্ছিন্ন পানি পৌঁছাতে ব্যর্থ হতো ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। এজন্য সারা দিন-রাত অপেক্ষা করেও অনেক সময় পানির দেখা পেতো না পতেঙ্গার বাসিন্দারা। তাদের এই দুর্ভোগ এবার শেষ হতে চলেছে। চিটাগং ওয়াটার সাপ্লাই ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড স্যানিটেশন প্রজেক্ট (সিডব্লিউএসআইএসপি) প্রকল্পের আওতায় পতেঙ্গায় নির্মিত হয়েছে বুস্টার পাম্প স্টেশন। এই বুস্টার পাম্প স্টেশন চালুর পর আগামী ডিসেম্বর থেকেই নিরবচ্ছিন্ন পানি পাবে পতেঙ্গাবাসী।
সিডব্লিউএসআইএসপি প্রকল্পের উপপরিচালক চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘সিডব্লিউএসআইএসপি প্রকল্পের আওতায় কালুরঘাট বুস্টার স্টেশন পুনর্বাসনের পাশাপাশি নগরীর পতেঙ্গা এলাকায় একটি বুস্টার স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের পুরো কাজ শেষ, আগামী মাসের (ডিসেম্বর) শুরুতে এটি আমরা চালু করতে পারবো। ডিসেম্বর থেকে পতেঙ্গাবাসীর পানির কষ্ট আর থাকবে না। প্রকল্পটি চালুর পর তারা নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহ সুবিধার আওতায় চলে আসবেন।’
তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় নগরীতে ১৬০ কিলোমিটার ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন পাইপলাইনও বসানো হয়েছে। মদুনাঘাট পানি সরবরাহ প্রকল্পের পানি এসে প্রথমে ঢুকবে কালুরঘাট বুস্টার স্টেশনে। সেখান থেকে পাম্পিং করে অর্ধেক পানি নিয়ে যাওয়া হবে নগরীর উত্তর পূর্বাংশে চান্দগাঁও, মোহরা, বাকলিয়া ডিসি রোড, খাজা রোডসহ অন্যান্য এলাকায়। অপর অর্ধেক পানি সরাসরি নিয়ে যাওয়া হবে পতেঙ্গা এলাকায়। এরপর ইপিজেড মোড়ে স্থাপিত বুস্টার স্টেশনের মাধ্যমে পানির চাপ বৃদ্ধি করে বাসা বাড়িতে নিরবচ্ছিন্নভাবে পানি পৌঁছে দেওয়া হবে।
ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, চিটাগং ওয়াটার সাপ্লাই ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড স্যানিটেশন প্রজেক্ট ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি একনেকে পাস হয়। এক হাজার ৮৯০ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় ধরা এই মেগা প্রকল্পের অধীনে ৯ কোটি পানি শোধনের ক্ষমতাসম্পন্ন ‘শেখ রাসেল পানি শোধনাগার’ নির্মাণ করাসহ অনেক ছোট ছোট প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে দৈনিক সাড়ে ৪ কোটি লিটার বুস্টিং ক্ষমতাসম্পন্ন পতেঙ্গা এলাকায় বুস্টার পাম্প স্টেশন নির্মাণ, কালুরঘাট বুস্টার স্টেশনকে পুনর্বাসন করে দৈনিক ১০ কোটি লিটার বুস্টিং ক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ১৬০ কিলোমিটার সঞ্চালন ও বিতরণ পাইপলাইন স্থাপন, চট্টগ্রাম মহানগর ও পার্শ্ববর্তী পৌরসভায় ৪টি স্যানিটেশন ও মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন।
ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, ‘সিডব্লিউএসআইএসপি প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে ৯ কোটি লিটার পানি শোধন ক্ষমতাসম্পন্ন শেখ রাসেল পানি শোধনাগার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। নির্মাণের পর ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে শোধনাগারটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়। এরপর চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পতেঙ্গা এলাকায় বুস্টার পাম্প স্টেশন নির্মাণ ও কালুরঘাট এলাকায় বুস্টার পাম্প স্টেশনের পুনর্বাসন কাজও শেষ হয়েছে। অন্যদিকে ১৬০ কিলোমিটার সঞ্চালন ও বিতরণ পাইপলাইন স্থাপনেরও কাজও শেষ। এখন আমরা পুরো প্রক্রিয়াটি ঠিকমতো কাজ করছে কিনা সেটি টেস্ট করে দেখবো। এরপরই ডিসেম্বরের শুরুতে এটি চালু করা হবে।’


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ