1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় এগিয়ে চলুক অগ্রযাত্রা

এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২২

দেশের প্রধান নির্বাহী অর্থনৈতিক জ্ঞানমনস্ক চরিত্র না হলে জনশ্রেণির ভাগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা থাকে না। আমরা ভাগ্যবান যে, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনীতি বোঝেনই না শুধু, পুরোদস্তুর অর্থনীতিবিদের মতো করে পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়ন করতে সিদ্ধহস্ত।

হয়তো এই দেশের সাধারণ মানুষরা টের পাচ্ছেন না, কিন্তু সত্যি বলতে এই বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বড় বড় দেশের শাসকশ্রেণির কেউ কেউ আত্মসমর্পণ করে নিজেই গোল্ডেন হ্যান্ডশেক নিয়ে নিচ্ছেন।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সঙ্গত যুক্তিতে শুধু একজন বিশ্বসেরা রাষ্ট্রনায়কই নন, ক্ষুরধার পর্যায়ের অর্থনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়েও বাংলাদেশের জন্য লড়ে যাচ্ছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বলয়ের সাথে থাকা কৃতী মানুষরা আলোচনা করছেন কম। অথচ, তা বলাটা খুবই জরুরি। কারণ দেশের মানুষকে জানতে হবে যে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে থেকে মুষ্টিমেয় জনশ্রেণির যারা সরকার পতনের জন্য অতি উৎসাহী, তাদের তাঁবুতে বাংলাদেশের অর্থনীতি মোকাবিলা করার কোনো পড়াশোনা আদলে হোমওয়ার্ক নেই।

যদি থাকত, তাহলে অতিমারি কোভিড-১৯ পার করার পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীন এমন সময়ে এক ব্যক্তির মামলা থেকে অব্যাহতি ও জাতীয় নির্বাচনের ভোটপদ্ধতি নিয়ে মাঠ গরম করার প্রশ্নই তো অর্থবহ বাস্তবতায় উপনীত হতে পারে না। অথচ, তাদের বলয় থেকে প্রতিদিন বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক অর্থনীতি নিয়ে সিরিজ আলোচনাগুলো চলতে থাকলে বুঝে নেওয়া যেত, আসলেই তারা বাংলাদেশের লোক! অথবা, জাতীয়তাবাদী।

আজকাল চায়ের দোকানেও আলাপ একটা চলছে। সাধারণ মানুষের কাছে একটি শ্রেণি বলবার চেষ্টা করছে যে—জানো তো, বাংলাদেশের কাছে টাকা নেই, বৈদেশিক রিজার্ভ কমে গেছে। দেশ শ্রীলঙ্কার মতো হয়ে যাবে। ইত্যাদি, ইত্যাদি।

টানা ১৪ বছর ধরে রাষ্ট্রীয় সেবায় থেকে শেখ হাসিনা শুধু নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত শ্রেণির পেশাভিত্তিক আয় বাড়ানোরই চেষ্টা করেননি, সামাজিক নিরাপত্তা প্রদানে সরকার কর্তৃক সেরাটা দেওয়ার পরে বাংলাদেশকে আধুনিক রাষ্ট্র হিসাবে দাঁড় করানোর জন্য প্রকল্পের পর প্রকল্প হাতে নিয়ে দেশকে বদলিয়ে দিয়েছেন।

মানুষ বাস, ট্রেন কিংবা ব্যক্তিগত মালিকানার গাড়িতে উঠে পুরো দেশটা ঘুরলেই উত্তর চলে আসে। এত সেতু, ফ্লাইওভার করে দিয়ে যাতায়াত ব্যবস্থায় যে উন্নতি হয়েছে, তা কেউ যদি অন্ধ হয়ে বলে, হয়নি—তাদের সংখ্যাটা কম বা নগণ্য পর্যায়ের। যেকোনো রাষ্ট্রের উন্নতির প্রথম শর্ত হলো, যোগাযোগ ব্যবস্থার অতি উন্নতি।

এদিকে মানুষকে অকৃতজ্ঞ হলেও চলবে না। একজন শেখ হাসিনার দৃঢ় সংকল্পে যখন ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়ার বৈপ্লবিক উদ্যোগ নেওয়া হলো এবং জনশ্রেণি সেই সুবিধা পেতে থাকল, তা ভুলে গেলে কী চলবে?

দুই-এক মাসের লোডশেডিং হলো, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বলা হচ্ছে যে, চলে গেল! কিন্তু বিদ্যুৎ যে সারাক্ষণের বন্ধু হয়ে তোমার-আমার জীবনে এসেছিল বা আছে, তেমন কৃতজ্ঞতায় থাকতে পারলে, রাস্তায় নেমে এসে রাজনৈতিক অপশক্তির ধারকদের মিছিল-সমাবেশ বন্ধে উদ্যোগী হও না কেন? কেন বলতে পারে না যে—আপনাদের খাম্বা যুবরাজকে ভুলিনি, যে বিদ্যুতের কথা বলে চুরি করত আর ঘরে ঘরে বিদ্যুতের কথা চিন্তাই করতে পারেনি। বরং বলত, এটা করা অসম্ভব।

তিন বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক রিজার্ভ দেশের কোষাগারে রেখে দিয়ে যারা অর্থনীতি শেখান, তাদেরকে জবাব দেওয়ার মধ্য দিয়ে বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনীতি করতে চাচ্ছি না। বরং অর্থনৈতিক বাস্তবতা তুলে ধরে উত্তরণ ইস্যুতে কিছু আলোচনা করা যাক।

অতিমারি কোভিড ২০১৯ সালে বিশ্বে পরিচিত হলেও বাংলাদেশে চলে আসে ২০২০ সালের শুরুর দিকে। এরপর প্রায় দুই বছর এক রকমের বন্দি জীবন। যার ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যায়। কারণ, তখন সরকার কর্তৃক আমদানি কম ছিল।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর ডলারের বিপরীতে মুদ্রার মান কমেছে ৯০টি উন্নয়নশীল দেশের। ১০ শতাংশের বেশি দরপতন হয়েছে অন্তত ৩০টি দেশের। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তখন কমে যায় আশঙ্কাজনক হারে।

২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট আমদানি ব্যয় ছিল ৬৫ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরে ২০২১-২২-এ তা দাঁড়ায় ৮৯ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলারে। সেপ্টেম্বর ২০২২-এ এসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গিয়ে দাঁড়ায় ৩৫.৮ বিলিয়ন ডলার।

অন্যদিকে মুদ্রার রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করেছে এবং ঋণ দিয়েছে। যার মধ্যে রিজার্ভ থেকে ৭ বিলিয়ন ডলার দিয়ে গঠন করা হয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ)। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে ঋণ দেওয়া হয় ৫ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা। শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দেওয়া হয়েছে ২০ কোটি ডলার।

এদিকে আইএমএফ যে শর্ত দিয়ে বলছে—তোমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৭.৮ বিলিয়ন ডলার দেখাতে হবে। এমন শর্ত মেনে নেওয়ার কারণ নেই। কারণ, ৮ বিলিয়ন ডলার উধাও হয়নি। সময়মতো তা রিজার্ভের সঙ্গেই যুক্ত হবে।

অপরদিকে আমাদের বুদ্ধিমান অর্থমন্ত্রী ইতোমধ্যে বলেছেন যে, ‘দেশে রপ্তানি বেড়েছে। প্রবাসী আয়ও বেড়েছে। সম্প্রতি এক বছরে সর্বোচ্চ ২৪ বিলিয়ন ডলার প্রবাসী আয় এসেছে। অর্থাৎ মাসে ২ বিলিয়ন ডলার করে এসেছিল। এখন আবার প্রবাসী আয় প্রতিমাসে গড়ে ২ বিলিয়ন করে আসতে শুরু করেছে। ফলে আগে যেভাবে রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল, সেটি আবার হবে।’

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আগের জায়গাতেই চলে যাবে। ২০২৫ সাল নাগাদ তা ৬০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলেও অনুমিত হয়। তবে, শঙ্কার দিক আছে। খোদ বিশ্ব যখন জানান দিচ্ছে যে, ২০২৩ সালে দুর্ভিক্ষ নেমে আসবে, তখন প্রভাব বাংলাদেশের ওপরেও পড়বে। সে কারণেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার তাগিদ দিচ্ছেন। তিনি বলছেন, অনাবাদি জায়গা রাখা হবে না। কৃষিভিত্তিক কৃষ্টির গতিশীলতায় বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকতে হবে।

শেখ হাসিনার আহ্বান যেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিরন্তন কৃষিভিত্তিক বক্তব্যগুলোকে স্মরণ করিয়ে দেয়। তিনি বলেছিলেন, ‘খাদ্যের জন্য অন্যের ওপর নির্ভর করলে চলবে না। আমাদের নিজেদের প্রয়োজনীয় খাদ্য নিজেদেরই উৎপাদন করতে হবে। আমরা কেন অন্যের কাছে ভিক্ষা চাইব। আমাদের উর্বর জমি, আমাদের অবারিত প্রাকৃতিক সম্পদ, আমাদের পরিশ্রমী মানুষ, আমাদের গবেষণা-সম্প্রসারণ কাজের সমন্বয় করে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করব।’

বাংলাদেশ কৃষি, শিল্প ও মৎস্য খাত দিয়ে চলতে পারবে। এটা বাস্তবতা। তৈরি পোশাক শিল্প, জাহাজ নির্মাণ শিল্প ও ওষুধ শিল্প দিয়ে আমরা উন্নত দেশে রপ্তানির মাধ্যমে এখনো চাহিদার তুঙ্গে থাকা দেশ। শুধু মৎস্য সম্পদ দিয়ে আমরা আমাদের অর্থনীতির দশ শতাংশ চাহিদা পূরণে সচেষ্ট থাকতে পারব। গভীর বিশ্লেষণে বাংলাদেশ তার সমুদ্রকে কাজে লাগিয়ে বড় অর্থনীতির দেশ হতে পারবে। পর্যটন খাতে বিপ্লব করে যে রাজস্ব আদায় করা যাবে, তা মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ডের অর্থনীতিকে চ্যালেঞ্জ করা যায়, যাবে।

আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিদ্রাহীন জীবনকে বেছে নিয়েছেন মানুষের জন্য। আমরা যারা তাঁর কর্মী, তাঁদেরকে মৃদু নিদ্রায় থেকে দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যেতে হবে। ১৪ বছরে ভৌত কাঠামোর অগ্রগতি করতে গিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে কতিপয় শ্রেণি মুদ্রা পাচার করেনি তা নয়। যখনই উন্নয়ন হয়, দুর্নীতি কিছুটা হলেও হয়। তখন কেউ কেউ বিচ্ছিন্নভাবে পুঁজিশ্রেণির অংশ হয়। তারা ক্ষমতাবান হয়ে পড়ে। বাংলাদেশেও হয়েছে। শেখ হাসিনা সেদিকেও চোখ রেখেছেন। সময়মতো তারা বিপদেও পড়বে। তাঁদের অর্থ পৃথিবীর যেখানেই থাকুক, তা নিয়েও আসা হবে।

সবচেয়ে বড় দিক হলো, একটা মানুষ যখন দেশের জন্য সেরাটা করতে জীবন সপে দিচ্ছেন, আর একশ্রেণির ব্যবসায়ী ও নব্য রাজনীতিকদের এমন আচরণ একাত্তরের পরাজিত শক্তির চেয়েও অধম বলে মনে করার সুযোগ আছে। তাঁদের বিচার করা হবে।

হালে কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, ‘মূল্যের সমতা ও ভারসাম্য রক্ষার জন্য নির্ভর করা হচ্ছে খোলাবাজার ব্যবস্থার ওপর। মনে করা হচ্ছে, এতে উৎপাদক ও ভোক্তা উভয়েই উপকৃত হবে। মুক্তবাজার ব্যবস্থাই ভারসাম্য রক্ষা করবে জাতীয় অর্থনীতির। প্রকৃত প্রস্তাবে সব সময় তা সম্ভব হয়ে ওঠে না। মুক্তবাজার অনেক সময় ভোক্তার স্বার্থ রক্ষা করে না। তাছাড়া মুক্তবাজারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গরিব মানুষের স্বার্থ রক্ষা হয় না।

সংকটকালীন মুনাফা অর্জন থেকে লোভী ব্যবসায়ীদের নিবৃত্ত করা যায় না। এর জন্য দরকার হয় হস্তক্ষেপ। প্রয়োজন পড়ে বাজার নিয়ন্ত্রণের। কিন্তু কিছু মানুষ আছেন, যারা এ সত্যটিকে মেনে নিতে চান না। বাজার কুশীলবরা সবসময়ই যুক্তিযুক্ত আচরণ করবেন বলে ধারণা পোষণ করেন। এর ফলে বাজার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সরকারকে প্রায়ই নিষ্ক্রিয় থাকার পরামর্শ দেন তারা। এ সুযোগে অতি মুনাফা অর্জনকারী মজুতদার ও ব্যবসায়ীরা বাজারকে অস্থির করে তুলতে পারেন। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন ভোক্তারা।

এমতাবস্থায় সরকার শুধু রেফারির মতো আচরণ করবে আর বাজার-কুশীলবরা তাদের ইচ্ছেমতো খেলে যাবে—এমন যুক্তি ধোপে টেকানো কঠিন। দুই বছর ধরে পেঁয়াজের উচ্চমূল্য, আলুর মূল্যবৃদ্ধি এবং চালের বাজারে অস্থিরতা মূলত বাজার-কুশীলবদেরই কারসাজি। উৎপাদন হ্রাস কিংবা পণ্যসংকট এ উচ্চমূল্যের জন্য মোটা দাগে দায়ী নয়।’

জাহাঙ্গীর আলম আসল সত্যটা বলতে পেরেছেন। যেমন, চাল উৎপাদনের দিকেই যদি তাকানো যায়, দেখা যাচ্ছে যে, গেল একান্ন বছরে চালের উৎপাদন বেড়েছে বছরে গড়ে প্রায় ৩ শতাংশ হারে। ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ সালে দেশে ভোগের চাহিদা মিটিয়েও চালের উদ্বৃত্ত ছিল প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৩০ লাখ টন। এরপরও এবার চালের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি অযৌক্তিক, অনাকাঙ্ক্ষিত। মোটা চালের দাম ক্ষেত্রবিশেষে ছাড়িয়ে গেছে প্রতি কেজি ৫০ টাকারও ওপরে। এর পেছনে অলক্ষ্যে কাজ করেছে চাল ব্যবসায়ীদের অসাধু সিন্ডিকেট। সে সিন্ডিকেটের সঙ্গে রাজনৈতিক অপশক্তির যোগাযোগ নেই, তা আমরা তেমন বিষয় নিয়ে ভাবতে পারছি কি না!

বাংলাদেশকে অকার্যকর করার মিশন তো চোখে পড়েই। একটি অপশক্তি রোহিঙ্গা ইস্যু, নিত্যপণ্যসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ার ইস্যু, ইচ্ছে করে লুকিয়ে থেকে গুম হওয়ার নাটকীয়তাকে পুঁজি করে লাল-নীল ইস্যু নিয়ে ব্যস্ত আছে, তা আমরা বুঝি। দুই আনার ডিপ্লোম্যাটদের অহেতুক বাংলাদেশের শাসনরীতি নিয়ে উদ্রেক—আমাদেরকে বরং সতর্ক করে। আমরা আরো শক্তিশালী হয়ে পড়ি।

বাংলাদেশের একশ্রেণির সুশীল সমাজ আছে। যাদেরকে আমি উপদ্রব হিসাবেই ধরি। জর্জ বার্নার্ড শ বলেছিলেন, ‘অর্থনীতিবিদরা শুধুই বিশ্লেষণ করতে পারেন এবং পরামর্শ দিতে পারেন। কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেন না’৷ খুবই সত্য কথা। আর বাংলাদেশে যারা অর্থনীতির কথা বলেন তারা আবার সিদ্ধান্ত তো দূরের কথা, নিজেরাই রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষী হয়ে ক্ষমতার চেয়ারের কাছাকাছি পৌঁছাতে চান।

আমরা লক্ষ্য করছি, বাংলাদেশে পুনরায় এক-এগারোর মতো করে একদল পেছন থেকে খেলছে। তারা বলছে, বাংলাদেশ সুখে নেই। মাঠে নামিয়ে দিয়েছে সেই পথহারা রাজনৈতিক দল বিএনপিকে। যাদের রাজনৈতিক কোনো আদর্শ নেই। দলে কোনো নেতাও নেই। নেতা তাই সুশীল উপদ্রবকারীদের কেউ পেছন থেকে খেলে বলছেন, বাংলাদেশ পুনরায় গরিব হয়ে যাচ্ছে!

বাংলাদেশ যে আগামী বিশ্বের জন্য অন্যতম সেরা একটি অর্থনীতির দেশ হবে, তা মানতে হবে। বৈশ্বিক সংকট কেটে গেলে বঙ্গবন্ধুর সেই সোনার বাংলা একজন শেখ হাসিনার দ্বারাই হবে। ভাগ্য একটু সহায় হলে ২০২১ সালের মধ্যেই হতো। প্রকৃতি ও পরাক্রমদের জৈব অস্ত্রের সঙ্গে তো যুদ্ধ চলে না। একটু পিছিয়ে তাই থাকবই।

বিশ্বাস করি, ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এশিয়ার অন্যতম সেরা বড় অর্থনীতির দেশ হবে। জীবনের এমন এক পর্যায়ে চলে এসেছি, বাংলাদেশের জন্য এবং এক অদম্য সত্তা শেখ হাসিনার জন্য রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বিচরণ করে সামর্থ্য অনুযায়ী সেরাটাই দেওয়ার চেষ্টাই করব।

গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটল বলেছিলেন, জ্ঞানীরা অর্থসঞ্চয় করে অর্থপিশাচদের মুখাপেক্ষী না থাকার জন্য৷ শেখ হাসিনা নিজে ও তাঁর সত্যিকারের কর্মীরা তাই বিশ্বাস করে, বাংলাদেশও ধনী হবে। বাংলাদেশ হলেই নিজের হলো। নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করে নয়। তাই যারা ক্ষমতায় এসে লুটেরা শ্রেণির প্রতিনিধি হয়, তাদেরকে রুখতে বাংলাদেশকে উচ্চ আয়ের দেশ হতেই হবে।

লেখক : এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন – সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ