1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

অবরোধের মধ্যেও সচল চট্টগ্রাম বন্দর!

নিউজ এডিটর : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৩

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য উঠানামায় এখনও প্রভাব পড়েনি। জাহাজ থেকে আমদানি পণ্য খালাস ও রফতানি পণ্য জাহাজীকরণ প্রায় স্বাভাবিক আছে। তবে খালাস হওয়া পণ্য পরিবহনে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটছে।

সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি শুরু করেছে বিএনপি, সঙ্গী হয়েছে জামায়াতও। গত ২৯ অক্টোবর সকাল-সন্ধ্যা হরতালের পর ৩১ অক্টোবর থেকে ৭২ ঘণ্টার লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি চলছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে আরও কর্মসূচি আসবে, এমন আভাস দিয়ে রেখেছেন বিএনপির নেতারা। অবরোধের মধ্যে চট্টগ্রামে পণ্যবাহী লরি, যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ভাংচুর-অগ্নিসংযোগের মধ্যে পণ্যবাহী পরিবহন রাস্তায় নামানো নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে। চট্টগ্রাম থেকে পণ্য নিয়ে পরিবহন দেশের অন্যান্য গন্তব্যে যাওয়া কিছুটা কমেছে। তবে সেটা এখনও বড় আকারে প্রভাব তৈরি করতে পারেনি বলে মনে করছেন পরিবহন মালিকরা।

বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান-ট্রাক পণ্য পরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সুফিউর রহমান টিপু বলেন, ‘আপাতত পণ্য পরিবহনে তেমন কোনো সংকট নেই। চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস হয়েছে, কিন্তু গাড়ির অভাবে বাইরে নেয়া যাচ্ছে না এমন কোনো পণ্য নেই। ২৪ ঘণ্টা বন্দরে গাড়ি পণ্য নিয়ে আসা-যাওয়া করছে। দিনে ৭ থেকে ৮ হাজার গাড়ি পণ্য পরিবহন করে। এটা সেভাবে কমেনি।’

বন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অবরোধের মধ্যেও মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বন্দরের বিভিন্ন জেটিতে ১৮টি জাহাজে পণ্য ওঠানামা হয়েছে। এদিন প্রায় তিন হাজার টিইউস কনটেইনার বন্দর থেকে বের হয়েছে। অবরোধের আগেরদিন সোমবার এর চেয়ে এক হাজার টিইউস বেশি কনটেইনার পরিবহন হয়েছে। অবরোধের মধ্যে গত দু’দিন সকালে বন্দরে ট্রাক, ট্রেইলার ও কাভার্ডভ্যান স্বাভাবিকের চেয়ে কম প্রবেশ করেছে। তবে বিকেল গড়াতেই পণ্যবাহী পরিবহনের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘অবরোধ চললেও চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস স্বাভাবিক আছে। রফতানি পণ্যও আসছে এবং স্বাভাবিকভাবে জাহাজে লোড হচ্ছে। অবরোধের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই সকালের দিকে একটু গাড়ির চাপ কম থাকে। ডেলিভারি কিছুটা কম হলেও একদম কমে গেছে সেটা বলা যাবে না।’

এদিকে অবরোধের মধ্যেও বেসরকারি কনটেইনার ডিপোগুলোতে পণ্য হ্যান্ডলিং স্বাভাবিক আছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আমদানি পণ্য হ্যান্ডলিং কিছুটা কম হলেও রফতানি স্বাভাবিক রয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের ১ থেকে ২৬ কিলোমিটারের মধ্যে ১৯টি বেসরকারি কনটেইনার ডিপো আছে। এসব ডিপোতে শতভাগ রফতানি পণ্য কনটেইনার বোঝাই করে জাহাজীকরণের জন্য বন্দরে নেওয়া হয়। এছাড়া খাদ্যপণ্যসহ ৩৭ ধরনের আমদনি পণ্য জাহাজ থেকে বন্দরে নামানোর জন্য সেগুলো ডিপোতে এনে খালাস করা হয়।

বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) সচিব রুহুল আমিন শিকদার বলেন, ‘অবরোধের কোনো প্রভাব ডিপোগুলোতে পড়েনি। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৭৮১ টিউইস কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৫৮১ টিইউস কনটেইনার রফতানি ও ৬০৫ টিইউস কনটেইনার আমদানি করা হয়েছে, যার মধ্যে ১ হাজার ২৪টি জাহাজীকরণ করা হয়েছে। আমদানি কম। কারণ আমদানিকারকরা আশঙ্কায় আছে। তারা কোনো ঝুঁকি হয়ত নিতে চাচ্ছেন না। তবে সব মিলিয়ে অবস্থা স্বাভাবিক।’


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ