1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

দুবলার চরে শুঁটকি মাছ আহরণ শুরু

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৩

শুরু হয়েছে সুন্দরবনের দুবলার চরে শুঁটকি মাছ আহরণ মৌসুম। বন বিভাগের কাছ থেকে পাস নিয়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে দুবলার চরে যেতে শুরু করেছেন জেলেরা। ভোররাতেই সেখানে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে জেলেদের একটি গ্রুপ চরে ঘর বাঁধতে শুরু করেছেন। আর অপর গ্রুপ সাগরে মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন। জেলেদের ফেলা জালের প্রথম খ্যাপের মাছও চলে এসেছে চরে। সেগুলো বেছে চরে শুকাতেও দিয়েছেন জেলেরা। চরে ৩০ হাজার জেলের এই কর্মযজ্ঞ চলবে পাঁচ মাস।

এর আগে উপকূলের জেলেরা শুঁটকি মৌসুমকে ঘিরে নিজ নিজ এলাকায় তাদের জাল, নৌকা মেরামত ও সরঞ্জামাদি প্রস্তুত করেন। এরপর বিভিন্ন এলাকার জেলেরা বাগেরহাটের দুবলার চরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার জড়ো হন মোংলায়। পরে গভীর রাতে তারা বন বিভাগের কাছ থেকে পাস-পারমিট নিয়ে দুবলার চরে যাত্রা শুরু করেন।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব জানান, ৩ নভেম্বর থেকে বঙ্গোপসাগর পাড়ে সুন্দরবনের দুবলার চরে শুরু হয়েছে শুঁটকি মৌসুম। এ মৌসুম চলবে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত। টানা পাঁচ মাস ধরে সেখানকার চরে থাকবেন হাজার হাজার জেলে। সাগরপাড়ের ওই চরে তাদের থাকতে গড়তে হবে অস্থায়ী থাকার ঘর, মাছ শুকানোর চাতাল ও মাচা। আর সেসব নির্মাণে সুন্দরবনের কোনও গাছপালা ব্যবহার করা যাবে না। তাই বন বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী দুবলার চরে যাওয়া জেলেরা সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন প্রয়োজনীয় সব সামগ্রী।

আলোরকোল অস্থায়ী ক্যাম্প ও দুবলা জেলেপল্লি টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীলিপ মজুমদার বলেন, ‘উপকূলের বিভিন্ন এলাকার জেলেরা বুধবার দিবাগত গভীর রাতে রওনা হয়ে এসে ভোর রাতেই পৌঁছে যান দুবলার চরে। শুক্রবার ভোর থেকে তারা চরে ঘর বাঁধতে শুরু করেছেন। এ থাকার ঘর বাঁধতে সময় লাগবে দুই-তিন দিন। এদিকে, ভোরে চরে এসেই ঘর, মাচা ও চাতাল তৈরির এবং অন্যান্য জিনিসপত্র নামিয়ে রেখে জাল এবং নৌকা নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে নেমেছেন অনেক জেলে। শুক্রবারের ভোরে জালের প্রথম খ্যাপের মাছও দুপুরে চলে এসেছে চরে। চরে সেই মাছ শুকাতেও দিয়েছেন তারা।’

দুবলার চরের মনোহারী দোকান ব্যবসায়ী মো. ফারুক বলেন, ‘বৃহস্পতিবার উপকূলের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা জেলেরা প্রথমে মোংলার মোংলা ও পশুর নদীতে অবস্থান নেন। পরে বন বিভাগের কাছ থেকে পাস নিয়ে শুক্রবার গভীর রাতে দুবলায় যেতে শুরু করেছেন। কেউ কেউ শুক্রবার গভীর রাতে গেছেন, কেউ শুক্রবার ভোরে, আবার কেউ দুপুরে গেছেন দুবলার উদ্দেশ্যে। মৌসুম শেষে জেলে ও ব্যবসায়ীরা আবারও ফিরে আসবেন নিজ নিজ এলাকায়। চরে আমার মুদি ও বিভিন্ন সামগ্রীর ব্যবসা রয়েছে।’

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ জানায়, এবারের শুঁটকি মৌসুমকে ঘিরে উপকূলের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৩০ হাজার জেলে সমবেত হবেন দুবলার চরে। তারা প্রায় দেড় হাজার ট্রলার নিয়ে মাছ ধরবেন গভীর সাগরে। সাগর থেকে আহরিত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বাছাই করে শুঁটকি করবেন তারা। এরপর সেই শুঁটকি বিভিন্ন মোকামে চালান করবেন তারা।

এ বছর চরে জেলেদের থাকা ও শুঁটকি সংরক্ষণের জন্য ১১০৮টি জেলেঘর ও ৭৮টি ডিপো স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে বন বিভাগ। গত শুঁটকির মৌসুমে দুবলার চর থেকে বন বিভাগের রাজস্ব আদায় হয়েছিল ছয় কোটি টাকা। আর এবার সাত কোটি টাকা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা মাথা নিয়েই পরিবার-পরিজন রেখে ৫মাস ধরে দুবলার চরে শুঁটকি তৈরিতে ব্যস্ত থাকবেন হাজার হাজার জেলে। মৌসুম শেষে বাড়িতে স্বজনের কাছে ফিরবেন তারা।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ