1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

নেতৃত্বহীন রাজনীতির মূল্য দিচ্ছে বিএনপি

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৩

নেতৃত্ব নিঃসন্দেহে একটি শিল্প। যোগ্য নেতৃত্বের ফলে একটা দল যেমন উন্নয়নের সর্বোচ্চ শিখরে আরোহন করতে পারে ঠিক তার বিপরীতে যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে অন্ধকারের অতল গহবরে হারিয়ে যাওয়ার ইতিহাসও আছে। বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যোগ্য নেতার নেতৃত্বের বলে একটি দল জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে দেশকে যেমন উন্নয়নের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌছে দিতে পারে তেমনি অযোগ্য এবং অদূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে সেই দলটি দেশের জন্য একটা অভিশাপে পরিণত হতে পারে। নেতৃত্ব সংকটের ফলে দেশ তথা দেশের নাগরিকের কাছে কতটা ভয়ংকর ও বিপদজনক হতে পারে তা তাদের কর্মকান্ড দেখেই বুঝা যায়। শুধু নেতৃত্ব সংকটের ফলে বিএনপি পুরো বাংলাদেশ তথা বাংলাদেশের জনগণের নিকট একটা অভিশাপে পরিণত হয়েছে। বিএনপি করা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ফলে বিএনপি এখন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নেতৃত্বহীনতার রাজনীতির মূল্য এখন গুনছে বিএনপি।

অযোগ্য এবং দেশ পলাতক প্রবাসী সন্ত্রাসী নেতার নেতৃত্বে বিএনপি এই গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে গত ২৮ শে অক্টোবর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মহাসমাবেশের নামে জ্বালাও-পোড়াও এবং আগুন সন্ত্রাস করার মাধ্যমে সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপির কর্মীরা রাজধানীতে যে ব্যাপক সহিংসতা চালিয়েছে তার অভিশাপ স্বরুপ জনগণ থেকে বিএনপি এখন পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে অস্তিত্ব সংকটের পথে অবস্থান করছে। গণতন্ত্রের নামে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন স্থাপনা ও যানবাহনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে দিনভর তান্ডব চালিয়েছে তারা। তাদের হামলায় নিহত হয়েছেন এক পুলিশ সদস্য এবং আহত হয়েছেন আরোও ৪১ জন। তাদের এই সন্ত্রাসী হামলায় পুলিশ ছাড়াও সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন শতাধিক। বিএনপির করা এই সন্ত্রাসী কর্মকাগেু কাকরাইল, পল্টন, রাজারবাগ, বিজয়নগরসহ আশপাশের এলাকা কার্যত রণক্ষেত্রতে পরিণত হয়েছে। বিএনপির অতীত ইতিহাস ও বর্তমান আগুন সন্ত্রাসী কর্মকাগু সম্পূর্ণভাবে প্রমাণ করছে যে বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন যা এদেশের সাধারণ জনগণের অপরিমেয় ক্ষতি করার মাধ্যমে জনগণের জন্য আশীর্বাদের পরিবর্তে অভিশাপে পরিণত হয়েছে। সারা বিশ্বে পরিচিত সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপির আন্দোলন বা মহাসমাবেশ মানেই আগুন সন্ত্রাস, জনগণের লাশ। যার ফলে বিএনপির জনবিচ্ছিন্নতা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। আর এই জনবিচ্ছিন্নতা বিএনপির জন্যই এখন অভিশাপ পরিণত হয়েছে। যোগ্য নেতৃত্বহীনতায় বিএনপি এখন অস্তিত বিলীনের পথে।

বাংলাদেশের একসময়ের বিরোধী দল বিএনপির বর্তমান সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন জায়গায় বক্তব্য প্রদানকালে তাদের সমন্বয়ের অভাবটা সহজভাবে অনুমেয়। তাদের আন্দোলনের গতি দেখেও বোঝা যায় তাদের নেতৃত্ব সংকট প্রকট। বিদেশে থেকে একটা দল পরিচালনার মতো গুরুদায়িত্ব পালন করা না গেলেও, বিএনপির মতো এত বড় একটা দল চলছে অনলাইনের দিক-নিদের্শনায়। তাদের নেতাকর্মীদের মধ্যেও কোনো সমন্বয় নেই। তাদের একটা আন্দোলনেও জোরালো ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি কাউকে। চিকিৎসার বাহানায় বেশিরভাগ নেতা বিদেশে অবস্থান করেন। আন্দোলনের সময় মাঠে না থেকে তারা অনলাইনে বেশি প্রচার করতেই ব্যতিব্যস্ত থাকেন। বিএনপি নেতাদের কাজকর্মে একটা বিষয় অন্তত স্পষ্ট যে তারা সবাই নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যস্ত। তাদের দল, দেশের রাজনীতি বা দেশের উন্নয়ন ও দেশের জনগণ নিয়ে কোনো ভাবনা তাদের নেই। বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের বক্তব্যেও স্পষ্ট তাদের কাছে কোনো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নেই, একেকজন নেতার ভাষ্য একেক রকম। তাদের আন্দোলনের কোনো ঠিক নেই, তাদের একবার ২৭ দফা, আরেকবার ৭ দফা তো আরেকবার একদফা। তাদের দফা প্রতিমুহূর্তে পরিবর্তন হয় কিন্তু আন্দোলনে গতি আসেনা। কোনো নির্দিষ্ট দফা ছাড়া আন্দোলন করে সফল হওয়ার নজির এদেশে নেই তবুও তাদের মধ্যে সমন্বয় নেই। তাদের জন্মলগ্ন থেকে একটু পর্যালোচনা করলেই স্পষ্টভাবে বোঝা যায় তাদের নেতৃত্ব সংকট শুরু থেকেই ছিল।

বাংলাদেশে যে দু’টি ধারার রাজনীতি দীর্ঘ সময় ধরে নেতৃত্বের আসনে- বিএনপি তার একটি। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের চেতনা নিয়ে দলটির যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। বিএনপি একটি মিশ্র ধারার রাজনৈতিক শক্তি। ২০০৬ সালের পর থেকে টানা ক্ষমতার বাইরে তাদের অবস্থান। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দুই বছরের অধিক সময় কারাগারে কাটিয়ে সরকারের নির্বাহী আদেশে জামিন লাভ করেছেন। কিন্তু রাজনৈতিক অঙ্গনে আজও মুক্ত হতে পারেননি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও দন্ডপ্রাপ্ত হয়ে দেশের বাইরে। মধ্যপন্থি রাজনীতির জনপ্রিয় একটি ধারার প্রতিনিধিত্ব করেও বিএনপি দীর্ঘ সময় ক্ষমতার বাইরে। জনসমর্থন থাকলেও দলটির নেতৃত্ব সেটিকে কাজে লাগিয়ে কার্যকর কোনো রাজনৈতিক চাপ তৈরি করতে পারেনি। বলা যায় বিএনপি নেতৃত্ব বিপুলসংখ্যক মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

নির্বাচনে সাফল্য পাবে না জেনে বিএনপি ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে। বিএনপিকে নির্বাচনী ভীতি পেয়ে বসেছে। ভীতি পাওয়া স্বাভাবিক, কারণ ২০০৮ সালে বিএনপি সর্বশক্তি প্রয়োগ করে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল। পরে উপনির্বাচনে তারা ৩০টি আসন অতিক্রম করতে পেরেছে। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন বর্জন করেছিল। আর ২০১৮ সালের নির্বাচনে সব দলের ঐক্য গড়ে ড. কামাল হোসেন সাহেবের মতো মানুষকে হায়ার করে নির্বাচনে অংশ নিয়ে নারী আসনসহ মাত্র ৭টি আসন পেয়েছিল। বিএনপি তাদের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে জানে, নির্বাচনে সাফল্য কতটুকু হতে পারে সেটি জানে, সেজন্য তাদের নির্বাচনী ভীতি পেয়ে বসেছে। ফলে ষড়যন্ত্রের পথেই হাঁটছে তারা।

দেশের রাজনীতিতে অবস্থান হারিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। ২০১৮ সালে কারাগারে যাওয়ার পর থেকে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। তার অবর্তমানে দল চালাচ্ছে লন্ডনে পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। খালেদা ও তারেক দুইজনই সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের সময় বিএনপি ভাড়া করে ড.কামাল হোসেনকে। কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং বিএনপির ভরাডুবি হয় নির্বাচনে। বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতারাই প্রকাশ্যে বলেন, ২০১৮ সালে ড. কামাল হোসেনকে ভাড়া করা বিএনপির সবচেয়ে বড় ভুল ছিলো।

এবারও দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে একই পথে হাঁটছে বিএনপি। তবে এবার সিদ্ধান্ত বিএনপির একার নয়। জানা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপি এবার ভাড়া করছে ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে। শুধুমাত্র ভাড়াই নয় বিএনপির চেয়ারপার্সনের দায়িত্বও দেওয়া হবে ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জানান, বিএনপি এখন ভাড়াটে দলে পরিণত হয়েছে। বিএনপির রাজনীতি নির্ভর হয় বিদেশি প্রভুদের উপর। বিদেশি প্রভুরা সুতা যেদিকে টানে বিএনপি সেদিকে নাচে। এদের বাংলাদেশের জনগণের উপর আস্থা নেই। ড. ইউনূস এদেশের গরিব মানুষের কাছ থেকে আদায় করা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। ড. ইউনুস শুরু থেকেই স্বপ্নের পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে গভীর ষড়যন্ত্র করেছে। পদ্মা সেতুর বিরোধিতাকারীরা দেশ-জাতির শত্রু, যুক্তরাষ্ট্রের কথায় এমন শত্রুকে বিএনপির চেয়ারপার্সন করা মানে বিএনপিও দেশের শত্রু।

বিএনপি শুধুমাত্র ষড়যন্ত্রের পথেই হাঁটছে আর পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছে। তারা দেশে-বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে আর বিদেশিদের হাতে পায়ে ধরে দেশে একটি বিশৃঙ্খলা তৈরি করা যায় কি না সেই চেষ্টায় সর্বদা লিপ্ত। নির্বাচন কমিশন অনেকটা তাদের দাবি মেনে নিয়েই ইভিএম থেকে সরে প্রিন্ট ব্যালটে ভোট করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এখানে তো বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর দাবিটাই মেনে নেয়া হয়েছে বলে বলা যায়। সুতরাং এখন তারা নির্বাচনের জন্য যদি তাদের দল গোছায় এবং নির্বাচনে আসে, সেটি তাদের জন্যই মঙ্গল হবে। বিএনপি’র নিজেদের ওপরই কোন আস্থা নাই। ক্রমাগতভাবে নির্বাচন থেকে পালিয়ে গেলে এক সময় পুরো বিএনপি দলটাই জনগণের কাছ থেকে পালিয়ে যাবে। নিজেদের ওপর আস্থা নেই বলেই বিএনপি জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে, সেটা তারা জানে। যার কারণে বিএনপিকে নির্বাচন-ভীতিতে পেয়ে বসেছে। সেজন্য ‘ইভিএমেও না’ এবং ‘ছাপানো ব্যালটেও না’ বলছেন তারা।

নির্বাচন কমিশন ঘোষণা অনুযায়ী চলতি বছরের ২৫ মে থেকে ২৯ জুনের মধ্যে দেশের পাঁচটি সিটি করপোরেশনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধান অনুযায়ী এ সব সিটির নির্বাচন হবে। এ নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন। তাহলে বিএনপির অসুবিধা কোথায়? এখানেও তাদের ভয়। কারণ এখানে হেরে গেলে জাতীয় নির্বাচনে আর সম্ভব না। এজন্য তারা ভয় পাচ্ছে। তাদের পলাতক দন্ডপ্রাপ্ত আসামিও বুঝে গেছে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সঙ্গে নির্বাচন করে লাভ নেই। এটা বুঝতে পেরে আজকে বিএনপির মনের জোর কমে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত তারা অদ্ভুত অদ্ভুত কথাবার্তা বলছে। এখন মনে হয় বেপরোয়া গাড়ির চালকের মতো রাজনীতির বেপরোয়া চালক ফখরুল সাহেব যেভাবে পথ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে গাড়ি চালাচ্ছে তাতে যে কোন সময় না দুর্ঘটনা হয়ে যায়। রাজনীতির দুর্ঘটনা ঘটার পথে হাটছে বিএনপি। এই অপশক্তিকে ঠেকাতে হবে।

এই ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করলে এটা স্পষ্ট হয়, বিএনপির লক্ষ্য রাষ্ট্রের ক্ষতিসাধন করা ও বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করা। তবে দলটি এবং তাদের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্য এবং খাসলত দেশের মানুষ হাড়ে হাড়ে চেনে, জানে। ইতিমধ্যে তাদের মুখোশ খুলে গেছে দেশবাসীর সামনে। জনসমর্থন ‘শূন্য’ এর নিচে নেমে গেছে তাদের। আর তাই জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বিএনপি। যার অংশ হিসেবে আপাতত তারা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় না গিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। দেশে মানবাধিকার নেই, রাজনৈতিক কর্মসূচি করা যাচ্ছে না, বাকস্বাধীনতা নাই- এসব দাবি করছেন বিএনপি নেতারা বাকস্বাধীনতার সর্বোচ্চ বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে পত্রিকায় এবং গণমাধ্যমে বিবৃতি ও কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে। আমরা বিএনপির কাছ থেকে রাজনৈতিক দল হিসেবে দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করি। রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও গুজব না ছড়িয়ে তাদের আসন্ন নির্বাচনের জন্য প্রতি নেওয়ার আহ্বান জানাই। সাংবিধানিক পন্থায় একমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমেই রাষ্ট্রক্ষমতার পরিবর্তন হতে পারে।

লেখক: অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া – উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবেক চেয়ারম্যান, ট্যুরিজম অ্যান্ড হস্পিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ