1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

জাতীয় পার্টির সামনে অপার সম্ভাবনার দ্বার

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৩

সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারলে জাতীয় পার্টির (জাপা) সামনে অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হতে পারে। দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নির্বাচন বর্জনে তৈরি হয়েছে এই সুযোগ। দেবর-ভাবির দ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়া, সঠিক সময়ে বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সঠিক মনোনয়ন নিশ্চিত করে পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারলে এই দলটি হতে পারে দেশের কার্যকর প্রধান বিরোধী দল। হয়ে উঠতে পারে রাষ্ট্রের ক্ষমতা নির্ধারণে সিদ্ধান্তকারী শক্তি। রচনা হতে পারে ভবিষ্যতে ক্ষমতায় যাওয়ার পথ। দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট সেভাবেই তৈরি হয়েছে। এখন শুধু সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে দলের নেতাদের।

জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী ও সমর্থক আছে সারাদেশে। সাংগঠনিক কাঠামো রয়েছে দেশব্যাপী। নেতৃত্বের দ্বিধাবিভক্তি, নেতাদের ক্ষমতার কাছাকাছি থাকার প্রবণতা এবং সঠিক কর্মসূচির অভাবে ছন্নছাড়া হয়ে আছে মাঠপর্যায়ের সংগঠন। অনেকে দল ছেড়ে অন্য প্ল্যাটফর্মেও যোগ দিয়েছেন। বলিষ্ঠ নেতৃত্ব পেলে এরা আবারও সংগঠিত হতে পারে। বাস্তবতা হচ্ছে, দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচন বর্জনে দৃঢ়তা দেখানোর কারণে বিরোধী রাজনীতিতে শূন্যতা তৈরি হয়েছে। সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হলেও জামায়াতে ইসলামী রয়েছে বিএনপির পথে। ইসলামী দলগুলো অতীতের মতো কখনো ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে না। শত-মতে বিভক্ত বাম দলগুলোর কোনো প্রভাব এখন আর রাজনীতিতে নেই। অল্প সময়ে তৃণমূল বিএনপি খুব একটা গুছিয়ে উঠতে পারবে না। প্রকৃত বিরোধী দলের হাল ধরার মতো রয়েছে একমাত্র জাতীয় পার্টির।

শুধু বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নয়, দলটির জন্য সেই সুযোগ তৈরি হয়েছিল ২০১৩-১৪ সালে। প্রথমে নির্বাচন বর্জন এবং পরে জ্বালাওপোড়াও ও সন্ত্রাসের রাজনীতি করে বিএনপি-জামায়াত ছিল অনেকটাই গণবিচ্ছিন্ন ও কোণঠাসা। জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল হওয়ার সুযোগ পেয়েছিল জাতীয় পার্টি। সেই সময় মহাজোট সরকারে যোগ না দিয়ে দলটি প্রকৃত বিরোধী দলে অবস্থান নিলে এখন ইতিহাস অন্যরকম হতে পারত। দলের তৎকালীন প্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নানা ব্যক্তিগত দুর্বলতা এবং পক্ষ বাছাইয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় দলটি আর নিজস্ব স্বকীয়তায় বিকশিত হয়ে উঠতে পারেনি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলেও জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের একটি ক্ষুদ্র অংশেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। এই সংসদেও প্রধান বিরোধী দল ছিল জাতীয় পার্টি। সময়ের আবর্তে এবং সংসদের ভেতরে বাইরে সোচ্চার থাকার কারণে আবারও জনসমর্থনের দিক থেকে শক্তিশালী হয়ে ওঠে বিএনপি। গৃহবিবাদে জর্জরিত এবং নেতৃত্বে দুর্বলতার কারণে সরকারবিরোধী জনসমর্থন আদায় করতে ব্যর্থ হয় জাপা।

করোনা মহামারি এবং বিশ্ব রাজনীতির অস্থিরতায় বিশ্বের প্রায় সব দেশেই দেখা দিয়েছে অর্থনৈতিক সংকট। বাংলাদেশও এর বাইরে থাকতে পারেনি। অর্থনৈতিক মন্দা এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিরোধী রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয় বিএনপি। বাড়তে থাকে জনসমর্থনের পাল্লা। পরিকল্পিত মাঠের রাজনীতিতে ব্যাপক সাফল্য পায় দলটি। সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটিয়ে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত চাঙ্গা হয়ে ওঠে দলের নেতাকর্মীরা।

প্রথমে বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ এবং পরে রাজধানীতে বিশাল শোডাউনে শক্তিমত্তার পরিচয় দিলেও চূড়ান্ত পর্যায়ে ভুল সিদ্ধান্তে বারবার পিছিয়ে পড়েছে তারা। অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনে দেশী-বিদেশী শক্তির আশ্বাস সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত তারা নির্বাচন বর্জনের পথেই হেঁটে চলেছেন। সহিংসতার মাধ্যমে নির্বাচন প্রতিহত করার সিদ্ধান্ত ছিল তাদের সর্বশেষ ভুল। এতদিন সরকারবিরোধী মনোভাবাপন্ন যে জনশক্তি জড়ো হয়েছিল তাদের পেছনে, তারা এখন চরম হতাশ। পথে-ঘাটে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বললেই বিষয়টি স্পষ্ট বোঝা যায়।
জাতীয় পার্টির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেছে, বিএনপির রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে হতাশ জনগোষ্ঠীর সমর্থন পাওয়ার জন্য সঠিক পরিকল্পনার পথে এখনো হাঁটতে পারছেন না দলের নেতারা। সিনিয়র নেতারা বহু মতে বিভক্ত। অনেকে নিজের ব্যক্তিগত ভবিষ্যৎ গড়তে সরকারের নানা মহলে যোগাযোগ রাখছেন। প্রেসের সঙ্গে একেক জন একেক কথা বলছেন। সিদ্ধান্ত আসছে কখনো সংসদীয় দলের প্রধান রওশন এরশাদের কাছ থেকে। দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের রয়েছেন চরম সিদ্ধান্তহীনতায়। তিনি নিজেও জানেন না তার দল ভবিষ্যতে কোন পথে হাঁটবে।

২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে, আপনারা কি করছেন’ একজন সিনিয়র সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা কিছুই করছি না, শুধু দেখে যাচ্ছি।’ অতি সম্প্রতি তারা অবশ্য দলীয় মনোনয়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। জাতীয় পার্টির একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘দলের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে চান। আলোচনার বিষয় আসন ভাগাভাগি এবং মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্তির সংখ্যা নিয়ে। প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিলে তারা নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করবেন।’ ফাঁকা মাঠেও দলটি এককভাবে ক্ষমতায় যাওয়া কিংবা দেশের প্রধান ও শক্তিশালী বিরোধী দলের চিন্তা করতে পারছে না। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে ক্ষমতার অংশ হতে চাচ্ছেন!

বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসা কিংবা অন্য কোনো পথে সরকার বদলের চেষ্টায় ব্যর্থ মহলটি এখন অন্যভাবে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার পরিকল্পনা শুরু করেছে। বিএনপির পুনর্বাসন কিংবা নির্বাচন প্রতিহত করার চিন্তা এখন আর এদের মাথায় নেই। এখন তারা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলা কিংবা নির্বাচনের পর অর্থনৈতিকভাবে চাপে ফেলার নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। তারা আগামী নির্বাচন কঠোরভাবে মনিটরিং করবে। নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম পাওয়া গেলে তারা চেষ্টা করবে আন্তর্জাতিক ইস্যু তৈরির। প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইবে সরকারের বৈধতার। এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে পারলে তারা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নানাভাবে সরকারের ওপর অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করবে।

সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ করে বোঝা গেছে, তারাও বিষয়টি নিয়ে সচেতন রয়েছেন। তারা এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরির সুযোগ করে দিতে চান না। সরকারের দিক থেকে আগেও বলা হয়েছে, তারা একটি অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চান। এটি তাদের কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য নয়। তারা এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে চান। তারা কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি দেখতে চান এবং নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করতে বদ্ধপরিকর। নির্বাচন কমিশনকে ইতোমধ্যে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে। এমন একটি নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ সামনে রেখেই ক্ষমতাসীনরা এবার তাদের দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে।

সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ক্ষমতাসীনদের মনোভাব বিশ্লেষণ করে যথাযথ বিরোধী দলের শূন্যস্থান পূরণে জাতীয় পার্টির দ্রুত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করার কথা। ক্ষমতার ভাগ বাটোয়ারা কিংবা মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়ার চিন্তা না করে তারা বৃহৎ ও কার্যকর বিরোধী দলের লক্ষ্য স্থির করতে পারলে সাফল্য খুব একটা দূরে নয়। বর্জনের কারণে আগামী নির্বাচনে বিএনপির কোনো অস্তিত্ব না থাকলেও সরকারবিরোধী ভোটাররা মাঠে থাকবে। বিগত কয়েকটি উপনির্বাচনে এই আভাস পাওয়া গেছে। মানুষ সঠিকভাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে হিরো আলমের মতো প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করতে পারেন, এই সত্য প্রমাণ হয়ে গেছে। অভ্যন্তরীণ সব সমস্যা দূর করে সারাদেশে তিনশ’ আসনে সঠিক মনোনয়ন দিতে পারলে জাতীয় সংসদে ভালো অবস্থান তৈরি করতে পারবে জাপা।

আবারও সহিংসতায় জড়িয়ে বিএনপি ইতোমধ্যে জনসমর্থন হারাতে শুরু করেছে। এর মধ্যে তাদের অবরোধ-হরতাল কর্মসূচি ব্যর্থ হতে চলেছে। অবরোধ ভেঙে রাজধানীসহ সারাদেশের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। আন্তঃজেলা পরিবহনগুলোও স্বাভাবিক হওয়ার পথে। ২০১৪ সালেও তাই হয়েছিল। অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ঘোষণা দিয়ে বিএনপি জ্বালাওপোড়াও করে খুব বেশি দিন ধরে রাখতে পারেনি। কর্মসূচি প্রত্যাহার করা না হলেও এক সময় সবই স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিল। অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহারের সুযোগও তারা পাননি। এবার তারা ২০১৩-১৪ সালের মতো পরিস্থিতিও তৈরি করতে পারেনি। সফলভাবে নির্বাচন হয়ে গেলে আগামী পাঁচ বছর কোণঠাসা হয়েই থাকতে হবে বিএনপিকে।
নির্বাচনের বৈতরণী পার হতে পারলেও আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য সামনে খুব একটা সুখকর পরিস্থিতি থাকবে না। বিশ্ব রাজনীতিতে সহসা স্থিতিশীলতা আসবে না। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অনিবার্য পরিণতি মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা। এর রেশ যেতে পারে তাইওয়ানের দিকে। বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপের দিকেই যাবে। বাংলাদেশ এই অবস্থা থেকে মুক্ত হতে পারবে না। বিশ্ব পরিস্থিতি ছাড়াও বাংলাদেশের সামনে রয়েছে মেগা প্রকল্পগুলোতে বিনিয়োগকৃত ঋণ পরিশোধের ঝক্কি। একই সঙ্গে রয়েছে একটি প্রভাবশালী দেশের নেতিবাচক মনোভাব।

সব মিলিয়ে অনেকটা সময় দেশের অর্থনীতি থাকবে চাপের মুখে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সামলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে। স্বাভাবিকভাবেই থাকবে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ। বড় বিরোধী দল নিয়ে জাতীয় পার্টি সংসদের ভেতরে-বাইরে যথাযথ বিরোধী দলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারলে এই পাঁচ বছরে তারাই হয়ে উঠতে পারে দেশের প্রধান বিরোধী দল।

গত বৃহস্পতিবার অবশ্য জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেছেন, তারা মহাজোট থেকে বের হয়ে নিজেরা এককভাবে নির্বাচন করবেন। কোনো জোটে যেতে তারা নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেননি। সারাদেশে তিনশ’ আসনে দলের মনোনয়ন বিক্রি হয়েছে দুই হাজারের মতো। তিন দিন ধরে মনোনয়ন প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে। দু’-একদিনের মধ্যে তারা চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবেন। সংবাদ সম্মেলনে চুন্নু বলেন, ‘দেশে এখন আওয়ামী লীগ বিরোধী ভোটের সংখ্যা বেশি। এই ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারলে জাতীয় পার্টি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতাও পেতে পারে। যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাই, সরকার গঠন করতে পারি তা হলে আমাদের অনেকেরই দেশ চালানোর যোগ্যতা আছে।

আমাদের অনেকে মন্ত্রী ছিলেন, তাদের অভিজ্ঞতা আছে। আমরা দেশে সুশাসন দিতে পারব। নির্বাচনে জয়ী হতে পারলে জাতীয় পার্টি দেশে বেকারত্ব দূর করবে। দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখবে। সুশাসন দেবে, কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করবে, দুর্নীতি দূর করবে, সবার জন্য সুচিকিৎসা নিশ্চিত করবে। নির্বাচন ব্যবস্থা পরিবর্তন করে আনুপাতিক হারে নির্বাচনের পদ্ধতি বাস্তবায়ন করবে। আমরা চাই নির্বাচনকালীন কেউ অনিয়ম করলে নির্বাচন কমিশন যেন তার বিরুদ্ধে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে পারে। দলে কোনো বিভেদ নেই। জিএম কাদেরের নেতৃত্বে সবাই ঐক্যবদ্ধ।’

এটি যদি তাদের ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে, তবে বলা যায় দেরিতে হলেও একটি সঠিক সিদ্ধান্ত তারা নিতে পেরেছে। এর মধ্যে যদি দলের অন্য কোনো গ্রুপ মহাজোটে যোগ দিয়ে ক্ষমতার কাছাকাছি যেতে না চায়, দেবর-ভাবির সম্পর্ক পুনঃস্থাপিত হয়, দলে সত্যিকার অর্থে ঐক্য তৈরি হয়, তবে সামনে দলটির জন্য ভালো কিছু অপেক্ষা করছে। সত্যিকারের খাঁটি রাজনীতির পথে যদি তারা এগোতে পারেন, তবে জামায়াত-বিএনপির অপরাজনীতি থেকে সরে এসে সরকারবিরোধী জনসমর্থন তাদের পক্ষেই সমর্পিত হবে। সঠিক নেতৃত্ব, জনমুখী রাজনৈতিক কর্মসূচি এবং কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে পারলে, আগামী ২০২৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে দলটি ক্ষমতার দাবিদার হয়ে উঠলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

লেখক: ওবায়দুল কবির – নির্বাহী সম্পাদক, জনকণ্ঠ।

সূত্র: জনকণ্ঠ


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ