1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

নির্বাচনী ঝড়ে লন্ডভন্ড বিএনপি

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩

বিএনপি ছাড়ছে একের পর এক সিনিয়র নেতা, যুগপৎ আন্দোলন থেকে বেরিয়ে গেছে অনেক শরিক দল। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দলে বইছে নির্বাচনী জোয়ার। আর বিএনপি নির্বাচনে আসবেনা বলে ঘোষণা দিয়েছে। আর যার ফলে বিএনপির জোটে ধরেছে ভাঙন। নেপথ্যে রয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ।

বিএনপি ও সমমনা জোটের অন্যতম সঙ্গী বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট আসছে নির্বাচনে। এর মধ্যদিয়ে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটে ভাঙন ধরেছে। এছাড়া বিএনপির প্রায় ২০০ নেতা স্বতন্ত্র কিংবা অন্য দলে যোগ দিয়ে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্যে খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ একে একরামুজ্জামান ব্রাক্ষণবাড়িয়া-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন। এছাড়া রাজশাহী বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টু রাজশাহী-৩ আসন থেকে নির্বাচনে করবেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহ মো. আবু জাফর বিএনপি থেকে বিএনএমে যোগ দিয়েছেন। তিনি ফরিদপুর-১ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। বিএনপির সাবেক এমপি মেজর আখতারুজ্জামানও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করবেন।

মূলত নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার দ্বন্দ্ব থেকেই বিএনপিতে ভাঙন শুরু। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে শীর্ষ নেতাদের মধ্যকার দ্বন্দ্বে দিশেহারা হয়ে পড়েছে বিএনপি। ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ দিয়ে সারাদেশে নাশকতা করার পর বিএনপির সিনিওর অনেক নেতা এর দায় নিতে রাজি হয়নি। আন্দোলনেও তারা আর আগ্রহী নয়। কিন্তু তারেক জিয়া সিনিওর নেতাদের কথা শুনতে নারাজ। সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে, রক্তের উপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতায় যেতে চায় সে। কিন্ত বিএনপির সিনিওর নেতারা এতে রাজি নয়। তারা মনে করছে লন্ডনে বসে আরাম আয়েসে জীবন কাটিয়ে তারেক জিয়া কর্মী সমর্থকদের বিপদে ফেলছে। কিন্তু তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত পরিবর্তণ না হওয়ায় তারা দল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে।

বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মেজর আখতারুজ্জামানসহ অনেক নেতা মনে করেন নির্বাচনে না গিয়ে বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি দুর্বল হয়ে গেছে। কোন আন্দোলন করার দক্ষতা বিএনপির নেই। সেজন্য নির্বাচনে গিয়ে গণতান্ত্রিক ধারায় থেকে রাজনীতি করতে হবে। এভাবেই বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং কর্মীদের মনোবল বাড়বে। বিএনপির নেতারা স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে চাওয়ায় অনেক জায়গায় বিএনপির স্থানীয় নেতা কর্মীরা আনন্দ মিছিল করেছে এবং মিষ্টি বিতরণ করেছে।

এছাড়া রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হরতাল-অবরোধ, আগুন সন্ত্রাস করে বিএনপি নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না যেমনটা আগেও পারেনি। নির্বাচনে না আসার কারণে বিএনপির নেতারা দল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দিয়ে নির্বাচনে আসছে। ফলে বিএনপির দল হিসাবে টিকে থাকাই বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচনী ঝড়ে বিএনপি লন্ডভন্ড হয়ে যাচ্ছে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ

নির্বাচিত