1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

২০৩০ সালের মধ্যে মেট্রোরেলের আওতায় আসবে পুরো রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২

কলকাতায়  মেট্রোরেল  নির্মাণ শুরু হয় ১৯৭২ সালে, আর চালু হয় ১৯৮৪ সালে। কিন্তু ঢাকায়  ২০১০ সালেও মেট্রোরেল ছিল স্বপ্ন। কিন্তু সেই স্বপ্ন আজ বাস্তব। ঢাকা শহরের  কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা ২০০৪-২৪ এ  প্রধান ছয়টি সুপারিশের  পাঁচ নম্বরে ছিল তিনটি ম্যাস ট্রানজিট লাইন তৈরি করা। ২০০৯ সালে পরিকল্পনা অনুমোদন, ২০১২ সালে প্রকল্প অনুমোদন, ২০১৬ সালে নির্মাণকাজ শুরু। আর কাজ শুরুর মাত্র ছয় বছরের মধ্যে মেট্রোরেলের যাত্রা শুরু হলো।

মেট্রোরেল নির্মাণের পরিকল্পনাটি ২০০৯ সালে অনুমোদিত হয়। পরে এটি সংশোধিত হয়ে আরএসটিপি ২০১৫-৩৫ নামে অভিহিত হয়। এখানে এমআরটি লাইন তিনটির পরিবর্তে পাঁচটি করার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।

প্রথম কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ২০০৯ সালে এমআরটি লাইন ৬ উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত নির্মাণ করার সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু হয়। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো অপারেশন এজেন্সি থেকে এই সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজটা হয়। ২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার হিসেবে মেট্রোরেল প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে অনুমোদন পায়।

সরকার মেট্রোরেলের পরিকল্পনা, সার্ভে, ডিজাইন, অর্থায়ন, নির্মাণ, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ২০১৩ সালের ৩ জুন ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) প্রতিষ্ঠা করে।

২০১৬ সালের ২৬ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে প্রথম মেট্রোরেলের লাইন-৬ (উত্তরা থেকে মতিঝিল) নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৬টি স্টেশন ও ২৪টি ট্রেনের মাধ্যমে ঘন্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

ইতোমধ্যে, উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের শেষে উদ্বোধন হচ্ছে স্বপ্নের মেট্রোরেল। এ লাইনের আগারগাঁও থেকে কমলাপুর অংশ আগামী ডিসেম্বরে উদ্বোধন হতে পারে বলে জানিয়েছে ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী  ওবায়দুল কাদের বলেন,  ২০৩০ সালের মধ্যেই ছয়টি লাইনই দৃশ্যমান হবে। তিনি বলেন, আমাদের পরবর্তী লক্ষ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন স্মার্ট পরিবহন। পৃথিবী এগিয়ে চলছে, আমরা পিছিয়ে থাকতে পারি না। জাপান আমাদের উন্নয়নের অংশীদার। আমরা আজকের বাংলাদেশকে উত্তরোত্তর পরিবহন খাতে, যোগাযোগ খাতে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছি।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ