1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ভোলার গ্যাস দক্ষিণবঙ্গের উন্নয়নে কাজে লাগাবে সরকার

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩

গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত না হলেও আশা দেখাচ্ছে ভোলার গ্যাস। এই গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে সরকার। এ জন্য ভোলায় গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোর ওপরও জোর দেওয়া হচ্ছে। পাইপলাইন নির্মাণ করতে যে খরচ হবে তার তুলনায় কম গ্যাস পাওয়া গেলে প্রকল্পটি বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক হবে না। তাই ভোলায় গ্যাসের উৎপাদন বাড়িয়ে অন্তত বরিশাল পর্যন্ত এই গ্যাস নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান।

সম্প্রতি জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সরকার ভোলার গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ করতে ভোলা থেকে বরিশাল পর্যন্ত পাইপলাইন নির্মাণ করবে। এরপর বরিশাল থেকে খুলনা পর্যন্ত আরও একটি পাইপলাইন নির্মাণ করা হবে। মূলত এভাবেই ভোলার গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে। ভোলার গ্যাস জাতীয় গ্রিডে এলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বিপুল শিল্পায়নের সম্ভাবনা তৈরি হবে। খুলনা ও বরিশালে বন্ধ কারখানাগুলো ফের চালু করা যাবে। পদ্মা সেতুর জন্য যোগাযোগ সহজ হওয়ায় এই এলাকার প্রতি উদ্যোক্তাদের এমনিতেই নজর রয়েছে। এর সঙ্গে জ্বালানির সংস্থান হলে নতুন নতুন কারখানা নির্মাণে অনেকে আগ্রহী হবেন।

ভোলার ইলিশা ও শাহবাজপুরে দুটি খনিতে গ্যাস পেয়েছে বাপেক্স। এই দুই খনি থেকে এখন যে গ্যাস তোলা হচ্ছে তা দিয়ে ভোলায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। তবে ভোলায় অব্যবহৃত অনেক গ্যাস রয়ে যাচ্ছে। পাইপলাইন থাকলে এখন অন্তত প্রতিদিন ৭০/৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ভোলা থেকে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হতো।

পাইপলাইন না থাকায় সীমিত পরিসরে সিএনজি করে ভোলার গ্যাস ঢাকায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এই প্রক্রিয়ায় দেশের একটি বেসরকারি কোম্পানি প্রতিদিন মাত্র পাঁচ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আনতে পারবে। তবে সিএনজি করে ট্রাকে গ্যাস আনতে যে অবকাঠামো নির্মাণ করতে হয় তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় এই প্রক্রিয়াতে বেশি গ্যাস আনা সম্ভব না।

গত বছর ১৯ অক্টোবর ভোলায় তিন নম্বর কূপে গ্যাস পাওয়ার ঘোষণা দেয় জ্বালানি বিভাগ। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে ভোলা নর্থে গ্যাস পাওয়ার ঘোষণা দেন। এরপর তিনটি কূপ খনন করলে তিনটিতেই গ্যাস পায় বাপেক্স। ১৯৯৬ সালে ভোলার শাহবাজপুরে প্রথম গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করা হয়।

তবে গ্রিড লাইন না থাকায় ভোলার গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি (জিটিসিএল) ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের একটি পাইপলাইন নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে। ভোলার শাহবাজপুর গ্যাস ফিল্ড থেকে ভোলা নর্থ গ্যাস ফিল্ড হয়ে বরিশালের লাহারহাট পর্যন্ত পাইপলাইনটি আসবে। এই প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। তবে প্রকল্পটির বিস্তারিত সমীক্ষা করা হয়নি। সমীক্ষার পর এই ব্যয় আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।

জানতে চাইলে জিটিসিএলের একজন কর্মকর্তা বলেন, ভোলা থেকে বরিশাল পর্যন্ত পাইপলাইনের বেশিরভাগই পানির মধ্যে দিয়ে নির্মাণ করতে হবে। ফলে এখানে জটিলতা বেশি। তবে ভূমি অধিগ্রহণে ব্যয় ও সময় কম হওয়ায় আবার কিছু সুবিধাও পাওয়া যাবে। আমরা সরকারের কাছে প্রকল্প জমা দিয়েছি। এখন পুরো বিষয়টি সরকারের ওপর নির্ভর করছে।

এদিকে সোমবার (১১ ডিসেম্বর) মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন, ভোলায় যে গ্যাস পাওয়া গেছে সেটা স্থানীয়ভাবে সার কারখানা নির্মাণ করে ব্যবহার করা যায় কিনা তার সম্ভাব্যতা যাচাই করতে হবে। এগুলো ঢাকায় এনে সিলিন্ডারে করে ব্যবহার হচ্ছে এখন, যদিও তা সামান্য। তাই ওই এলাকায় এটার যথাযথ ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ