ফেনীর সোনাগাজীতে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় স্ত্রীর করা মামলায় তিনমাসের সশ্রম কারাদণ্ড পেয়েছিলেন নবী উল্যাহ (৫৫)। সেই সাজা থেকে বাঁচতে ১৮ বছর পালিয়ে ছিলেন চট্টগ্রামে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশের কাছে ধরা পড়েছেন তিনি।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার সোনাপুর এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নবী উল্যাহকে গ্রেফতার করা হয়। বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নবী উল্যাহ উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর এলাকার শেখ আহাম্মদের ছেলে।
পুলিশ জানায়, নবী উল্যাহ একে একে চারটি বিয়ে করেন। ২০০৫ সালে দাম্পত্য কলহের জেরে তাকে আসামি করে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে এক স্ত্রী বাদী হয়ে ফেনীর পারিবারিক আদালতে মামলা করেন। ওই মামলায় নবী উল্যাহকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। সপ্তাহখানেক কারাভোগের পর তিনি জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান। এরপর আর আদালতে হাজির হননি। পরে দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত তাকে তিনমাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
সোনাগাজী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদ হাসান জানান, নবী উল্যাহ চট্টগ্রামে আত্মগোপনে থাকায় তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। গ্রেফতার এড়াতে তিনি প্রায়ই স্থান পরিবর্তন করতেন। কয়েকদিন আগে তাকে ধরতে তিনি নবী উল্যাহর গ্রামের বাড়িতে ও সম্ভাব্য কয়েকটি স্থানে গিয়ে খোঁজখবর নেন। পরে এক ব্যক্তির মাধ্যমে জানতে পারেন নবী উল্যাহ চট্টগ্রামে থাকেন। মাঝে মধ্যে রাতে বাড়িতে এসে আবার ভোর হওয়ার আগে চলে যান। পরে ওই ব্যক্তিকে সোর্স নিয়োগ করে তার কাছ থেকে নবী উল্যাহর ফোন নম্বর ও ছবি সংগ্রহ করা হয়। সেই নম্বরের সূত্র ধরে শনিবার সকালে উপজেলার সোনাপুর এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায় পলাশ আসামিকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকেলে তাকে ফেনী কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
