1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ফুটবলে ‘সাদা কার্ড’ এর যাত্রা শুরু! 

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩

ফুটবলে হলুদ কার্ড, লাল কার্ডের ব্যবহার তো প্রতি ম্যাচেই দেখেন। সেই যে ১৯৭০ বিশ্বকাপ থেকে কার্ড প্রচলন শুরু হয়েছে, সেই থেকে খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফের সদস্যসহ দলের সঙ্গে সম্পৃক্তদের শাস্তি-দণ্ড হিসেবে হলুদ কার্ড, লাল কার্ড দিয়ে থাকেন রেফারিরা। কিন্তু কখনো কি কোনো রেফারিকে ‘সাদা কার্ড’ দিতে দেখেছেন? এতদিন না দেখলেও এখন থেকে হয়তো দেখবেন। পর্তুগালের ফুটবলপ্রেমীরা এরই মধ্যে রেফারির ‘সাদা কার্ড’ প্রদর্শনের ঘটনা দেখেও ফেলেছেন। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দেশে ফুটবলে ইতিহাসে প্রথম বারের মতো ‘সাদা কার্ড’ দেখালেন রেফারি।

ইতিহাসটা রচনা করলেন পর্তুগালের নারী রেফারি পার জো। গত শনিবার পর্তুগালের ‘মহিলা কাপে’ বেনফিকা ও স্পোর্টিং লিসবনের মধ্যকার ম্যাচে রেফারি পার জো ইতিহাসে প্রথম বারের মতো ‘সাদা কার্ড’ দেখানোর কীর্তিটা গড়েন। প্রশ্ন উঠতে পারে, হলুদ কার্ড, লাল কার্ড তো শাস্তি হিসেবে দেওয়া হয়, সাদা কার্ড কি হিসেবে দেখালেন পার জো? এই প্রশ্নের উত্তরে লুকিয়ে রয়েছে বড় এক মাহাত্ম্য। শাস্তি, তিরস্কার বা সতর্কবার্তা হিসেবে নয়, পার জো ‘সাদা কার্ড’ দেখিয়েছেন শান্তির প্রতীক হিসেবে, ধন্যবাদ বা কৃতজ্ঞতা স্বরূপ! কোনো খেলোয়াড় বা কোচিং স্টাফের সদস্যদের নয়, তিনি ‘সাদা কার্ড’ দেখিয়েছেন দুই দলের মেডিক্যাল টিমের সদস্যদের!

নারীদের এই ম্যাচটিতে এক পর্যায়ে ৩-০ গোলে এগিয়ে ছিল বেনফিকা। ঠিক তখনই দলের অবস্থা শোচনীয় দেখে হঠাতই অসুস্থ হয়ে পড়েন স্পোর্টিং লিসবনের এক সমর্থক। তাকে চিকিৎসা সুবিধা দেওয়ার জন্য অন্য সমর্থকরা আয়োজকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সঙ্গে সঙ্গেই বেনফিকা ও স্পোর্টিং লিসবন, দুই দলেরই মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা দৌড়ে গিয়ে চিকিৎসা দিয়ে ঐ সমর্থককে অনেকটাই সুস্থ করে তুলেন। চিকিৎসা দিয়ে তারা নিজ নিজ দলের ডাগআউটের দিকে ফিরছিলেন। তখনই পকেট থেকে ‘সাদা কার্ড’ বের করে দুই দলের মেডিক্যাল সদস্যদের দেখান রেফারি পার জো। মানে আগে থেকেই রেফারি জো ‘সাদা কার্ড’ সঙ্গে নিয়ে যান। প্রথমে অবশ্য কেউ ‘সাদা কার্ডে’র ব্যাপারটা বুঝতেই পারেননি। সবাই মনে করেছিলেন হয়তো হলুদ কার্ড বা লাল কার্ড বের করতে গিয়ে ভুল করে রেফারি সাদা কার্ড বের করেছেন। এমনকি ওটা যে ‘সাদা কার্ড’ সেটাও কেউ প্রথমে বুঝতে পারেননি। মনে করেছিলেন সাদা কাগজ মতো কিছু হয়তো!

যাদেরকে ‘সাদা কার্ড’ দেওয়া হয়েছে, তারাও প্রথমে হকচকিয়ে যান, কি অপরাধ করেছেন তারা! আর শাস্তিযোগ্য কিছু করলে তো হলুদ কার্ড বা লাল কার্ড দেওয়া হবে, ‘সাদা কার্ড’ কেন। পরে আসল কারণটি জানার পর স্টেডিয়ামে উপস্থিত দুই দলের খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, মেডিক্যাল টিমের সদস্য, দর্শক সবাই রেফারি পার জোকে করতালির মাধ্যমে অভিনন্দন জানান।

অবশ্য এই প্রশ্নটিও উঠছে, ফুটবল ম্যাচে নিয়মের বাইরে গিয়ে ‘সাদা কার্ড’ দেখানোটা কি যুক্তিসংগত হয়েছে। রেফারি পার জো বলেছেন, ফুটবলের মূল্যবোধ বাড়াতেই এক কাজ করেছেন তিনি, এতে দোষের কিছু নেই। পর্তুগাল ফুটবল ফেডারেশনও জো’র কীর্তিকে সমর্থন জানিয়েছে। অবশ্য কেউ কেউ সমালোচনাও করছেন। কেউ বলছে, ম্যাচ চলাকালে এমনটা করার কোনো দরকার ছিল না। কেউ বলেছেন, এতে শুধু সময় ক্ষেপণই হয়েছে। তবে ‘নতুন দৃষ্টান্ত’ সৃষ্টির জন্য সমালোচনার তুলনায় পার জো প্রশংসিতই হচ্ছেন বেশি। পার জোর হাতে গোড়া পত্তন যখন হলো, এখন থেকে হয়তো লাল-হলুদের পাশাপাশি বিশ্ব ফুটবলে ‘সাদা কার্ড’-এর ব্যবহারও প্রায়ই দেখা যাবে! উল্লেখ্য, শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা ৫-০ গোলে জিতে মহিলা কাপের সেমিফাইনালে উঠেছে বেনফিকা।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ