1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

দেশের চাহিদা মিটিয়ে কুষ্টিয়ার পান রপ্তানি হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে

কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৩

দেশের পানের স্বাদ ও সুনাম সীমানা পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে অন্য দেশেও। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি কুষ্টিয়ার পান মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি লাভবান হচ্ছেন কৃষক।

সংশ্নিষ্টরা মনে করেন, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আরও উদ্যোগী হলে শুধু মধ্যপ্রাচ্যে নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পান রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব। তা ছাড়া কুষ্টিয়ায় পান গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার দাবি করেছেন কৃষকরা।

দেশের নানা প্রান্তে পানের চাষ হলেও বৈশিষ্ট্য ও স্বাদে বৃহত্তর কুষ্টিয়ার (কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ) পানের কদর সারাদেশে। দীর্ঘদিন ধরে এ অঞ্চলের চাষিরা অর্থকরী ফসল হিসেবে পান চাষ করে আসছেন। পান চাষের সঙ্গে এই এলাকার মানুষের জীবনের সুখ-দঃখের নানা গল্প-কাহিনি মিশে আছে।

কুষ্টিয়ার প্রায় সব উপজেলায় কমবেশি পান চাষ হয়। তবে ভৌগোলিক ও উপকরণের সহজলভ্যতার কারণে কুষ্টিয়া সদর, ভেড়ামারা ও দৌলতপুর উপজেলায় চাষ হয় প্রচুর। অন্য ফসল চাষাবাদের পাশাপাশি হাজারো কৃষক পান চাষে জড়িত। কয়েক বছর ধরে সৌদি আরব, জর্ডানসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে রপ্তানি হচ্ছে কুষ্টিয়ার পান।

চাষিরা জানান, পান চাষকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়ায় অনেকগুলো বাজার ও হাট গড়ে উঠেছে। বাজারগুলোতে চাষিদের কাছ থেকে ফড়িয়া বা আড়তদাররা পান কিনে দেশের বিভিন্ন বাজারে পাঠান। মাঝে মাঝে অন্যান্য অঞ্চলের ব্যবসায়ীরাও এসব বাজার থেকে পান কিনে নিয়ে যান।

৮০টিতে এক বিড়া বা পন হিসেবে পান বিক্রি হয়। সারাদেশে একই পদ্ধতিতে পান বেচাকেনা করা হয়। পানের ক্ষেতকে স্থানীয়ভাবে ‘পান বরজ’ বলা হয়। চাষিরা বরজ থেকে পান ভেঙে বাজারে বিক্রি করে থাকেন।

কৃষকরা জানান, রপ্তানিযোগ্য পান সরাসরি চাষিদের ‘বরজ’ থেকে সংগ্রহ করা হয়, বাজার থেকে নয়। রপ্তানির জন্য সংগ্রহ করা পানকে ফড়িয়ারা (ব্যবসায়ী) ‘সাপ্লাই পান’ বলে থাকেন। যেসব চাষি সাপ্লাই পান বিক্রি করতে ইচ্ছুক, তাঁরা ফড়িয়াদের সংবাদ দেন। ফড়িয়ারা ক্ষেতে গিয়ে নিজস্ব লোকজন দিয়ে পান সংগ্রহ করেন।

তবে রপ্তানির জন্য সব ক্ষেত থেকে পান সংগ্রহ করা হয় না। আকারে বড়, ওজনে ভালো, সুন্দর রং এবং রোগবালাইমুক্ত পান সংগ্রহ করা হয়। চলতি বাজার মূল্যের তুলনায় বেশি দামে এসব পান বিক্রি হয়। ক্ষেতের সেরা পানগুলোই নেওয়া হয়। ফড়িয়ারা সারাদিন ক্ষেত থেকে পান সংগ্রহ করে ঢাকায় রপ্তানিকারকদের কাছে পৌঁছে দেন। দিন দিন রপ্তানি পানের চাহিদা বাড়ছে।

দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া গ্রামের পান চাষি সাগর জানান, বর্তমানে এক পন পান গুণমান অনুযায়ী ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ভেড়ামারা উপজেলার কুচিয়ামোড়া গ্রামের চাষি ফজলুর রহমান বলেন, বিজ্ঞানসম্মতভাবে আধুনিক পদ্ধতিতে পান চাষ করা গেলে রপ্তানিযোগ্য পানের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হবে। তিনি কুষ্টিয়ায় পান গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।

ফড়িয়া জমশেদ আলী জানান, চাষিদের কাছ থেকে পন হিসাবে পান কেনা হলেও পরে তা কেজি হিসাবে বিক্রি করা হয়। রপ্তানিকারকদের এজেন্ট হিসেবে তাঁরা পান সংগ্রহ করেন। কুষ্টিয়া থেকে প্রতিদিন গড়ে ১০ টন পান রপ্তানির জন্য সংগ্রহ করা হয়। বছরের তিন থেকে চার মাস এই সংগ্রহ চলে। নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস রপ্তানি পান সংগ্রহের উপযুক্ত সময়।

কুষ্টিয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হায়াত মাহমুদ বলেন, জৈব পদ্ধতিতে নিরাপদ পান উৎপাদনে কৃষি অফিস পান চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকে। কুষ্টিয়া থেকে প্রচুর পান বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। এতে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ