1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের ‘ট্রাকে পিষ্ট’ হলেন জাসদের ইনু

নিউজ এডিটর : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে হেরেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী কামারুল আরেফিন ট্রাক প্রতীকে এক লাখ ১৫ হাজার ৭৯৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। ইনু পেয়েছেন ৯২ হাজার ৪৪৫ ভোট। কামারুল মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান।

রবিবার (০৭ জানুয়ারি) রাতে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নি কর্মকর্তা মো. এহতেশাম রেজা ভোটের ফল ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে কামারুল আরেফিনকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেছেন।

কুষ্টিয়া-২ আসনে মোট ভোটার চার লাখ ৫২ হাজার ৫৬২ জন। এর মধ্যে মিরপুর উপজেলায় ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৭৬ হাজার ২৬৫ জন এবং ভেড়ামারা উপজেলায় এক লাখ ৭৬ হাজার ২৯৭ জন। দুই উপজেলায় ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১৬১টি। এই আসনে গত তিনবার সংসদ সদস্য হয়েছিলেন হাসানুল হক ইনু। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত জাসদ থেকে নির্বাচন করে পরাজিত হলেও ২০০৮ সালে এসে মহাজোট থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে জয়ী হন। এরপর ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং ২০১৮ সালে জয়ী হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ইনু পেয়েছিলেন দুই লাখ ৮০ হাজার ৬৩৬ ভোট।

আশির দশকে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে যাত্রা শুরু কামারুল আরেফিনের। এরপর তিনি যুবলীগের রাজনীতি শুরু করেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন। পরে হামলা-মামলায় টিকতে না পেরে এলাকা ছেড়ে চলে যান। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এলাকায় ফিরে আসেন। ২০১১ সালে মিরপুর উপজেলার সদরপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) থেকে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান হন। পরে মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন। ২০১৪ সালের পর ইউপি চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে জয়ী হন। এরপর ২০১৮ সালে এসেও একই পদে জয়ী হন। এবারের নির্বাচনে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন।

জয়ী হয়ে কামারুল আরেফিন বলেন, ‘আমি জনতার নেতা। সব ছেড়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলাম। জনগণ ভোট দিয়ে আমার স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিয়েছে। আমি শুকরিয়া জানাই আল্লাহর দরবারে। মিরপুর-ভেড়ামারাবাসীর এই দেনা আমি কখনও শোধ করতে পারবো না। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাবো।’

এদিকে, কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল হক ট্রাক প্রতীকে ৮৯ হাজার ২৭৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের নাজমুল হক পেয়েছেন ৫৩ হাজার ১০৫ ভোট।

কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এক লাখ ২৭ হাজার ৮০৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের পারভেজ আনোয়ার পেয়েছেন ৪২ হাজার ১৮১ ভোট।

কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে ট্রাক প্রতীকে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ ৯৮ হাজার ৪১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকে সেলিম আলতাফ জর্জ পেয়েছেন ৮০ হাজার ১১১ ভোট।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ