1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

নির্বাচনী হাওয়া লেগেছে দুই সিটিতে

নিউজ এডিটর : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪

আগামী ৯ মার্চ ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। একই দিন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে (কুমিক) মেয়র পদে উপনির্বাচন হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ১৫ ফেব্রুয়ারি যাচাই-বাছাইয়ের পর ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগ থাকছে।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হওয়ার পর মেয়র পদে আগ্রহীরা নিজেদের আগ্রহ সম্পর্কে জানান দিচ্ছেন পোস্টার আর ফেসবুকে। বেশ কয়েকজনের পোস্টার এখন নগরের নানা স্থানে। এ ছাড়া নিজেদের ফেসবুকেও ভোটারদের সালাম-শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁরা পোস্ট দিচ্ছেন। ফেসবুকে ধীরে ধীরে সরব হচ্ছেন তাঁদের কর্মী-সমর্থকরাও।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ভোট আগামী ৯ মার্চ। মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মেয়র ইকরামুল হক টিটু ছাড়া আরো তিনজন আওয়ামী লীগ নেতা আলোচনায় আছেন।

২০১৯ সালে এই সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র পদে ইকরামুল হক টিটু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

তবে সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলদের মধ্যে তুমুল প্রতিযোগিতা হয়। জোরালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় সংরক্ষিত নারী আসনেও।

আওয়ামী লীগ থেকে এখন পর্যন্ত চারজনের নাম উঠে এসেছে মেয়র পদে। তাঁরা হলেন বর্তমান মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকরামুল হক টিটু, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সাদেক খান মিল্কী টজু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম ও মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ফারামার্জ আল নূর রাজীব। এসব নেতার মধ্যে বর্তমান মেয়র ইকরামুল হক টিটু স্বাভাবিকভাবেই ভোটারদের কাছে আলোচনায় এগিয়ে আছেন।

একাধিকবার মেয়র এবং এরও আগে কাউন্সিলর পদে থাকায় দল ও এলাকায় জোরালো অবস্থান তাঁর। সাদেক খান মিল্কী টজু ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় ময়মনসিংহের রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনিও পরিচিত মুখ। পোস্টার ছেপে আধুনিক নগরী গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি। এহতেশামুল আলম এর আগে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি একজন দক্ষ ক্রীড়া সংগঠকও।

অন্যজন ফারামার্জ আল নূর রাজীব প্রয়াত পৌর মেয়র মাহমুদ আল নূর তারেকের ছেলে। সেই পরিচয়েই তিনি মাঠে আছেন। তিনিও পোস্টার ছেপে নিজের আগ্রহের কথা জানান দিচ্ছেন।

পোস্টার ছাপিয়ে মেয়র পদে ভোটারদের দোয়া চেয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যাপক গোলাম ফেরদৌস জিলু। বর্তমান মেয়র টিটু বলেন, করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক সংকটে অনেক উন্নয়নকাজ সময়মতো শুরু ও শেষ করা যায়নি। বর্তমানে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ হলে নগরের অনেক সমস্যার সমাধান হবে। তাই তিনি ময়মনসিংহবাসীর সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চান। সাদেক খান মিল্কী টজু বলেন, এ নগরের অনেক সমস্যা। এসব সমস্যা সমাধানে তিনি ভূমিকা রাখতে চান। তাই তিনি মেয়র পদে আগ্রহী হয়েছেন।

ফারামার্জ আল নূর রাজীব প্রয়াত বাবার স্বপ্ন পূরণে তিনি কাজ করতে চান বলে জানিয়েছেন। এখন পর্যন্ত ময়মনসিংহে বিএনপি কিংবা জাতীয় পার্টির কোনো আগ্রহী প্রার্থীর কথা জানা যায়নি। তাঁদের কোনো প্রচারণাও চোখে পড়েনি। বিএনপির মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এম এ হান্নান খান জানান, বর্তমান সরকারের অধীন তাঁরা নির্বাচনে যাবেন না। এখন পর্যন্ত দলের এ সিদ্ধান্তেই তাঁরা একমত আছেন। জাতীয় পার্টির মহানগরের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আহম্মেদ বলেন, তাঁদের দলে একাধিক প্রার্থী আছেন। কিন্তু এখনো দলের উচ্চ পর্যায় থেকে কোনো নির্দেশনা পাননি।

এদিকে আগামী ৯ মার্চ কুসিকের মেয়র পদে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় আছেন এক ডজন নেতা। সর্বশেষ কুসিক নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হওয়া বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের দুই নেতা এবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান বলে শোনা যাচ্ছে।

গত ২২ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তফসিল ঘোষণা করা হয়। সর্বশেষ ২০২২ সালের ১৫ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৩ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৫ ফেব্রুয়ারি। আপিলের সময়সীমা ১৬-১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আপিল নিষ্পত্তি ১৯-২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ ফেব্রুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ ফেব্রুয়ারি। আর ইভিএমে নির্বাচন ৯ মার্চ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের রাজনীতি দুটি ধারায় বিভক্ত। এক পক্ষের নেতৃত্বে সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। অন্য পক্ষের নেতৃত্বে এমপি বাহারের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ প্রয়াত আফজল খানের মেয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য ও সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা সীমা।

কুসিকের মেয়র পদে উপনির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে এমপি বাহারের পক্ষের নেতারা হলেন মহানগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও কুমিল্লার সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জহিরুল ইসলাম সেলিম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিকউল্লাহ খোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ও এমপি বাহারের কন্যা তাহসীন বাহার সূচনা, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ ওরফে জিএস সহিদ, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য আমিনুল ইসলাম টুটুল, প্রয়াত আরফানুল হক রিফাতের স্ত্রী ফারহানা হক শিল্পীসহ বেশ কয়েকজন।

অন্য পক্ষের সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা সীমা, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মিঠু, মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি নুর-উর রহমান মাহমুদ তানিম, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক ভিপি শফিকুল ইসলাম সিকদার, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কবিরুল ইসলাম শিকদার।

মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিকউল্লাহ খোকন বলেন, ‘মেয়র পদে প্রার্থী কে হবেন, সেটা দলীয় সভায় সিদ্ধান্ত হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং কুমিল্লার গণমানুষের নেতা আ ক ম বাহাউদ্দিন যে সিদ্ধান্ত দেবেন, আমরা সবাই সেভাবে কাজ করব।’

আঞ্জুম সুলতানা সীমা বলেন, ‘নির্বাচনের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আমার অভিভাবক জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করব আমি।’

এদিকে বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত থাকলেও বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা ও সাবেক দুইবারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু এবং আরেক বহিষ্কৃত মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে। এই দুজনই গত নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। এবারও তাঁরা নির্বাচন করার কথা এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। তাঁদের অনুসারীদের নিয়ে নিয়মিত বৈঠক করছেন দুজনই।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ