1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

রোজায় এক কোটি পরিবারকে ভর্তুকি দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা

ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

রমজান মাসে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবি তালিকাভুক্ত এক কোটি পরিবারের জন্য দুই দফায় সয়াবিন তেল, চিনি, ডাল, ছোলা, পেঁয়াজ ও খেজুর সরবরাহ করবে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক সভায় প্রধানমন্ত্রী রমজানে এক কোটি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।

কোভিড পরিস্থিতিতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় কমে যাওয়া ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে আসন্ন রমজানে এক কোটি পরিবারকে দুই দফা ভর্তুকি মূল্যে খাদ্যপণ্য সরবরাহ করবে সরকার। সেই সঙ্গে বন্ধ হয়ে যাবে সারাদেশে খোলা ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রি।

জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত বিক্রয় সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তালিকাভুক্ত এক কোটি পরিবারের জন্য সয়াবিন তেল, চিনি, ডাল, ছোলা, পেঁয়াজ ও খেজুর সরবরাহ করবে।

প্রতিটি পরিবার রমজানের আগে একবার দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি চিনি, দুই কেজি মসুর ডাল ও এক কেজি ছোলা পাবে। আবার রমজানের মাঝামাঝি সময় থেকে ঈদের আগ পর্যন্ত একই পরিমাণ পণ্য আরেক দফা দেওয়া হবে পরিবারগুলোকে। এছাড়া, কোনো কোনো এলাকায় আমদানি করা পেঁয়াজ ও খেজুরও দেওয়া হবে। প্রতি দফায় এসব পণ্য পেতে দরিদ্র পরিবারগুলোর খরচ হবে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা।

সরকারের এ সিদ্ধান্ত ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, কোভিডে যখন দরিদ্র মানুষের আয় কমে গেছে এবং বাজারে পণ্যমূল্য বেড়ে গেছে, তখন এক কোটি পরিবার, তথা প্রায় পাঁচ কোটি মানুষকে ভর্তুকি মূল্যে খাদ্য সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত খুবই ইতিবাচক।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, কোভিডকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার দেওয়ার জন্য ৫০ লাখের তালিকা করা হয়েছিল। তালিকায় পেনশনার, সরকারি চাকরিজীবী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নাম থাকায় তা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিলে যাচাই-বাছাই শেষে ৩৫ লাখ পরিবারকে নগদ সহায়তা দেওয়া হয়। পরে সড়ক পরিবহন, নৌ পরিবহন শ্রমিক, নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আরও সাড়ে ৩ লাখ মানুষকে নগদ সহায়তা দেয় সরকার। ওই তালিকা সরকারের কাছে রয়েছে।

এছাড়া, সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত পরিবারের সংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ, যাদের বড় অংশই নগদ সহায়তাভুক্ত সাড়ে ৩৮ লাখের মধ্যে রয়েছে। এগুলো যাচাই-বাছাই করে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে দরিদ্রদের তালিকা তৈরি করা হবে। তালিকাভুক্তদের মধ্যে যাদের ফ্যামিলি কার্ড নেই, তাদেরকে কার্ড দেওয়া হবে। এসএমএস পাওয়ার পর নির্ধারিত দিনে, নির্ধারিত স্থানে গিয়ে খাদ্যপণ্য সংগ্রহ করবেন তারা।

বর্তমানে সারাদেশে ১২টি গুদাম রয়েছে টিসিবির। জানা গেছে এসব গুদাম থেকে সারাদেশে ডিলারদের মাঝে পণ্য সরবরাহ করে খোলাবাজারে বিক্রি করে সংস্থাটি। নতুন পদ্ধতিতে যে ১২টি জেলায় গুদাম রয়েছে, গুদাম থেকে শুধু ওইসব জেলাতেই পণ্য সরবরাহ করা হবে। বাকি ৫২ জেলায় পণ্য সরবরাহ করা হবে জেলা প্রশাসক বা ডিসিদের পরিচালনায়। ডিসিরা পণ্য গ্রহণ করে উপকারভোগীর তালিকা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠাবেন। উপকারভোগীর সংখ্যা অনুযায়ী উপজেলা থেকে পণ্য পাঠানো হবে ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভায়। সেখান থেকে পণ্য সংগ্রহ করবেন উপকারভোগীরা।

ভোজ্যতেল ছাড়াও টিসিবি এখন খোলা চিনি, ডাল ও ছোলা বিক্রি করে। বস্তা খুলে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী মেপে বিক্রি করেন ডিলাররা। নতুন পদ্ধতিতে সব পণ্যই প্যাকেটজাত করা হবে। এতে সময় সাশ্রয়ের সঙ্গে অপচয়ও কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ কর্মসূচিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ইউনিয়ন বা ওয়ার্ডভিত্তিক পণ্য বিক্রির জন্য পৃথক কমিটি থাকবে; কমিটিতে দুই জন করে পুলিশ সদস্যও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রতিটি উপকারভোগী পরিবারের জন্য তিন কপি ফ্যামিলি কার্ড তৈরি করবেন; এরমধ্যে এক কপি কার্ড অথরাইজড অফিসারের কাছে, এক কপি টিসিবির ডিলারের কাছে এবং এক কপি উপকারভোগীর কাছে থাকবে। পণ্য নেওয়ার সময় ডিলারের কাছে থাকা কপিতে উপকারভোগী ‘বুঝিয়া পাইলাম’ লিখে স্বাক্ষর করবেন এবং উপকারভোগীর কপিতে ডিলার ‘বুঝাইয়া দিলাম’ লিখে স্বাক্ষর করবেন।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ