ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কে পৌঁছে উদ্ধার কাজে নেমে পড়েছে বাংলাদেশের সম্মিলিত সাহায্যকারী দল, যারা ইতোমধ্যে এক কিশোরীকে জীবিত উদ্ধার করেছে।
আদিয়ামান শহরে ধ্বংসস্তুপে দলটি অনুসন্ধান চালিয়ে ১৭ বছরের ওই কিশোরীর পাশাপাশি তিনজনের মৃতদেহও উদ্ধার করেছে বলে শুক্রবার রাতে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
এদিকে একই দিনে হওয়া ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত সিরিয়ায় বাংলাদেশের তরফ থেকে সহায়তা সামগ্রী নিয়ে বিমান বাহিনীর একটি সি ১৩০ উড়োজাহাজ শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রওয়ানা দিয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
রোববার ভোরে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গাজিয়ানতেপে ৭ দশমিক ৮ মাত্রায় শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে মাত্র ১০০ কিলোমিটার উত্তরে ৭ দশমিক ৫ মাত্রায় আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে।
বড় ধরনের এই ভূমিকম্পে আশেপাশের অঞ্চলগুলো পরিণত হয় ধ্বংসস্তূপে। তুরস্ক ও পাশের দেশ সিরিয়ায় এ পর্যন্ত ২২ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে তুরস্কের পথে বাংলাদেশের সম্মিলিত উদ্ধারকারী দল বুধবার ঢাকা ছাড়ে। দলটি বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টায় দেশটির আদানা মিলিটারি এয়ার বেইসে পৌঁছায়।
সেখান থেকে উদ্ধারকারী দল আদিয়ামান শহরে পৌঁছে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজ শুরু করে।
৬০ সদস্যের দলটিতে ফায়ার সার্ভিসের ১২ সদস্যের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ২৪ জন এবং ১০ জন চিকিৎসক রয়েছেন।
আর শুক্রবার রাতে সিরিয়ায় পাঠানো হচ্ছে ১১ টন ত্রাণ সামগ্রী। এর মধ্যে রয়েছে তাবু, কম্বল, সোয়েটার, শুকনো খাবার ও ওষুধ।
এ দলে ১৭ জন রয়েছে জানিয়ে আইএসপিআর বলেছে, এ মিশনের নেতৃত্ব দেবেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন জামিল উদ্দিন আহমেদ।
তথ্য মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
ভূমিকম্পে বিপুল সংখ্যক প্রাণহানির ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় শোক পালন করেছে বাংলাদেশ। দেশ দুটির পাশে থাকার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে উদ্ধারকারী দল ও ত্রাণ পাঠানো হয়েছে।
তুরস্কের মানুষের জন্য শোক ও সমবেদনা জানানোয় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ঢাকায় তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান।
