1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

চায়ের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে চলছে গাছের বিশেষ যত্ন

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বছর শেষে চায়ের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে মৌলভীবাজারের সবকটি চা বাগানে এখন প্রুনিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গাছকে দীর্ঘস্থায়ী সচল-সতেজ রাখতে চা-গাছের মাথা বিভিন্ন ধরনের ছাঁটাই পদ্ধতিতে এ প্রুনিং করা হয়।

বাংলাদেশ চা-বোড এর প্রকল্প পরিচালক ড. এ কে এম রফিকুল হক জানিয়েছেন এ বছর প্রুনিংয়ের কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় আরও অধিক পরিমাণ চা-পাতা উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

শীত মৌসুমে জেলার সবকটি চা বাগানজুড়ে রুক্ষ-শুষ্কতায় এক রকম প্রাণহীন হয়ে যায়। এতে কোথাও সবুজের কোনো ছোঁয়া খুজে পাওয়া যায় না। পুরো বছরের মধ্যে ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এ তিনমাস দেশের সব চা-বাগানগুলোতে উৎপাদন কার্যক্রম পুরোটাই বন্ধ হয়ে যায়। আর ঠিক এ সময়ে এসে বাগান কর্তৃপক্ষ চায়ের অধিক উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে এবং চা-গাছ সচল-সতেজ রাখতে আধুনিক পদ্ধতির এ প্রুনিং কাজ করা হয়। সরেজমিনে হামিদিয়া, ভূরভূরিয়া ক্লোনেলসহ একাধিক চা বাগান ঘুরে দেখা যায়, জেলার অধিকাংশ বাগান জুড়েই শ্রমিকরা চা গাছ প্রুনিং কাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।

চা বিশেষজ্ঞ. এ কে এম রফিকুল হক জানান, গাছের বয়স, মাটির উর্বরতা বিভিন্ন দিক বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি বাগানের সেকশনে আলাদাভাবে কয়েক ধাপে প্রুনিং নির্বাচন করা হয়। সবচেয়ে প্রচলিত প্রুনিং রয়েছে- কলার প্রুনিং (মধ্যম ছাঁটাই), লাইট প্রুনিং (হালকা ছাঁটাই), লো প্রুনিং (নিচু ছাঁটাই) ও ক্লিন প্রুনিং (পরিষ্কার ছাঁটাই)। তবে গাছে একটি ডাল রেখে পুরো গাছ ছাঁটাই দেয়ার এ নতুন পদ্ধতির প্রুনিংকে ব্রিদার বলা হয় (শ্বাস নেওয়া)। এছাড়া প্রুনিংয়ের একধাপ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর গাছের গোড়ার আগাছা নিধন ও একই সঙ্গে সার দিয়ে রাখা হয়। এতে আগামী মার্চের শুরুতে বৃষ্টির পানি পেয়ে গাছ সতেজ সবল হয়ে কচি-পাতা ভরে উঠবে। সেই সঙ্গে আট ইঞ্চি সমপরিমাণ পাতা জন্মালে মার্চ অথবা এপ্রিলের দিকে পাতা উত্তোলন করা হবে।

একাধিক নারী চা শ্রমিক জানালেন, চা গাছে বেশি পাতা পাওয়ার জন্যই এ ছাঁটাই কাজ করা হয়। আর পাতা বেশি হলে তাদের রোজি রোজগারও ভালো হবে।

ক্লোনেল চা বাগানের ব্যবস্থাপক সৈয়দ মনসুরুল হক জানালেন, গেল বছরের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে নতুন এ বছরেও বাগানে প্রুনিং করা হয়েছে। বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশন সিলেট শাখার চেয়ারম্যান জি এম শিবলী প্রুনিংয়ের প্রক্রিয়া তুলে ধরে জানালেন, তার কোম্পানির এ পর্যন্ত ৫০ শতাংশ প্রুনিং সম্পন্নের পথে।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক ড. এ কে এম রফিকুল হক আরও জানালেন, চা শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ প্রুনিং এবং টিপিং। এ দুটি কাজ সঠিকভাবে না করলে চায়ের ভালো উৎপাদন পাওয়া যাবে না। তবে এবছর প্রুনিং কাজ অনেক আগ থেকেই শুরু হয়েছে। বৃষ্টি পড়লে এ বছর অন্যান্য বছরের চেয়ে ভালো চা পাতা উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের দেয়া তথ্যমতে, চায়ের গুরুত্বপূর্ণ এ প্রুনিং জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি এ দুমাস অব্যাহত থাকবে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ