1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

পরীক্ষামূলকভাবে রঙিন ফুলকপি চাষে কৃষকের সাফল্য

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সবুজ পাতার ফাঁকে উকি দিচ্ছে বিভিন্ন রঙের ফুল। না এগুলো ফুল নয়, এক ধরনের ফুলকপি। রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় বাণিজ‍্যকভাবে চাষ হচ্ছে বিভিন্ন রঙের এই ফুলকপিগুলো।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই প্রথম ব্যাপক সাড়া ফেলেছে কমলা এবং বেগুনি রঙের ফুলকপির চাষ। অবাক লাগলেও সাদার বদলে নানা রঙের ফুলকপির দেখা মিলছে উত্তরের জেলা রংপুরের তারাগঞ্জে। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে এই প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে রঙিন ফুলকপি চাষ করে সফলতা পেয়েছেন কৃষক মাসুদ রানা।

তারাগঞ্জের ইকরচালি ইউনিয়নে নিজের ৩০ শতক জমিতে বাণিজ‍্যকভাবে এই রঙিন ফুলকপি চাষ করেছেন তিনি। ভালো ফলনের পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে ভালো দামও। বাজারে নেওয়া মাত্রই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এসব রঙিন ফুলকপি। মাঝারি আকৃতির একেকটি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০২১ সালে বাংলাদেশে প্রথম রঙিন ফুলকপি চাষ শুরু করে। তবে রংপুরে এবারই প্রথম চাষ হচ্ছে। ‘নিরাপদ উচ্চ মূল্য ফসল চাষ’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে রংপুর বিভাগের কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এসব রঙিন ফুলকপি চাষ করা হচ্ছে।

এদিকে প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষে মাসুদ রানার সাফল্যে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তার এ রঙিন ফুলকপির সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন কৃষকসহ উৎসুক মানুষ। তাদের কেউ ফুলকপি কিনছেন আবার কেউ চাষের বিষয়ে পরামর্শ নিচ্ছেন।

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালি ইউনিয়নের চরক ডাঙ্গা গ্রামের কৃষক মাসুদ রানা বলেন, ‘বাড়ির পাশেই ৩০ শতক জমিতে প্রতি বছর নানা সবজি চাষ করি। এবার স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে ৩০০০ হাজার চারা পরীক্ষামূলকভাবে কমলা ও বেগুনি রঙের ফুলকপি চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছি।’

একই গ্রামের আরেক কৃষক আব্দুল খালেক বলেন, ‘রানা ভাইয়ের রঙিন ফুলকপি দেখছি। এর চাষপদ্ধতি সম্পর্কে তার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিয়েছি। আগামীতে আমিও এই রঙিন ফুলকপি চাষ করব বলে আশা করছি। এখন সরিষা আবাদ করছি।’

রঙিন ফুলকপির সাফল্যে খুশি স্থানীয় কৃষি বিভাগও। রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এই প্রথম রঙিন ফুলকপি পরীক্ষামূলক চাষে কৃষকে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।

উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. ওয়াজেদ আলী সময় সংবাদকে বলেন, ‘চাষিরা এ ফুলকপি চাষে প্রথমে কেউ আগ্রহ দেখাননি। পরে কৃষক মাসুদ রানা আগ্রহ দেখালে তাকে কৃষি অফিস থেকে ফুলকপির চারা, জৈব সার, কীটনাশক ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, ইউরোপ ও চীনসহ অন্যান্য দেশে এ জাতের ফুলকপি সালাদ হিসেবে খাওয়া হয়। সাদা ফুলকপির চেয়ে রঙিন ফুলকপিতে পুষ্টিগুণ বেশি। দেখতেও সুন্দর। সাধারণ ফুলকপি চাষে যে পদ্ধতি ওই একই পদ্ধতিতে রঙিন ফুলকপি চাষ হয়। খরচ ও পরিশ্রম একই। শুধু জৈব সার ব্যবহার করেই এই ফুলকপি চাষ করা যায়। বেগুনি ফুলকপি রান্নার পর বিবর্ণ হলেও কমলা ফুলকপি বিবর্ণ হয় না। তবে বেগুনি ফুলকপি সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর। অন্যান্য কিছু সবজি এবং পণ্যে এমন উপাদান পাওয়া যায়। কমলা ফুলকপির মতো বেগুনি ফুলকপিতেও সাদা ফুলকপির তুলনায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অনেক বেশি থাকে। বেগুনি ফুলকপি প্রদাহ উপশম, কার্ডিওভাসকুল্যার সমস্যা এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে উপকারী।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ