1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বাংলাদেশে চীনা ইউনিয়নপের কদর বাড়ছে

বাণিজ্য প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ, ২০২২

ইউক্রেনে সামরিক অভিযানকে কেন্দ্র করে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের বিধিনিষেধের মুখে পড়েছে রাশিয়া। ভিসা-মাস্টারকার্ডের মতো কার্ড পেমেন্ট সেবা ব্যবহার করতে পারছে না রুশ নাগরিকরা। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে রাতারাতি চীনভিত্তিক ইউনিয়নপে সেবাকে বেছে নিয়েছে রাশিয়ার আর্থিক খাত। দেশটির বাজারে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে ইউনিয়নপে।

দেশেও ট্রেজারি বিভাগের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্তরা মার্কিন কোনো কার্ড পরিসেবা ব্যবহার করতে পারবেন না। ঘটনাটিতে আতঙ্কিত অন্য অনেকেই এখন শুধু এক দেশের কার্ড পেমেন্ট সেবার ওপর নির্ভর করে থাকতে চাইছেন না। ভিসা, মাস্টারকার্ড বা আমেরিকান এক্সপ্রেসের (অ্যামেক্স) মতো মার্কিন কার্ড পরিসেবার বিকল্প হিসেবে ইউনিয়নপেকে বেছে নিচ্ছেন তারা।

দেশে ইউনিয়নপের কার্ড ইস্যু শুরু হয়েছিল বেসরকারি খাতের মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের হাত ধরে। এরপর কার্ড পরিসেবাটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দ্য সিটি ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংক। ভিসা-মাস্টারকার্ডের তুমুল জনপ্রিয়তার মধ্যেও ব্যাংক তিনটির হাত ধরে সম্প্রসারিত হচ্ছিল ইউনিয়নপের বাজার। তবে সাম্প্রতিক সময়ে চীনা এ কার্ড পেমেন্ট ব্যবস্থার চাহিদা ও জনপ্রিয়তা বেড়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের ধারাবাহিকতায় বিশ্ব অর্থনীতিতে একধরনের বিকেন্দ্রীকরণ শুরু হয়ে গিয়েছে। এতে সামনের দিনগুলোয় বাংলাদেশের বাজারে ইউনিয়নপের চাহিদা আরো বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

২০১২ সালে বিশ্ববাজারে প্রবেশের পর থেকেই দ্রুতগতিতে সম্প্রসারিত হয়েছে ইউনিয়নপের বাজার। পরিসংখ্যান বলছে, এরই মধ্যে বিশ্বের ১৮৮টি দেশে অনুমোদন পেয়েছে চীনা এ কার্ড সেবা। অন্তত ৯৫টি দেশ থেকে ইস্যু হচ্ছে ইউনিয়নপের ডেবিট, ক্রেডিট, প্রিপেইড কার্ড। ইউনিয়নপের ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব স্থাপিত হয়েছে বিশ্বব্যাপী অন্তত আড়াই হাজার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।

বর্তমানে ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ডের পাশাপাশি প্রিপেইড কার্ড, কমার্শিয়াল কার্ড, প্রিমিয়াম কার্ড ও থিম কার্ড ইস্যু করার সুযোগ দিচ্ছে ইউনিয়নপে। আর্থিক পরিসেবাটির মোবাইল পেমেন্ট সেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউনিয়নপে মোবাইল কুইকপাস, ইউনিয়নপে অ্যাপ ও কিউআর কোড পেমেন্ট। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইউনিয়নপে কার্ড ইমারজেন্সি অ্যাসিস্ট্যান্ট সার্ভিস, ক্রস বর্ডার রেমিট্যান্স, ইউনিয়নপে টেক্স রিফান্ড, স্টাডি অ্যাবরোড সার্ভিস, ইউ রিওয়ার্ড প্ল্যাটফর্ম, ইনস্টলমেন্ট সার্ভিস, চীনের ভিসা আবেদনে এক্সপ্রেস সার্ভিসও দিচ্ছে ইউনিয়নপে।

বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পাওয়া ভিসা কার্ডের যাত্রা ১৯৫৮ সালে। ব্যাংক অব আমেরিকার হাত ধরে শুরু হওয়া আর্থিক সেবাটির বয়স ৬৩ বছরের বেশি। জনপ্রিয় আর্থিক পরিসেবা মাস্টারকার্ডের বয়সও ৫৬ বছর। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এ কার্ড সেবার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল ১৯৬৬ সালে। ভিসা, মাস্টারকার্ড ও আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স)—এ তিনটি আর্থিক সেবা বিশ্বের কার্ডভিত্তিক লেনদেনের সিংহভাগ দখলে রেখেছে। তবে এসব কার্ড পরিসেবা চীনের বাজারে অচল। দেশটি নিজেদের জনগণের জন্য ২০০২ সালে চালু করে ইউনিয়নপে। প্রায় ১৫০ কোটি মানুষের এ দেশের জনগণ বাধ্যতামূলকভাবে অ্যাপভিত্তিক আর্থিক পরিসেবা উইচ্যাট এবং ইউনিয়নপে কার্ড ব্যবহার করে। ২০১২ সাল পর্যন্ত ইউনিয়নপের বাজার শুধু চীনের অভ্যন্তরে সীমাবদ্ধ ছিল। ওই বছর থেকে বিশ্বব্যাপী কার্যক্রম সম্প্রসারিত করে ইউনিয়নপে। এরপর দ্রুতই বিশ্বের সব প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে কার্ডভিত্তিক আর্থিক সেবাটির কার্যক্রম।

বৈশ্বিক পরিসংখ্যান সেবা স্ট্যাটিস্টার ২০১৭ সালের পরিসংখ্যানে উঠে আসে, ওই সময় বৈশ্বিক ক্রেডিট কার্ড ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইউনিয়নপের অবস্থান ছিল তৃতীয়। বৈশ্বিক ক্রেডিট কার্ডের বাজারে প্রায় ২০ শতাংশ ছিল সেবাটির দখলে। ৫০ শতাংশ ছিল ভিসার দখলে। ২৫ দশমিক ৬ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল মাস্টারকার্ড।

বিভিন্ন সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে বর্তমানে ইউনিয়নপে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ কার্ডভিত্তিক আর্থিক পরিসেবায় রূপান্তর হয়েছে। বাজার দখলের দিক থেকে ইউনিয়নপে এরই মধ্যে মাস্টারকার্ডকে পেছনে ফেলেছে। শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ভিসা। মার্কিন দুই কার্ড পেমেন্ট সেবা ভিসা ও মাস্টারকার্ড আজকের অবস্থানে আসতে ৬০ বছর সময় নিয়েছে। কিন্তু ইউনিয়নপে মাত্র দুই দশকের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে ফেলেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্ব অর্থনীতিতে চীনের প্রভাব বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ইউনিয়নপের অবস্থান আরো দৃঢ় হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

দেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবেচেয়ে বেশি এটিএম বুথ রয়েছে বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের। ২০১৪ সালে এ ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করে ইউনিয়নপে। চুক্তির আওতায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সব এটিএম বুথে ইউনিয়নপের কার্ড গ্রহণযোগ্যতা পায়। এরপর ২০১৮ সালের নভেম্বরে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের (এমটিবি) সঙ্গে অংশীদারিত্বমূলক চুক্তি করে ইউনিয়নপে ইন্টারন্যাশনাল। চুক্তির আওতায় বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে ইউনিয়নপে ইন্টারন্যাশনালের ইউনিয়নপে ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড (কনটাক্ট ও কনটাক্টলেস) ইস্যু করা শুরু করে এমটিবি। এমটিবির পয়েন্ট অব সেলস (পস) মেশিন ও এটিএমে ইউনিয়নপে ইন্টারন্যাশনালের কার্ড গ্রহণ এবং ইউনিয়নপে কিউআর কোড, পিটুপি এবং মানি এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন সেবারও প্রচলন শুরু হয় ওই চুক্তির ভিত্তিতে।

কার্ড ইস্যুর জন্য ২০২০ সালে ইউনিয়নপের সঙ্গে চুক্তি করেছে বেসরকারি খাতের দ্য সিটি ও ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড। বিশ্বের চারটি প্রধান কার্ড নেটওয়ার্কের সবক’টিই ইস্যু করছে সিটি ব্যাংক। দেশে ক্রেডিক কার্ড বিপণন ও পস মেশিন সরবরাহের দিক থেকে ব্যাংকটির জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। এমটিবি, সিটি ও ইস্টার্ন ব্যাংক মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ইউনিয়নপের ১ লাখ ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করেছে বলে জানা গেছে। গত বছরের জানুয়ারিতে দেশের অন্যতম পেমেন্ট গেটওয়ে এসএসএল কমার্জের সঙ্গে চুক্তি করে ইউনিয়নপে। ওই চুক্তির আওতায় ইউনিয়নপের কার্ডধারীদের বাংলা কিউআর কোড স্ক্যান করে পেমেন্ট করার সুযোগ সৃষ্টি হয়।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ

নির্বাচিত

সহযো‌গিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শেখ হাসিনাকে বাইডেন চিঠি

১২টি বিষয়ে পিজিডি কোর্স চালু করবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাধ্যমে আগুন সন্ত্রাস ও দুর্বৃত্তায়নের জবাব দিতে হবে : শেখ হাসিনা

সুপার ফুড চিয়া চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম

রোহিঙ্গাদের সাহায্যে এগিয়ে আসায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা

অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে ই-পাসপোর্ট চালু

বাংলাদেশকে ভুলভাবে উপস্থাপনে বলিউডের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন মিম

স্বাধীনতার মাসে রেকর্ড: রেমিট্যান্স এলো ২ বিলিয়ন ডলার

‘সুপার ম্যালেরিয়া’ নিয়ে ভয়ের কিছু নেই : আইইডিসিআর

বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রথম টিউবের কাজের সমাপ্তি ঘোষণা