1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নকে ‘জোনোসাইড’ হিসেবে ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ২১ মার্চ, ২০২২

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সেদেশের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর ওপর যে নিপীড়ন চালিয়েছে, তাকে প্রথমবারের মত ‘জোনোসাইড’ হিসেবে বর্ণনা করল যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন প্রশাসন।

যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের ‘প্রমাণ পেয়েছে’ ওয়াশিংটন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন সোমবার ওয়াশিংটন ডিসির ইউএস হলোকাস্ট মেমোরিয়াল মিউজিয়ামে এক অনুষ্ঠানে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এই আনুষ্ঠানিক অবস্থানের ঘোষণা দেবেন।

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার বিষয়ে বাইডেন প্রশাসন আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে – এই খবর প্রথম প্রকাশ করে রয়টার্স।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর যে নির্মমতা চালানো হয়েছে, জাতিসংঘ তাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞ বলে আসছিল শুরু থেকেই। তবে হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াওয়ের সেইসব ঘটনাকে ‘জেনোসাইড’ বলতে দ্বিধায় ছিল যুক্তরাষ্ট্র।

২০১৭ সালের অগাস্টে মিয়ানমারের দক্ষিণপশ্চিমে মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর ব্যাপক দমন-পীড়ন শুরু হলে প্রায় ১০ লাখ মানুষ সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। ওই ঘটনায় মিয়ানমারের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনার প্রস্তাব করে জাতিসংঘ।

যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ডেমক্রেট দলীয় সিনেটর জেফ মার্কলে রোববার এক বিবৃতিতে বলেন, “রোহিঙ্গাদের ওপর পরিচালিত বর্বরতাকে বাইডেন প্রশাসন শেষ পর্যন্ত গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় আমি তাদের প্রশংসা করছি। এ ঘোষণাটি দীর্ঘ প্রতিক্ষিত হলেও শেষ পর্যন্ত তা এসেছে এবং এই নিষ্ঠুর শাসকগোষ্ঠীকে জবাবদিহির আওতায় আনতে এটা একটি শক্তিশালী ও বিশেষভাবে গুরুত্ববহ পদক্ষেপ।”

ওরেগনের এই সিনেটর বলেন, “আমেরিকাকে অবশ্যই এক্ষেত্রে বিশ্বের সামনে নেতৃত্বে আসতে হবে এটা স্পষ্ট করার জন্য যে এ ধরনের নৃশংসতা কখনোই মেনে নেওয়া হবে না, ধামাচাপা পড়ে যাবে না, সেটা যেখানেই ঘটুক না কেন।”

২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের উত্তরের রাখাইন রাজ্যে “ভয়ানকভাবে, বিস্তৃতভাবে এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সেখানকার জনগোষ্ঠীর মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করেছে এবং রোহিঙ্গাদের আবাস থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।”

যুক্তরাষ্ট্র এরইমধ্যে অবশ্য ওইসব মানবাধিক লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িত হিসেবে মিয়ানমারের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা মিন অং হ্লা্য়িংসহ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ