1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ির ইছামতি তীরে হচ্ছে বিশেষায়িত শিল্পপার্ক

মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২২

ঢাকার অপরিকল্পিত বৈদ্যুতিক পণ্য ও হালকা প্রকৌশল শিল্পগুলো মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বেতকায় সরিয়ে নিতে বিশেষায়িত শিল্পনগরী নির্মাণ এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। তাই শুরু হয়েছে প্লট বরাদ্দ প্রক্রিয়া। ৩০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০ একর জমির ওপর ৩৬১ প্লট বিশিষ্ট এই শিল্পপার্কে এখন চলছে শেষ ধাপের কর্মযজ্ঞ। এই শিল্পপার্ক চালু হলে সাড়ে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ইছামতি নদীর তীরে চলছে বিশেষায়িত এই শিল্প পার্ক গড়ে তোলার জন্য প্লট তৈরির কাজ। তৈরি হচ্ছে ভারি যান চলাচলের জন্য প্রশস্ত রাস্তা। চূড়ান্ত পর্যায়ে এখন ড্রেন-কালভার্ট, পানি সরবারাহ পাম্প কেন্দ্র স্থাপন, নিরাপত্তা প্রচীর, প্রশাসনিক ভবন ও পুকুর নির্মাণ। হচ্ছে ডাম্পিং ইয়ার্ডসহ নানা কিছু। হাইভোল্টের বিদ্যুত ব্যবস্থার জন্য স্থাপন হয়েছে সাব স্টেশন। স্থাপন করা হয়েছে বিদ্যুত সঞ্চালন লাইন। সার্বিক কাজের মাত্র ৮ ভাগ বাকি।

রাজধানীসহ বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে নৌ এবং উন্নত সড়ক যোগাযোগ বিশেষ করে পদ্মা সেতুর সহজ যোগাযোগ ছাড়াও এই প্রকল্প থেকে রাজধানীর দূরত্ব মাত্র ২০ মিনিটের। তাই রাজধানীর নবাবপুর ও ধোলাই খালে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বৈদ্যুতিক পণ্য ও হালকা প্রকৌশল কারখানাগুলো সরিয়ে আনতেই প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে। এখানেই তৈরি হবে বিশ্বমানের বৈদ্যুতিক ফিটিংসসহ ফ্যান, লাইট, গাড়ির যন্ত্রাংশ এবং নানা পণ্য। শিল্পনগরীটি ঘিরে বদলে যাচ্ছে এলাকার চেহারা। মুন্সীগঞ্জ-২ আনরে সাংসদ সদস্য অধ্যাপক সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি বলেছেন, এটি চালু হলে বদলে যাবে পুরো এলাকা। হাজার হাজার মানুষের দিন বদলের ইতিহাস রচিত হবে। করোনার চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও আগামী জুনের মধ্যেই প্লটগুলো শিল্প মালিকদের মধ্যে হস্তাস্তর শুরু হবে। ইতোমধ্যেই প্লট বরাদ্দ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক আব্দুল জলিল তালুকদার বলেন, বিশেষায়িত এই শিল্প পার্কটির কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৯২ শতাংশ। তিনি জানান, প্লটগুলো বরাদ্দের জন্য প্রথমে শতাংশ প্রতি মূল নির্ধারিত করা হয়েছিল ১২ লাখ টাকা। ব্যবসায়ীদের চাপে তা কমিয়ে এই জমির মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৮ লাখ টাকা। তবে এই দাম আরও কমানোর জন্য ব্যবসায়ীদের চাপ রয়েছে। আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত এই শিল্পপার্ক থেকে সহজ নৌ যোগাযোগ ও সড়ক যোযোগ প্রকল্পটির বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ