প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের (ডিসি) বাসভবন চত্বর এলাকার পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আনা হয়েছে। ফুল ও সবজি চাষের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের বাসভবন চত্বরে এখন সবুজের সমারোহ। প্রথম দেখায় যে কারও মনে হবে এ যেন এক টুকরো ফসলের মাঠ।
বান্দরবান জেলা প্রশাসকের বাসভবনে গেলেই মনে হবে সুসজ্জিত সৌখিন কোনো এক চাষির বাগান। প্রবেশ দ্বারে রয়েছে নানা ফুল, ফল ও সবজির বাগান। রয়েছে মুরগি, ছাগলসহ পুকুর ভরা মাছ। যা থেকে দৈনিক পুষ্টির চাহিদা মেটার পাশাপাশি চলে অতিথি আপ্যায়নও। সময় পেলেই জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভিন তিবরীজি নিজের হাতে সবজি বাগান ও পোষা প্রাণিদের পরিচর্যা করেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, আঙিনায় পতিত জায়গায় জৈবসার ব্যবহার করে বিষমুক্ত প্রায় ২০ প্রজাতির সবজি চাষ করার ফলে পাল্টে গেছে বাসভবন চত্বরের দৃশ্যপট। সেখানে শিম, টমেটো, বেগুন, ঢেঁড়স, কুমড়া, ব্রকলি, ফুলকপি, লাউ, পেঁপে, লালশাক, ওলকপি, শালগম, পটল, ডাঁটাশাক, পুঁইশাক, থানকুনি, পুদিনা, মরিচ, কলাসহ নানা রকমের সবজি চাষ করা হয়েছে।
বাসভবন আঙিনায় সবজি চাষ সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভিন তিবরীজি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী জেলার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে গিয়ে জনগণকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি নিজের বাসভবন আঙিনার ফাঁকা জায়গাগুলোতে সবজিসহ বিভিন্ন ফল উৎপাদন শুরু করে সাফল্য পেয়েছি। নিজের হাতে উৎপাদিত সবজি দিয়ে পরিবারে দৈনিক চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি চলে অতিথি আপ্যায়নও। জেলা প্রশাসনের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সামান্যতম সময় পেলেই ছুটে যাই বাগানে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনীতি মন্দাভাব চলছে। ফলে সবকিছুর বাজার মূল্য ঊর্ধ্বমুখী। আঙিনায় আবাদের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে পারলে অনেকটাই কমবে আমদানিনির্ভরতা। ফলে রাষ্ট্রীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে এটি।
তাই বসতবাড়ির আঙিনায় পতিত জমিতে সবজি বা ফল চাষের আহ্বান জানান তিনি।
