1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

নারী ক্ষমতায়নের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত জননেত্রী শেখ হাসিনা

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০২৪

গ্রীক পৌরানিক কাহিনীর পবিত্র ফিনিক্স পাখি যেমন আগুনে পুঁড়েও ছাই থেকে আবার জন্ম নিয়ে শুরু করে তার অবিনশ্বর যাত্রা, শেখ হাসিনার জীবনও তেমন।

ঘাতকেরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সহ পরিবারের অন্যদের হত্যা করতে পারলেও বিদেশে থাকার কারনে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা। এরপর শুরু হয় দুই বোনের বেঁচে থাকার সংগ্রাম। সংগ্রাম করেই জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ বিশ্বনেত্রীতে পরিনত হয়েছেন। নারীদের সার্বিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যক্ষ নির্দেশনা পরিলক্ষিত হয় ১৯৭২ সালে দেশের দায়িত্বভার গ্রহণের সময়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার স্ত্রী, মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব চিরকাল প্রেরণা জুগিয়েছেন। নারীদের প্রতি সম্মানের যে শিক্ষার যে বীজ বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা বপন করেছেন, তা তাদের কন্যা শেখ হাসিনার মধ্যেও লক্ষণীয়।

ফোর্বস ম্যাগাজিনের মতে বিশ্বের ক্ষমতাধর নারীদের তালিকায় ৪৬তম স্থানে রয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি নারী সরকারপ্রধান। এবার নিয়ে টানা চারবার মোট পাঁচবার তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। কন্টকাকীর্ণ পথ পাড়ি দিয়ে তিনি আজ শক্ত হাতে বাংলাদেশকে উন্নতির বন্দরে নিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্বের কাছে নারী ক্ষমতায়নের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি।

আজকের বিস্ময় জাগানিয়া বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল । একসময় যে বাংলাদেশে ছিলো খাদ্যের অভাব, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি সেই বাংলাদেশ আজ শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ। শেখ হাসিনা যে অর্থনৈতিক ভিত্তির উপর দেশকে দাঁড় করিয়েছেন তার ফলে ২০৩০ সালের মধ্যেই বিশ্বের ২৪তম বড় অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী চিন্তার ফলে আজকে নারীদের সকল পেশায় সমানভাবে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি নারীদের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। বৈশ্বিক লিঙ্গ সমতা-বৈষম্যের সমীকরণের সঙ্গে যথার্থ ভারসাম্য রক্ষায় ইতোমধ্যেই আকাশচুম্বী বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। তাঁর সরকারের নারীবান্ধব নীতির ফলে আজকের নারীরা পুরুষের পাশাপাশি সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে। নারী শিক্ষার বিকাশ-নারীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা, নারী সুরক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন প্রণয়ন এবং কর্মক্ষেত্রে- রাজনীতিতে নারীর অবাধ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নে তাঁর ভূমিকা বিস্ময়কর।

জেন্ডার প্যারিটিতে আয়ের দিক থেকে আমাদের দেশ আজ এশিয়ার অগ্রবর্তী দেশগুলোর কাছাকাছি। বাংলাদেশ আজ নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বের কাছে রোল মডেলে। নারী উন্নয়ন ঘটাতে শেখ হাসিনা সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। বিনামূল্যে শিক্ষা থেকে শুরু করে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য স্বল্পসুদে ব্যাংক ঋণ প্রদানের ব্যবস্থাও করেছে বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার। দুঃস্থ ও অসহায় মহিলাদের ঋণ প্রদানের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন ও আত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন শেখ হাসিনা। দেশের অবহেলিত ও বঞ্চিত মহিলা জনগোষ্টির আত্মসচেতনতা বৃদ্ধি,তাদের অধিকার সংরক্ষণ ও উৎপাদনশীলতার দিক উন্মোচন করে তাদের আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলেতে কাজ করছেন তিনি। তাছাড়া জীবনযাত্রার মান উন্নয়নকল্পে ছেলে-মেয়েদের স্কুলে প্রেরণ, জন্ম নিয়ন্ত্রণ, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, শিশুদের টিকা ইনজেকশন প্রদান, যৌতুক ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয়ে সচেতন করতে সরকার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করছে।

গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ’ প্রতিবেদনে বিশ্বের ১৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭১। লিঙ্গ সমতায় ২০১৪ সাল থেকে দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশ থেকে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান দিন দিন ভালো হচ্ছে। এর সবকিছুই সম্ভব হয়েছে দেশরত্ন শেখ হাসিনার অদম্য মানষিক শক্তির জন্য। তাঁর নারী উন্নয়নে গুরুত্বারোপের ফলেই আজ নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ অনুকরণীয়।

আন্তর্জাতিকভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নে অনন্য অবদানের জন্য বিভিন্ন পুরস্কার লাভ করেছেন। নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য তিনি ইউএন উইমেন-এর “এজেন্ট অব চেঞ্জ” পুরস্কার ও ‘প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। নারীর ক্ষমতায়নের কারণে তিনি ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান উইমেন কর্তৃক ‘লাইফটাইম কন্ট্রিবিউশন ফর উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ ছাড়াও আরো অনেক পুরষ্কার লাভ করেছেন। আজ তাঁর বিশ্বনেত্রীতে রূপান্তর সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র তার দূরদর্শী ও সাহসী নেতৃত্বের কারণে। তিনি নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়।

লেখক: মোঃ পৃথিবী আলম রাজ – শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ

নির্বাচিত