1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ভারত-বাংলাদেশের আইফোন দেশ বদলে বিক্রি করতেন তারা

নিউজ এডিটর : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০২৪

বাংলাদেশে আইফোনসহ দামি মোবাইল ফোন চুরি করে ভারতে পাচার ও বিক্রি, আবার ভারত থেকে চুরি হওয়া আইফোনসহ দামি মোবাইল ফোন চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে এনে বিক্রি করতো একটি চক্র। চক্রটি চোরাই ফোন ছাড়াও ভারত থেকে কসমেটিকস, শাড়ি ও থ্রি-পিস এনে বাংলাদেশে বিক্রি করতো।

এমন অভিযোগে রাজধানীর মধ্যবাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি বাসা থেকে ৯ জন ভারতীয় নাগরিক ও একজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের লালবাগ বিভাগের গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম।

গ্রেফতার ভারতীয় নাগরিকরা হলেন- রাজা শাও (৩৯), পঙ্কজ বিশ্বাস (৩৫), উৎপল মাইটি (২৫), দীপঙ্কর ঘোষ (২৪), রাজু দাস (২২), সুজন দাস (২৭), এস কে আজগর আলী (২১), লারাইব আশ্রাব (২১) ও সমরজিৎ দাস (৩০)। গ্রেফতার বাংলাদেশির নাম মো. মুরাদ গাজী (২৮)।

গ্রেফতারদের কাছ থেকে ভারতে চুরি হওয়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২১টি স্মার্টফোন, পাঁচটি ভারতীয় পাসপোর্ট, নগদ টাকাসহ বিপুল পরিমাণ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও জেল, কসমেটিকস, থ্রি পিস, শার্ট, জুতা ও স্যান্ডেল জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাজধানীর মধ্যবাড্ডায় অভিযান শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মশিউর রহমানের নেতৃত্বে এই চক্রের ১০ জন ভারতীয় ও একজন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম। গ্রেফতার বাংলাদেশি মুরাদ গাজী তার বোন ববিকে নিয়ে মধ্যবাড্ডায় নিজস্ব বাসায় দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে ভারতীয় কাপড়-চোপড়, জুতা স্যান্ডেল, তেল, সাবান, কসমেটিকস, যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও জেল বিক্রি করে আসছিল। তাদের কাছে নিম্নমানের এসব সামগ্রী বিক্রির বিপুল পরিমাণ রশিদ এবং রশিদ বই পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, গ্রেফতাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে জব্দ মালামালগুলো অবৈধ পথে আনা হয়েছে। কলকাতা থেকে আন্তঃদেশীয় ট্রেনে তারা দীর্ঘদিন ধরে কোনো ট্যাক্স পরিশোধ না করেই এসব ভারতীয় পণ্য চোরাই পথে বাংলাদেশ এনে বিক্রি করতো।

হারুন অর রশীদ বলেন, এর আগে তারা কাপড়ের গাট্টির ভেতর শত শত চোরাই মোবাইল ফোন, শত শত বোতল মদ এবং বিয়ার বাংলাদেশে এনে বিক্রি করেছে। রমজান ও ঈদের আগে মদ-বিয়ার না এনে কোনো শুল্ক/ভ্যাট পরিশোধ না করে অবৈধভাবে শুধু কসমেটিকস, কাপড়-চোপড়, জুতা স্যান্ডেল, যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও জেল এনে তারা মজুত করছিল।

ডিবিপ্রধান আরও বলেন, বাংলাদেশে নামাজ পড়তে গিয়ে, জনসভায় গিয়ে, চলার পথে বা মার্কেটে গিয়ে প্রতিদিন অনেকের আইফোনসহ নামিদামি ব্র্যান্ডের ফোন চুরি হচ্ছে। এসব ঘটনায় চোররা ধরা পড়লেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ফোন উদ্ধার হয় না।

তিনি বলেন, চোর এবং তাদের মহাজনদের গ্রেফতার করে জানা যায়, বাংলাদেশে চুরি হওয়া ভালো মানের দামি ফোনগুলো পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে নিয়ে বিক্রি করা হয়। গ্রেফতার কয়েকজন এবং তাদের অন্য সহযোগীরা বাংলাদেশে চুরি হওয়া নামিদামি ফোনগুলো স্বল্প দামে কিনে ভারতের বাজারে বিক্রি করে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ