1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

খুলছে যোগাযোগের নতুন দুয়ার: হাওরে নির্মিত হচ্ছে পাকা সেতু

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ৯ মার্চ, ২০২৪

আরও একটি স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে হাওরবাসীর। কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলাকে যুক্ত করে নির্মিত হচ্ছে এক কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু। দুই জেলার দুর্গম জনপদকে যুক্ত করে মেঘনার বুকে গড়ে উঠছে বিশালায়তনের পাকা সেতু। সেতুর কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। এরই মধ্যে সেতুর ২৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। পৌনে ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে নাসিরনগর হয়ে সারাদেশের সঙ্গে যোগাযোগের পথ সুগম হবে হাওরবাসীর।

অষ্টগ্রামের বাঙ্গালপাড়ায় দুই জেলাকে যুক্ত করে মেঘনা নদীতে একটি সেতুর অভাবে হাওরবাসীকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হতো। বর্ষায় নৌকা ছাড়া যোগাযোগের কোন বিকল্প ছিল না। হাওরবাসীর বিড়ম্বনা দূর করতে বাঙ্গালপাড়া ইউনিয়নের নোয়াগাঁও এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় নতুন বাজার এলাকায় মেঘনা নদীতে পাকা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে হাওরে সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। গতি আসবে অর্থনীতিতে, সেই সঙ্গে বাড়বে হাওরের মানুষের জীবনযাত্রার মান।

এলাকাবাসী বলে, হাওরের দুর্গম এলাকা হওয়ায় জেলা শহর কিংবা ঢাকা শহরে যাতায়াত করতে হলে লঞ্চ বা ট্রলারে একদিন রাত যাপন করে পরদিন গ্রামে আসতে হতো। সেতুটি নির্মাণ হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সড়কপথে সারা বছর যোগাযোগ করা যাবে। এর ফলে হাওরের কৃষি পণ্য ও মিটা পানির মাছের ন্যায্য মূল্য পেতে বিশেষ ভূমিকা পালন করব।

জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৪ মে এক কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটির নির্মাণ কাজ যৌথ ভাবে উদ্বোধন করেন কিশোরগঞ্জ- ৪ আসনের এমপি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া -১ আসনের এমপি বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন। ২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।

জেলার সবচেয়ে বড় এ পাকা সেতু প্রকল্পে রয়েছে ২৪ টি এবাটমেন্ট পাইল, ২৪৬ টি পিয়ার পাইল, দুটি এবাটমেন্ট পাইল ক্যাপ, ২৬ টি পিয়ার পাইল ক্যাপ, দুটি অ্যাবাটমেন্ট ক্যাপ, চল্লিশটি গার্ডার পিএসপি ৬৪ টি গার্ডার আরসিসি এবং ২৭ টি স্লাব।

প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশনের প্রতিনিধি ইঞ্জিনিয়ার বুলবুল জানান, দ্রুত গতিতে সেতুর কাজ চলছে। এরই মধ্যে অষ্টমতম অংশের সবগুলো পাইলের কাজ প্রায় শেষ দিকে নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকল্পের কাজ শেষ করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

জেলা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলাম জানান, এরই মধ্যে অষ্টগ্রাম অংশে ৮০টি পাইল ও পাঁচটি পেয়ারসহ সেতুর ২৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। হাওরবাসীর এই স্বপ্নের সেতুটি বাস্তবায়ন হলে বিস্ময়কর অল ওয়েদার সড়ক হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ সারা দেশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ সহজ হবে। দ্রুত গতিতে চলছে ব্রিজের নির্মাণ কাজ। নির্ধারিত সময়ে সেতুর কাজ শেষ হবে।

১৭৭ কোটি ২৩ লাখ ৫১ হাজার ১০৮ টাকা ব্যয়ে এক কিলোমিটার দীর্ঘ বাঙ্গালপাড়া-চাতলপাড় পাকা সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। আগামী বছরের ১৫ অক্টোবর প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে ‘হাওরের বিস্ময়’ খ্যাত ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম অলওয়েদার সড়ক নির্মিত হওয়ার পর কিশোরগঞ্জের হাওরের দৃশ্যপট বদলে গেছে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ