1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ইইউ পর্যবেক্ষকদের প্রতিবেদনে অস্বচ্ছতার অভিযোগ

নিউজ এডিটর : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ১০ মার্চ, ২০২৪

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি নানা মহলে আলোচনা ও কৌতূহল ছিল কয়েক বছর ধরেই। এই সময়ে বিরামহীন বাংলাদেশ সফর করেছে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধিরা। তাদের মধ্যে সবচেয়ে সরব ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ তাদের সমমনা পশ্চিমা দেশগুলো।

২০২৩ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশ সফর করেন ইইউ’র ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল। ২০ দিনের সফরে সুশীল সমাজ, সাংবাদিক, রাজনৈতিক দল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে একশর বেশি বৈঠক করেন তারা। সে সময় তারা জানিয়েছিলেন, ভোট পর্যবেক্ষণ করতে আসবেন না। কিন্তু ঢাকার আমন্ত্রণে ২৮ নভেম্বর আবার ৪ সদস্যের কারিগরি দল আসেন। জাতীয় নির্বাচন হয়ে যাওয়ার ২ মাস পর প্রকাশ করে ৩৪ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন।

প্রতিবেদনটি রাজনৈতিক দলের বক্তব্যের আদলে তৈরি হয়েছে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ, এই প্রতিবেদনে বিএনপিকে কেন আদালত পাড়ায় ব্যস্ত থাকতে হলো, কেন নেতাকর্মীরা গ্রেফতার হলেন তার কোন ধরনের উল্লেখই নেই।
একটু পেছনে ফিরলে দেখা যায়, ২০২২ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০২৩ সালের প্রায় পুরোটাই নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনে ছিল বিএনপি, যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক বাতিল ঘোষিত হয়েছে। তাদের কর্মসূচি বাধাহীনভাবে পালিত হলেও কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে নিরীহ সাধারণ মানুষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হতাহত হন।

২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ কর্মসূচি ডেকে নজিরবিহীন নাশকতা চালায় বিএনপির কর্মী থেকে শুরু করে পদস্থ নেতারা। তাদের সঙ্গে নাশকতায় যুক্ত হয় মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ও নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন হারানো রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যবেক্ষকরা তাদের প্রতিবেদনে নির্বাচনের ঠিক আগে আগে গাজীপুর ও ঢাকায় তিনটি যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। যদিও, এসব নাশকতার অভিযোগে আটক বিএনপির নেতা-কর্মীরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলো।

এদিকে ইইউ পর্যবেক্ষকদের প্রকাশিত রহস্যজনক প্রতিবেদনটির বিষয়ে কোনো দায়িত্ব নিচ্ছে না ইউরোপীয়ান কমিশন! প্রতিবেদনের শুরুতেই উল্লেখ করা হয়েছে, এটি তৈরি করেছে ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসা ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক দল। বাংলাদেশে এসে তারা যে তথ্য পেয়েছেন- তার ভিত্তিতেই এটি তৈরি। অভিযোগ আছে, নির্বাচন নিয়ে একটি চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করা হলেও নির্বাচনকেন্দ্রিক নাশকতার কোন উল্লেখ নেই এতে। একপেশে বলেই স্বভাবতই ইউরোপীয়ান কমিশনে এটি গৃহীত বা অনুমোদিত হয়নি- মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যদিও, এই প্রতিবেদনকে ইউরোপীয় কমিশনের বিবৃতি হিসেবে বিবেচনা করা তাই ঠিক হবে না বলেও প্রতিবেদনেই উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি এই রিপোর্টের তথ্য সঠিক কি না- সেই নিশ্চয়তাও দিচ্ছে না ইউরোপীয়ান কমিশন!

নির্বাচন বানচালের চেষ্টায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যারা করেছে; পুলিশ হত্যা, সাংবাদিক নির্যাতন, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে আক্রমণ, নারীদের উপর হামলা, অগ্নিসংযোগ, ট্রেনে আগুন দিয়ে মা ও শিশুকে পুড়িয়ে হত্যা, বাসে আগুন, গাড়িতে আগুন- এসব ঘটনায় তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই আটক হয়েছে অপরাধীরা। সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে আইন অনুযায়ী পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এসব ফৌজদারি অপরাধের কারণে সুনির্দিষ্ট মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। কোনো ধরনের গণগ্রেফতারের ঘটনা ঘটেনি। অন্যায়ভাবে বা রাজনৈতিকভাবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, বরং নিরস্ত্র-নিরপরাধ মানুষের প্রতি চালানো নাশকতা, পুলিশ হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলাসহ গুরুতর অপরাধের অভিযোগেই বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীদের।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ