1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বিদ্যুতের চাহিদা ও ঘাটতি নিয়ে বিএনপির অফিসিয়াল সাইটে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০২৪

একটি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে দায়িত্ব আচরণই কাম্য। কিন্তু বরাবরের মতো আবারও গুজব ও অপপ্রচারে নির্ভরশীল বিএনপি বিদ্যুতের চাহিদা ও ঘাটতি নিয়ে তাদের অফিসিয়াল সামাজিক যোগাযোগ থেকে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে। প্রতিবেদনে দেশের গ্রামঞ্চলে ১০ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ধরে লোডশেডিং এর কথা বলা হলেও বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে পাওয়া এক তথ্যে দেখা যায় ২০ মার্চ দেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ও সরবরাহে ঘাটতি ছিলো মাত্র ৩২ মেগাওয়াট।

বিদ্যুৎ বিভাগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় একাধিক সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, গত বুধবার (২০ মার্চ) দেশের মোট বিদ্যুতের চাহিদা (ডিমান্ড) রয়েছে ১০ হাজার ৫১ মেগাওয়াট। এর বিপরিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে ১০ হাজার ১৯ মেগাওয়াট। ৩২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতির মধ্যে সবচাইতে বেশি ঘাটতি রয়েছে পল্লি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অধিনে ঢাকার কবিরপুর-কোড্ডা লাইনে। সেটি ২৮ মেগাওয়াট। এ ছাড়াও ৪ মেগাওয়াট ঘাটতি রয়েছে ময়মনসিংহে।

এর আগে প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনে গ্রামাঞ্চলে প্রায় ৭-৮ ঘণ্টার মতোও লোড শেডিং হচ্ছে বলে কাল্পনিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল। তবে কোন কোন গ্রামে এত সময় লোড শেডিং হচ্ছে তার স্পষ্ট কোন তথ্য নেই সেখানে। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের কোনো কোনো জেলার গ্রামাঞ্চলের মানুষকে এখনই দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের মধ্যে কাটাতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রের বরাত দিয়ে এই প্রতিবেদনে লেখা হয়, ‘বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা এখন দিনে ১২ হাজার মেগাওয়াটের মতো। গ্রীষ্মকাল শুরু হলে অর্থাৎ এপ্রিলে তা বেড়ে ১৭ হাজার মেগাওয়াটে দাঁড়াতে পারে। জ্বালানির সরবরাহ না বাড়ালে তখন লোডশেডিং পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।’ কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগেরই একাধিক সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, আজকের দিনে মোট চাহিদা ১০ হাজার মেগাওয়াটের কিছু বেশি। সুতরাং ১২ হাজার মেগাওয়াটের চাহিদার তথ্যটি বিভ্রান্তিকর।

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) দায়িত্বশীল সূত্রের বরাত দিয়ে এই প্রতিবেদনে লেখা হয়, ‘গতকাল ( ১৮ মার্চ ) দিনেও ঘণ্টায় প্রায় ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম পেয়েছে তারা। এর মধ্যে বড় ঘাটতি হচ্ছে ময়মনসিংহ বিভাগে।’ কিন্তু আরইবি সূত্র বলছে, ময়মনসিংহে সর্বোচ্চ ঘাটতি থাকলেও তার পরিমাণ মাত্র ২৮ মেগাওয়াট।

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার প্রান্তিক অঞ্চলের গ্রাম যতিন্দ্রনগরে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সেখানে দিনে সর্বোচ্চ ৩-৪ বার লোডশেডিং হয়। সাধারণত ১০-১৫ মিনিট করে লোডশেডিং থাকে। দিনে দীর্ঘ সময় যেই লোডশেডিং হয় সেটিও ১ ঘণ্টার বেশি নয়। সেই হিসেবে বিগত সপ্তাহ জুড়ে দিনে সর্বোচ্চ ২ ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং কখনই হয়নি। কোন কোন দিন সেটি ১ ঘণ্টা লোডশেডিং এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো।

ময়মনসিংহের ভালুকার পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) কাছ থেকে জানা যায়, নিয়মিত ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়টি সঠিক নয়। এখানে মেইনট্যানন্সের কিছু কাজ থাকায় একদিন বিদ্যুৎ সরবরাহ নির্দিষ্ট সময়ের থেকে বেশি সময় বন্ধ রাখা হয়েছে।

স্থানীয়ভাবে যোগাযোগ করেও একই রকম তথ্য পাওয়া যায়। ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়টি স্থানীয়রাও জানেন না। প্রশ্ন থেকে যায়, প্রথম আলো কোন তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে আর বিএনপিই বা কীভাবে এমন ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক প্রচারণার আশ্রয় নিতে পারে!


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ