1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

 অনলাইন ফার্মেসিতে নতুন আশা 

হিটলার এ. হালিম : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ৬ এপ্রিল, ২০২২

বাংলাদেশে ডিজিটাল বাণিজ্যে প্রবেশ করছে ওষুধও। অন্যান্য ই-কমার্সের পাশাপাশি ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হচ্ছে অনলাইন ফার্মেসি।

ফ্যাশন বা অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রে দেখা যায় ক্রেতা পণ্য পছন্দ করে কেনেন। পণ্যের রঙ বা মান অনলাইনে ছবি দেখে অনেক সময় ঠিক বোঝা যায় না। ওষুধে নেই এমন ঝামেলা। যে কারণে দ্রুতই জনপ্রিয় হচ্ছে খাতটি।

অনলাইন ফার্মেসি আমাদের দেশে কিছুটা নতুন হলেও এর শুরু ২০ বছর আগেই। এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ২০০৮ সালে বিশ্বে ইন্টারনেটভিত্তিক ফার্মেসি ছিল ২ হাজার ৯৮৬টি। এখন এই সংখ্যা অগণিত।

ইয়াহু ফাইন্যান্স সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে এর বাজার ছিল ৬৮ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। ২০২৭ সালে যা ২০২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এভাবে অনলাইন ফার্মেসির এমন জনপ্রিয় হয়ে ওঠার কারণ কী? সংশ্লিষ্টরা জানালেন, দামের ক্ষেত্রে অনলাইন ফার্মেসিগুলো অফলাইন ফার্মেসির তুলনায় অনেক কম দামে বিক্রি করতে পারে। কারণ এক্ষেত্রে দোকানের খরচ লাগে না।

অনেক এলাকায় ঘরের কাছে ওষুধের দোকান থাকে না। সেসব এলাকায় অনলাইন ফার্মেসিগুলো হতে পারে বিপদের বন্ধু। অনেক অনলাইন ফার্মেসি ২৪ ঘণ্টাও সার্ভিস দিচ্ছে।

বাংলাদেশে অনেক প্রতিষ্ঠানই ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ ও অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন ফার্মেসি চালু করেছে। সেসব ওষুধের জন্য প্রেসক্রিপশন বাধ্যতামূলক সেসব ওষুধের প্রেসক্রিপশনের ছবি পাঠালেই ওষুধ হোম ডেলিভারি হচ্ছে।

জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও অনেক ফার্মেসি ফেসবুক বা বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করে তাদের এলাকায় এ সেবা শুরু করেছে।

দেশের এমন কয়েকটি অনলাইন ফার্মেসি ও ওষুধ হোম ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান হলো ডায়াবেটিস স্টোর, ডিএক্সফার্মা, কেয়ার বক্স, আরোগ্য, বাংলামেডস, ইফার্মা, হেলথফার্মা, ওষুধপত্র।

ডায়াবেটিস স্টোরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহাবুদ্দিন শিপন জানালেন, অনেক সংগ্রাম করে মার্কেটটাকে তৈরি করা হয়েছে। এটাকে প্রতিষ্ঠিত করতে নিয়মিত সচেতনমূলক কার্যক্রম চালাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য হলো ক্রেতাকে আসল ওষুধ পৌঁছে দেওয়া।

তিনি উল্লেখ করেন, অনলাইন ফার্মেসির বিশাল চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ক্রেতাদের এখনও পুরোপুরি অনলাইনে অভ্যস্ত করা যায়নি। তবে করোনাকালে তারা ঘরে বসে ওষুধ কিনতে পেরেছে। আস্থার জায়গাটা তৈরি হচ্ছে।

ওষুধের হোম ডেলিভারির বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএক্সফার্মার প্রধান নির্বাহী দেওয়ান কানন বলেন, সরকার নির্ধারিত দামে ওষুধ বিক্রি করছি। আমাদের রয়েছে আলাদা সেটআপ। ফার্মেসি তো আছেই, আমাদের ই-কমার্স প্লাটফর্ম ডিএক্স মার্টে অর্ডার করলেও আমরা বাসায় ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছি।

সাশ্রয়ী মূল্যে ঘরে বসে ওষুধ পাওয়া ও পণ্য হাতে পেয়ে দাম পরিশোধ করার সুবিধা বিবেচনায় অনলাইন ফার্মেসি ই-কমার্সে নতুন এক বিপ্লব ঘটাতে চলেছে। তবে বিশেষজ্ঞদের অভিমত, ঢালাওভাবে ঘরে ঘরে যেন ফার্মেসি খোলা না হয় সেদিকেও নজর রাখতে হবে। তাদের আশা, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স পাওয়া সাপেক্ষেই যেন সেবামূলক এ খাতটির বিকাশ ঘটে।

লেখক : হিটলার এ. হালিম – কলামিস্ট ও লেখক। 


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ