1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক

ড. মনসুর আলম খান : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২২

যুদ্ধের প্রভাব বহুমুখী। রাজায় রাজায় যুদ্ধ হলে এখন আর শুধু উলুখাগড়াদেরই প্রাণ যায় না, অন্য দেশের রাজা, প্রজা সবাইকেই পড়তে হয় সীমাহীন দুর্ভোগে, দুশ্চিন্তায়। দেশে-বিদেশে উলুখাগড়া যারা আছেন, তারা আন্তর্জাতিক রাজনীতি নিয়ে না ভাবলেও, রাজনীতি উলুখাগড়াদের নিয়ে ভাবে, ভীষণভাবে ভাবে। সেই তুলনায় বর্তমানের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপ্তি অনেক বড়।

বর্তমান যুদ্ধ নিয়ে ভাবনার পরিধি বৈশ্বিক সীমানা পেরিয়ে মহাকাশের দিকে ধাবিত হচ্ছে। সংগত কারণে বঙ্গদেশেও আছড়ে পড়েছে এই যুদ্ধভাবনা, আছে আলোচনার ভরকেন্দ্র। বর্তমান যুদ্ধ শুধু রাষ্ট্র-বিজ্ঞানী, সমরবিদ, কূটনীতিক কিংবা সাংবাদিকের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। আমাদের নায়েমের গলির চায়ের দোকানদার থেকে শুরু করে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি— সবাই যুদ্ধ নিয়ে ভীষণ চিন্তিত। ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’— আমাদের পররাষ্ট্রনীতির এই মহান মূলমন্ত্র আমাদের সরাসরি কোনো যুদ্ধে জড়িয়ে যাওয়া থেকে বিরত রাখছে ঠিকই, কিন্তু যুদ্ধের প্রভাব থেকে দূরে রাখতে পারছে না।

শুধু প্রভাব নয়, যুদ্ধের মাধ্যমও বহুমুখী। শেম চাচা ও তার নেতৃত্বাধীন ন্যাটো যেমন কোভিড অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ‘War from home’ নীতি মেনে সশরীরে যুদ্ধ করা থেকে তফাতে আছে; কিন্তু তাদের কামান-গোলা ছুটে চলেছে আজভ সাগর তীরে। অর্থ আদান-প্রদানের আন্তর্জাতিক মাধ্যম `Society for Worldwide Interbank Financial Telecommunication- SWIFT’ এর দরজা রাশিয়ার কতিপয় ব্যাংকের জন্য বন্ধ হলেও ইউরোপে রাশিয়ার তেলের প্রবাহ বইছে বহালতবিয়তে। এদিকে সুইফটের নিষেধাজ্ঞায় পড়া রাশিয়ার ব্যাংকগুলো বাংলাদেশকে চিঠি দিয়ে আপাতত লেনদেন না করার জন্য অনুরোধ করেছে। ফলে শঙ্কা দেখা দিয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যথা সময়ে অর্থায়নে। তাছাড়া ইউরোপ-আমেরিকার বন্ধুরাষ্ট্রসমূহ রাশিয়ার ওপর বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় বাধার মুখে পড়েছে বাংলাদেশের বহির্বাণিজ্য। এসব দেখে যুদ্ধরত রাশিয়া ও ইউক্রেন সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ বাড়ে। জানতে ইচ্ছে করে, দেশ দুটির সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্র ও পরিধি। যদিও অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের পূর্ণমাত্রা জানা এবং অল্প পরিসরে আলোকপাত করা শুধু দুরূহই নয়, প্রায় অসম্ভব। তথাপি আমরা মোটা দাগে, নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে দেখতে চাইব তাদের সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক রসায়ন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব আর সাহসী উন্নয়ন কৌশল বাস্তবায়নের ফলে বিগত দিনগুলোতে বাংলাদেশ সাক্ষী হয়েছে দুর্দান্ত সব অর্জনের। রপ্তানি আয়ও পেয়েছে নতুন উচ্চতা। ‘রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো’র তথ্যমতে ২০০৬-০৭ অর্থবছরের মাত্র ১২,১৭৭ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়ের বিপরীতে ২০২০-২১ অর্থবছরে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮,৭৫৮ দশমিক ৩১ মিলিয়ন ডলার। গার্মেন্টস আধিক্য বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের মূল প্রবাহ ইউরোপ ও আমেরিকায়। তাদের তুলনায় রাশিয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার খুবই ছোট। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে রাশিয়ায় পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে ৬৬৫ দশমিক ৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের, যা সে বছরে বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ১ দশমিক ৭১৬ শতাংশ। রাশিয়ায় রপ্তানিকৃত প্রধান পণ্য নিটওয়্যার, ওমভন গার্মেন্টস এবং অল্প কিছু পাট ও পাটজাত পণ্য। রাশিয়ার তুলনায় ইউক্রেনে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার আরো ছোট। বিগত অর্থবছরে মাত্র ২৬ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন ডলারের গার্মেন্টস, তামাক, ওষুধ ইত্যাদি পণ্য রপ্তানি করা গেছে।

রপ্তানির তুলনায় ইউক্রেন থেকে আমদানির পরিমাণ অনেক বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরে মাত্র ২৬ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানির বিপরীতে আমদানি করা হয়েছে ৩১৯ দশমিক ৪০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। বাণিজ্য ঘাটতি ২৯২ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন ডলার। খাদ্যশস্যের মধ্যে প্রধানত গম, অল্প কিছু ডাল ও সয়াবিন দানা, তাছাড়া লোহা, ইস্পাত, জাহাজ, বিমান ইত্যাদি পণ্যের জন্য বাংলাদেশকে ইউক্রেনের ওপর নির্ভর করতে হয়। ইউক্রেনের তুলনা রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যের সমীকরণ তুলনামূলক স্বস্তিদায়ক। গত অর্থবছরে ৬৬৫ দশমিক ৩১ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানির বিপরীতে আমদানি করা হয়েছে ৪৬৬ দশমিক ৭০ মিলিয়ন ডলারের গম, লোহা, ইস্পাত, সার ইত্যাদি পণ্য। বাণিজ্য উদ্বৃত্ব ছিল ১৯৮ দশমিক ৬১ মিলিয়ন ডলারের। বাংলাদেশ সরকার ও রাশিয়ান ফেডারেশনের সঙ্গে বাণিজ্য, অর্থনৈতিক এবং বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি সহায়তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে স্বাক্ষরিত ‘Intergovernmental Commission on Trade Economic Scientific and Technical Cooperation’ এর আওতায় মন্ত্রণালয়ভিত্তিক উন্নয়ন সহযোগিতা ফোরাম কার্যকর রয়েছে। পক্ষান্তরে ইউক্রেনের সঙ্গে বাংলাদেশের এরূপ দ্বিপাক্ষিক কোনো সহযোগিতা চুক্তি বিদ্যমান নেই। যুদ্ধরত দেশ দুটির সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কের পরিধি কতটা বিস্তৃত, এই প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে আমাদের আলোকপাত করতে হবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত ‘Flow of External Resources into Bangladesh ২০২০-২০২১, Golden Jubilee Special Edition’ মোতাবেক স্বাধীনতার পর থেকে ৩০ জুন ২০২১ পর্যন্ত সময়ে মোট প্রায় ১০১ দশমিক ৩৬৭৩ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ সহায়তা হিসেবে পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ২৮ দশমিক ৫১৯ বিলিয়ন ডলার এসেছে অনুদান হিসেবে এবং ৭২ দশমিক ৮৪৮৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ। স্বাধীনতার ঠিক পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের আর্থিক অবস্থা যখন খুবই নাজুক ছিল, তখন সহযোগিতার মূল প্রবাহ ছিল অনুদান আকারে। ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে প্রাপ্ত সহায়তার ৯০ দশমিক ৫ শতাংশই ছিল অনুদান। ২০০৬-০৭ অর্থবছরের ১৬৩০ দশমিক ৬ মিলিয়ন বৈদেশিক সহায়তার মধ্যে অনুদান ছিল ৫৯০ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলারের (৩৬ দশমিক ২ শতাংশ), ঋণ ১০৪০ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার। সেখানে ২০২০-২১ অর্থবছরে গৃহীত মোট ৭৯৫৭ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন ডলারের সহায়তার মধ্যে অনুদান ছিল মাত্র ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ (৫০৮ দশমিক ৮৭ মিলিয়ন ডলার), বাকি ৭৪৪৮ দশমিক ৬৮ মিলিয়ন ডলারই ঋণ। অনুদান নির্ভরশীলতা থেকে বের হয়ে আসছে বাংলাদেশ।

মুক্তবাণিজ্য অর্থনীতির যুগে পৃথিবীর প্রায় সব দেশের সঙ্গে সব দেশের বাণিজ্য পরোক্ষ অথবা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। পক্ষান্তরে অর্থনৈতিক সম্পর্কের ব্যাপ্তি নির্ভর করে দুটি দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কের ওপর। যুদ্ধরত রাশিয়া-ইউক্রেনের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক একেবারেই একপেশে। প্রায় সাড়ে ৪ কোটি জনসংখ্যার ইউক্রেনের সঙ্গে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক কোনো দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনে ইউক্রেনকে দেখা হচ্ছে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাময় উন্নয়ন সহযোগী দেশ হিসেবে।

অন্যদিকে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের গোড়াপত্তন ঘটেছে ১৯৭১ সালে, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে। আমরা সবাই জানি, স্বাধীনতাযুদ্ধের শেষ দিকে প্রায় পরাজিত পাকিস্তানকে উদ্ধারের শেষ চেষ্টা হিসেবে বঙ্গোপসাগরে মার্কিন সপ্তম নৌবহর পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর প্রতু্যত্তরে সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৭১ সালের ৬ ও ১৩ ডিসেম্বর দশম অপারেটিভ ব্যাটল গ্রুপের দুই স্কোয়াড্রন ক্রুজার ও ডেস্ট্রয়ার এবং পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত একটি ডুবোজাহাজ পাঠায়।

সোভিয়েত নৌবহর ৭ জানুয়ারি, ১৯৭২ পর্যন্ত ভারত মহাসাগরে মার্কিন নৌবহরকে তাড়া করে বেড়ায়। ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে এবং ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রদ্বয়ের মধ্যে স্থাপিত হয় কূটনৈতিক সম্পর্ক। রাজনৈতিক সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে রাশিয়া বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী দেশ। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্ত ১০১ দশমিক ৩৬৭৩ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক সহায়তার মধ্যে রাশিয়া থেকে এসেছে ৪ দশমিক ৪৪২ বিলিয়ন ডলার। রাশিয়ার ওপরে আছে কেবল দুটি সংস্থা, বিশ্বব্যাংকের ওউঅ (২৪,৯৭১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার) ও এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (১৭,৯৫২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার) এবং একটি দেশ জাপান (১৬,১৮৯ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার)।

রাশিয়া থেকে বাংলাদেশে বৈদেশিক ঋণের প্রবাহ সাম্প্রতিক সময়ে আরো বেগবান হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশে ছাড়কৃত মোট ৭,৯৫৭ দশমিক ৫৫৭ মিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক সহায়তার মধ্যে রাশিয়ার অবদান ১,০২৯ দশমিক ৫৫৬ মিলিয়ন ডলার। এর মূল কারণ ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন’ প্রকল্পে রাশিয়ার অর্থায়ন। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ৫০০ মিলিয়ন ডলার এবং মূল পর্যায়ের ১১ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে বাস্তবায়িত হচ্ছে রাশিয়ার ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ প্রকল্প। ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণকাজ যথাসময়ে শেষ করতে পারা আমাদের রূপকল্প-২০৪১ অর্জনের অন্যতম শর্ত।

যুদ্ধরত ইউক্রেন-রাশিয়া উভয় রাষ্ট্রই বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইউক্রেনের সঙ্গে আমাদের আনুষ্ঠানিক দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিদ্যমান না থাকলেও বাংলাদেশকে খাদ্যপণ্য ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য অতীব জরুরি উপকরণ আমদানি করতে হয় ইউক্রেন থেকে। অন্যদিকে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব ঐতিহাসিক সূত্রে গাঁথা। অর্থনৈতিক বিবেচনায় রাশিয়া বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও নির্ভরযোগ্য উন্নয়ন সহযোগী। যুদ্ধ অথবা অন্য কোনো কারণে রাশিয়ায় অর্থনৈতিক অচলাবস্থা বাংলাদেশের জন্য শঙ্কার কারণ।

যুদ্ধ ও শান্তি পরস্পর বিপরীতমুখী। বাংলাদেশ শান্তির সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে। বাংলাদেশের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান শান্তির সবচেয়ে বড় অগ্রদূত। উপমহাদেশসহ সারা পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্বশান্তি রক্ষায় জাতিসংঘে উপস্থাপিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘জনগণের ক্ষমতায়ন ও শান্তিকেন্দ্রিক উন্নয়ন মডেল’ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হচ্ছে। করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত বৈশ্বিক অর্থনীতির সংকটকালে নতুন উপদ্রব হিসেবে হাজির হয়েছে এই যুদ্ধ। এমন অপ্রত্যাশিত সময়ে আন্তর্জাতিক চাপ-চক্রান্ত ও বৈরিতার বিপরীতে দাঁড়িয়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখাই হবে আগামী দিনে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্ব আর সাহসী পদক্ষেপই হবে বর্তমান সংকট মোকাবিলার মূলমন্ত্র। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সব বাধা অতিক্রম করে ‘দাবায়া রাখতে পারবা না’র বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে স্বপ্নের সোনার বাংলা অর্জনের অদম্য অভিযাত্রায়।

লেখক: ড. মনসুর আলম খান – জেলা প্রশাসক, মেহেরপুর। 


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ