1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে গেছে থার্ড টার্মিনাল : ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে উদ্বোধন

নিজেস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০২২

করোনার ভয়ঙ্কর তা-বে যখন গোটা পৃথিবী থমকে গিয়েছিল, লকডাউনের বিধিনিষেধে যখন গোটা দেশের মানুষ ঘরবন্দী, তখনও একদল লোক দিবারাত্রি কাজ করে গেছেন। করোনা ভীতি তাদের রুখতে পারেনি। কি শ্রমিক, কি কর্তা বাবু কিংবা দেশী-বিদেশী বিশেষজ্ঞ সবাই কাজ করেছেন আপন মনে। এভাবেই কাজ এগিয়ে নেয়া হয়েছে থার্ড টার্মিনালের। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিমান প্রতিমন্ত্রী, বেবিচক চেয়ারম্যান ও প্রকৌশলীরা করোনা ভীতি উপেক্ষা করে রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রকল্পকে নিয়ে গেছেন নির্দিষ্ট গতিসীমার বাইরে। বিরুদ্ধ পরিবেশেও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে গেছে থার্ড টার্মিনাল। প্রকল্পের হিসাবে যা বলা চলে সাড়ে ৩৪ শতাংশ। এতে খুশি প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুুর রহমান ও প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মালেকসহ দেশী-বিদেশী বিশেষজ্ঞরা। তাদের ভাষ্যমতে, যেভাবে কাজ এগিয়ে গেছে তাতে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে হয়ে যাবে আরও প্রায় বিশ শতাংশ কাজ। তাতে এ বছরের মধ্যে থার্ড টার্মিনালের কাজ শেষ হবে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ।
 
এমনই সুখবর দিলেন সোমবার বিমান প্রতিমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট অন্যরা। তাদের দৃষ্টিতে, এখন পর্যন্ত নির্মাণকাজ প্রত্যাশিত লক্ষ্যের চেয়ে ১ দশমিক ৯ শতাংশ এগিয়ে আছে। তাই বলা যায়, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধন করা সম্ভব হবে। সোমবার দুপুরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজ পরিদর্শন শেষে রাজধানীর কুর্মিটোলায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনার মধ্যে শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি। তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজ শেষ হলে অবকাঠামোগত যে সীমাবদ্ধতা আছে, তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
 
তিনি বলেন, ৮ এপ্রিল পর্যন্ত তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ ৩২ দশমিক ৭ শতাংশ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, বাস্তবে এর শেষ হয়েছে ৩৪ দশমিক ৬ শতাংশ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ হবে। তৃতীয় টার্মিনালের কাজের সঙ্গে টার্মিনাল প্রবেশের টানেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ প্রসঙ্গে বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ কাজগুলোর মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কাজটি কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে। তখন এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে টার্মিনালকে যুক্ত করতে হবে। আশকোনা হজ ক্যাম্প পর্যন্ত সম্প্রসারণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। এ প্রকল্পের ব্যয় বাড়বে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুব আলী বলেন, এটা আমরা দেখব। যেটা সামঞ্জস্য ব্যয়, সেটাই দেখা হবে। কোন নিশ্চয়তা নেই। সব কাজ একসঙ্গে হয়ে যাবে।
 
এ সময় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিজুর রহমান বলেন, তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজ সব সিডিউল অনুযায়ী হচ্ছে। কেবল কাজে দেরি হচ্ছে, যেহেতু ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ একটু বিলম্বে শুরু হচ্ছে।
 
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান জানালেন, কঠিন কাজ শেষ হয়ে গেছে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭০ ফুট পর্যন্ত সুউচ্চতার এই টার্মিনালের অনেকাংশই উঠে গেছে। এখন বাকি কাজ খুব দ্রুত শেষ হবে। কেননা কঠিন, জটিল ও সময় সাপেক্ষের সব কাজ শেষ হয়ে গেছে। এখন একই সঙ্গে কাজ চলছে টার্মিনাল নির্মাণের ও ইকুইপমেন্টের ইনস্টলেশনের কাজ। অর্থাৎ দ্বিগুণ গতি আসবে কাজে। সে হিসাবে আাগামী বছরের শেষের দিক অর্থাৎ সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে এটা উদ্বোধন করা সম্ভব হবে।
 
করোনার মাঝেও দুঃসাহসিক কাজের উদাহরণ টেনে প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মালেক বলেন, যখন মানুষ করোনার ডরে ঘর থেকে বের হতো না, তখনও এখানে শ্রমিকরা কাজ করেছে। বিমান প্রতিমন্ত্রী সকাল ৯টায় ফোন করে খোঁজ নিতেন। প্রকল্পে গিয়ে হাজির হতেন। বেবিচক চেয়ারম্যান নিজে অফিসে আসা-যাওযার সময় সাইট ভিজিট করতেন। আমি নিজেও প্রকৌশলী ও শ্রমিকদের কাজ তদারকি করেছি।
 
শাহজালাল বিমানবন্দরে হাইস্পিড ট্যাক্সিওয়ের নির্মাণ কাজ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, এ কাজটি দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হচ্ছে। তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন হলে এই বিমানবন্দরে অনেক উড়োজাহাজ আসবে রানওয়েতে। বিমানবন্দরে রানওয়ে একটি। তাই উড়োজাহাজ রানওয়েতে থাকার স্থায়িত্ব যাতে কম হয়, দ্রুততার সঙ্গে যেন তা পার্ক করতে পারে, এ জন্য দুটি অতিরিক্ত হাইস্পিড ট্যাক্সিওয়ের নির্মাণকাজ হাতে নেয়া হয়েছে। পরিকল্পনা ছিল জুনের মধ্যে এ কাজ শেষ করার। কিন্তু, কাজটি এই মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। শাহজালাল বিমানবন্দরের নতুন রাডার স্থাপনের কাজ শুরু হয়ে গেছে বলেও জানান বেবিচক চেয়ারম্যান।
 
এদিন দুপুরে টার্মিনালের অগ্রগতি সম্পর্কে অনেক তথ্যই দিয়েছেন বিমান প্রতিমন্ত্রী। তিনি সাংবাদিকদের নিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সব পয়েন্টে নিয়ে গেছেন। তবে এদিনও সাংবাদিকরা প্রতিমন্ত্রীকে টরেন্টো ফ্লাইট নিয়ে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেছেন। বিমান ম্যানেজমেন্টে ব্যর্থতার সব দায়ভার নিজের কাঁধে নিয়ে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেছেন, টরেন্টো ফ্লাইট নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। তবে এটা ছিল গৌরবের। আমরা এখন ভুলগুলো শোধরানোর চেষ্টা করছি।
 
এ সময় মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশের গন্তব্যে উচ্চ দামের বিমান ভাড়া প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে বসে বিষযটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিমানের টিকেটের বেশি দামের সমস্যাটি ধীরে ধীরে সমাধান হচ্ছে। এক মাসের মধ্যে আরও ভাড়া কমে আসবে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বলেন, এবারের হজ মৌসুমে হয়ত ৩০ থেকে ৫০ হাজার বাংলাদেশী সৌদি আরব যেতে পারবেন। এ বিষয়ে প্রস্তুতি কেমন, বিমান ভাড়া বাড়বে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বিমান ভাড়া সহনশীল পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করব।
 
থার্ড টার্মিনালের কাজের সঙ্গে টার্মিনাল প্রবেশের টানেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ প্রসঙ্গে বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ কাজগুলোর মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কাজটি কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে। তখন এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে টার্মিনালকে যুক্ত করতে হবে। আশকোনা হজ ক্যাম্প পর্যন্ত সম্প্রসারণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। এ প্রকল্পের ব্যয় বাড়বে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুব আলী বলেন, এটা আমরা দেখব। যেটা সামঞ্জস্য ব্যয়, সেটাই দেখা হবে। কোন নিশ্চয়তা নেই। সব কাজ একসঙ্গে হয়ে যাবে। এ সময় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিজুর রহমান বলেন, তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজ সব সিডিউল অনুযায়ী হচ্ছে। কেবল কাজে দেরি হচ্ছে, যেহেতু ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ একটু বিলম্বে শুরু হচ্ছে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ