1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ধানের ন্যায্যমূল্য পাবে কৃষক

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২২

মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে কৃষকরা। সরকার মিল মালিকদের কাছ থেকে ধান কেনায় কৃষকরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই আগামীতে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধের ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। গত ১৯ জানুয়ারি জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত বিষয়াবলি নিয়ে আলোচনায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে জনগণের পুষ্টিচাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি বাংলাদেশকে খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। এ লক্ষ্য অর্জনে আমরা উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি খাদ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। কৃষক এখন ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে। সরকারি ধান ক্রয়ে যে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য ও দুর্নীতি হ্রাসের লক্ষ্যে প্রকৃত কৃষক তালিকা থেকে লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করে ধান ক্রয় এবং ১০ টাকার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ নিশ্চিত করা হচ্ছে। করোনাকালীন দেশের বিপুলসংখ্যক দরিদ্র জনগোষ্ঠীর খাদ্যনিরাপত্তা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতায় সফলভাবে মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে। নি¤œ আয়ের মানুষের জন্য খোলাবাজারে চাল ও আটা বিক্রয় (ওএমএস) কার্যক্রমের আওতায় ঢাকা মহানগরীসহ দেশের সব সিটি করপোরেশন পৌরসভায় ন্যায্যমূল্যে বিপুল পরিমাণ চাল ও আটা বিক্রি করা হয়েছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে ১০ টাকা কেজিদরে ৫০ লাখ পরিবারকে পাঁচ মাসব্যাপী ৩০ কেজি করে চাল সরবরাহ করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাসরত দরিদ্র, অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং দুর্যোগপ্রবণ এলাকার জনগোষ্ঠীর নিরাপদ খাদ্য সংরক্ষণের জন্য পাঁচ লাখ হাউজহোল্ড সাইলো সরবরাহ করা হয়েছে। অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুষ্টিনিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ২৬৪টি ও ভিজিডি কর্মসূচির ১৮৯টি উপজেলায় ছয় ধরনের অনুপুষ্টি সমৃদ্ধ ‘পুষ্টি চাল’ বিতরণ করা হচ্ছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাজমানারা খানুম বলেন, দেশে এখন সর্বোচ্চ ১০ লাখ মেট্রিকটন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ইউনিয়ন পর্যায়ে চালু রয়েছে, তবে ওএমএস কার্যক্রম সারা দেশব্যাপী চালু রয়েছে। সারা বাংলাদেশে এক হাজার ৭৬০টি কেন্দ্রে ওএমএস কার্যক্রম পরিচালিত হয়। মার্চ-এপ্রিলে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে তিন লাখ মেট্রিকটন খাদ্য বিতরণ করা হবে।

বিভিন্ন ধরনের খাদ্যশস্য বিভিন্ন মৌসুমভিত্তিক সংগ্রহ করা হয়ে থাকে বলে খাদ্যের বস্তায় মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেয়া সম্ভব নয়। তবে কোন মাসে মিলার চাল সরবরাহ দিচ্ছে তা উল্লেখ থাকে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কৃষকের ধানের মূল্য পরিশোধের বিষয়টি সরকারের পরিকল্পনায় রয়েছে। খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের উৎপাদক, সরবরাহকারীদের সব ধরনের অংশীজনদের নিয়ে সভা-সেমিনার, র্যালি করা হয়ে থাকে। নিরাপদ খাদ্য সংক্রান্ত একাধিক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে যেখানে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারী ছাড়াও গৃহিণীদের নিরাপদ ও পুষ্টিমান সম্পন্ন খাদ্যবিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ

নির্বাচিত

প্রভাবশালী নোবেল বিজয়ী বন্ধুবান্ধব থাকলেই বিচারের ঊর্ধ্বে?

পদ্মা সেতু সততার প্রতীক, অপমানের প্রতিশোধ

সরকারি পর্যায়ে চাল-গমের মজুত বেড়েছে তিনগুণেরও বেশি

পাচার হওয়া টাকা উদ্ধারে ১০ দেশের সঙ্গে চুক্তি : শেখ হাসিনা

কম খরচে মিলছে সুপার হাসপাতালের বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা

‘রোহিঙ্গা সমস্যার জন্য সরকার দায়ী’; ‘সুসম্পর্ক রক্ষায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিন’: খালেদা জিয়া

ঝিনাইদহে বাণিজ্যিকভাবে মিষ্টি আঙ্গুর চাষে সাফল্য

শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা

হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ প্রদান

রাজশাহীতে সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহে ব্যাপক সারা, লাভবান হচ্ছেন কৃষক