সবই ‘খায় খাতির’ এর বিষয়। ডেভিড বার্গম্যানের পক্ষে বাংলাদেশের ৩২ জন বিশিষ্ট সুশীল বিবৃতি দিয়ে উচ্চ আদালতে গিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে এসেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর এক খুনির ফাঁসির রায় বাতিলের আবদার জানিয়ে শেখ হাসিনাকে পত্র পাঠিয়েছিলো লিবিয়ার গাদ্দাফী, বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের দাবি জানিয়ে পাকিস্তানের সংসদে বিল উত্থাপিত হয়েছিলো, তুরস্ক থেকেও প্রতিনিধি দল এসেছিলো এই আহ্লাদী আবদার নিয়ে।
ড. ইউনূসের কর ফাঁকি দেয়া মামলা বন্ধের আবদার জানিয়ে খোলা চিঠি লিখেছেন তাঁর ইয়ারবক্সি, খাতিরের বন্ধু, মায়ার ভাইয়েরা। পৃথিবী থেকে আইন আদালত ব্যাপারটা তুলে দেওয়া উচিত। ক্ষমতাবান, প্রভাবশালী, সুশীল বুদ্ধিজীবী, নোবেল বিজয়ী- ইত্যাদি বন্ধু বান্ধব থাকলেই বিচারের ঊর্ধ্বে। উনারাই সিদ্ধান্ত দিয়ে দেন কোনটা হয়রানিমূলক, আর কোনটা ন্যায় বিচার। আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আমেরিকার আদালতে মামলা চলছে। ট্রাম্পের পক্ষে তার ইয়ারবক্সিরা ‘খোলাচিঠি’ লিখে আমেরিকার বিচার ব্যবস্থার সানডে মানডে ক্লোজ করে দিক!
লেখক : হাসান মোর্শেদ- মুক্তিযুদ্ধ গবেষক