1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ফুলের রাজ্য গদখালীতে লাল-হলুদ ক্যাপসিকাম চাষে সাফল্য

যশোর জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৩

বাহারি রঙের বিদেশি সবজি ক্যাপসিকাম। এটি মিষ্টি মরিচ নামে পরিচিত। ভিটামিন এ ও সি সমৃদ্ধ এ সবজির বড় ক্রেতা শহরাঞ্চলের বড় বড় হোটেল ও রেস্টুরেন্টে। এক সময় শহরের সৌখিন মানুষ বাসার ছাদে টবে এ সবজির লাগালেও বর্তমানে অনেকে এ সবজি চাষে ঝুঁকছে।

কম পরিশ্রমে অধিক লাভবান হওয়ায় চাষিদের কাছে কদর বাড়ছে ক্যাপসিকাম চাষের। গাছ লাগানোর ৩৫ দিনের মধ্যে ফুল আসতে শুরু করে, এরপর পরবর্তী এক মাসের মধ্যেই বিক্রির উপযুক্ত হয় এই সবজি। তেমনি ফুলের রাজধানী যশোরের গদখালীতে ফুলের পর এবার লাল, হলুদ, সবুজ ক্যাপসিকাম চাষে সাড়া ফেলেছেন ঝিকরগাছা উপজেলার পটুয়াপাড়া গ্রামের সামছুদ্দীন মোড়লের ছেলে কৃষক মনজুর আলম।

কম খরচে অধিক লাভের এই ক্যাপসিকাম টানা চার মৌসুম চাষ করছেন তিনি। ভারত থেকে বীজ সংগ্রহ করে নিজে চারা উৎপাদন করে মাত্র দেড় লাখ টাকা খরচে এক বিঘা জমিতে পলিথিনের ছাওনি (শেড) ব্যবহার করে নেদারল্যান্ডসের ‘বাচেতা’ জাতের ক্যাপসিকাম চাষ করছেন।

কৃষক মনজুর আলম জানান, এ বছর তার ক্যাপসিকামের বাম্পার ফলনও হয়েছে। খরচ বাদ দিয়ে অন্তত ১৫ লাখ টাকা লাভ পাওয়ার আশা করছি। ইতিমধ্যে সাড়ে তিন লাখ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করেছি। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার বাজারে ক্যাপসিকামের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ক্যাপসিকাম পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। এক বিঘা জমির প্রায় শতভাগ গাছের প্রতিটি গাছেই ক্যাপসিকাম আকারে বেশ বড়। ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত ওজন হয়েছে। গত নভেম্বরের শেষের দিকে তিনি সি-ট্রেতে চারা বানাতে বীজ ফেলেন। চারার বয়স ২৬ দিন হলে তা খেতে রোপণ করেন। গাছের বয়স ৫৫ দিন হলে ফলন শুরু হয়। মনজুর আলমের খেতে তিন ধরনের ক্যাপসিকাম রয়েছে। একটি লাল, সবুজ অন্যটি হলুদ রঙের।

তিনি জানান, স্থানীয় কৃষি অফিস ক্যাপসিকাম চাষের ব্যাপারে সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছে। সরকারি সহায়তা পেলে ব্যাপক হারে চাষাবাদ করে এলাকায় বেকারদের কর্মসংস্থানে ভূমিকা রাখতে পারব বলে বিশ্বাস।

ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ফুলের পর গদখালীতে এভাবে ক্যাপসিকাম চাষ অব্যশই সাফল্য। মনজুর আলম কয়েকবার বৈদেশিক জাতের এই ক্যাপসিকাম চাষে ভালো লাভবান হয়েছে। তাকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ