পটুয়াখালীতে বাণিজ্যিকভাবে ত্বীন ফলের চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন চাষিরা। ত্বীন ফল চাষে স্থানীয় কৃষি অফিস থেকেও মিলছে সব ধরনের সহযোগিতা।
২০২০ সালের অক্টোবরে পরীক্ষামূলকভাবে পটুয়াখালী সদর উপজেলার টেংরাখালী এলাকায় ৩০ শতক নিচু জমিতে বালু ভরাট করে ত্বীন ফলের চাষ শুরু করেন মাদ্রাসাশিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসাইন মানিক। নিবিড় পরিচর্যায় গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফল ধরতে শুরু করে। প্রতি কেজি এক হাজার টাকা দরে বাগান থেকেই তিনি এই ফল বিক্রি করছেন।
বাগান মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক বলেন, ‘প্রতি কেজি ফল আমি এক হাজার টাকা দরে বিক্রি করছি। প্রতিদিন গড়ে ২ থেকে ৩ কেজি ফল বিক্রি করতে পারছি।’
তার সাফল্য দেখে এ ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন এলাকার মানুষও।
পাশাপাশি কৃষি বিভাগ থেকেও সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা মিলছে। পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ত্বীন ফল চাষের জন্য আমরা কৃষকদের সর্বদা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। জাহাঙ্গীর হোসেন মানিকের দেখাদেখি আরও কিছু কৃষক ত্বীন ফল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। তারা আমার সঙ্গে এ বিষয়ে কথাও বলেছেন।’
বর্তমানে জাহাঙ্গীর হোসাইন মানিকের বাগানে দুই শতাধিক ত্বীন গাছ রয়েছে। প্রতি মাসে ত্বীন ফল বিক্রি করে তার ৪০ হাজার টাকা লাভ হয়।