1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

কোনো দেশেই অতি দারিদ্রের হার এতো দ্রুত কমেনি: শেখ হাসিনা 

নিউজ এডিটর : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৪

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় বাংলাদেশে যে গতিতে অতি দারিদ্রের হার কমেছে, বিশ্বের কোনো দেশই এতো দ্রুত তা কমাতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার সকালে নিজ কার্যালয়ে দুই সিটির মেয়র, কাউন্সিলর এবং জেলা পরিষদের পাঁচ চেয়ারম্যানের শপথ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের কোনো দেশই অতি দরিদ্রের হার এতো দ্রুত কমাতে পারেনি। একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় সেটি সম্ভব হয়েছে। কারণ, পরিকল্পিতভাবে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের দারিদ্রের হার বিমোচনের বিষয় এখন সারা বিশ্বেই আলোচিত। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে দারিদ্র্যের হার কমে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ এবং অতি দারিদ্র্যের হার নেমেছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে।

কিন্তু ২০০৮ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ জোট বিজয়ী হওয়ার আগে এই চিত্র ছিলো সম্পূর্ণ ভিন্ন। ২০০৫ সালে দেশে দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ, আর অতি দারিদ্র্যের হার ছিলো ২৫ দশমিক ২ শতাংশ।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে। একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসায় মানুষ বুঝতে পেরেছে, সরকার জনগণের সেবক।

এ সময় জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মানুষের প্রতি দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, জন প্রতিনিধি হিসেবে সবাইকে সেবা দিলে নির্বাচনের সময় ভোটের চিন্তা করতে হয় না।

শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের ভোটে আপনারা নির্বাচিত হয়েছেন। তাই জনগণের প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করতে হবে। মানুষের জীবনমান উন্নত করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।

‘দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য আমাদের সরকারে আসা। কিন্তু ক্ষমতায় আসা কঠিন কাজ ছিলো। নানামুখী চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র, অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে আওয়ামী লীগকে,’ যোগ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমস্ত গ্রামকে উন্নত করতে হবে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়াতে হবে। শিল্পায়ন করতে গেলেও মানুষের আর্থিক সক্ষমতা বাড়াতে হবে। সে লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে সরকার।

এ সময় নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের পরিকল্পিত নগরায়ণ গড়ে তোলা ও মানুষের সার্বিক সেবা দেওয়ার লক্ষ্যের কথা মনে করিয়ে দেন তিনি।

বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে যাদের ঘর করে দেয়া হয়েছে, তাদের খোঁজ খবর রাখতে হবে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মানুষ স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে কিনা, তাও দেখতে হবে।

বিএনপি-জামায়াতের আমল থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় স্থানীয় সরকারের বরাদ্দ আট গুণ বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে, কারণ আমি কাজ চাই। উন্নয়ন কাজ যেনো অব্যাহত থাকে এবং কাজের মান যেনো ঠিক থাকে।

‘উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে জনগণের কাছে দেয়া ওয়াদা পূরণ করতে হবে। মানুষের আস্থা, বিশ্বাস যেনো না হারান,’ জন প্রতিনিধিদের মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, এতো উন্নয়ন করার পরও, কিছু মানুষ উন্নয়ন দেখতে পায় না। যারা দেখেও দেখে না, তাদের করুণা করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।

পেঁয়াজ ও ভোজ্যতেলের মতো পণ্যের উৎপাদন দেশে বাড়িয়ে ভবিষ্যতে আমদানি নির্ভরতা আরো কমানোর আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, চেষ্টা করলে বাঙালি পারে না, সেটা হয় না।

শপথ নিলেন মেয়র, চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলররাশপথ নিলেন মেয়র, চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলররা
এর আগে ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত দুই মেয়র ইকরামুল হক টিটু ও ডা. তাহসীন বাহার সূচনাকে শপথ পড়ানোর পড়ান তিনি।

এরপর কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, সিরাজগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদেরও শপথ পড়ান প্রধানমন্ত্রী।

এছাড়া ময়মনসিংহ সিটির কাউন্সিলরদের শপথ পড়ান স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ