দেশের ১২তম বেসরকারি এয়ারলাইন্স হিসেবে যাত্রা শুরু করছে ফ্লাই ঢাকা। সবঠিক থাকলে চলতি বছরের নভেম্বরেই অভ্যন্তরীণ রুট দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে চায় এয়ারলাইন্সটি। যাত্রী নিরাপত্তায় জিরো টলারেন্স নীতি ও সর্বস্তরের মানুষের জন্য সমান সেবা নিশ্চিত করতে চায় ফ্লাই ঢাকা।
স্বাধীনতার ২ মাসের মধ্যেই আকাশে প্রথমবারের মতো ডানা মেলেছিলো রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। অথচ প্রথম বেসরকারি এয়ারলাইন্স পেতে অপেক্ষা ছিলো ২৬ বছরের। যদিও যাত্রা শুরুর এক বছরের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় প্রথম বেসরকারি এয়ারলাইন্স- অ্যারো বেঙ্গল।
এরপর আরও ১০টি বেসরকারি বিমান সংস্থা অনুমতি পায় আকাশে ওড়ার । যার মধ্যে ডানা গুটিয়েছে ৮ এয়ারলাইন্স। মূলত সঠিক পরিকল্পনা, এয়ারক্রাফট ও রুট নির্বাচনে দূরদর্শিতার অভাব, অতিরিক্ত সারচার্জ, জেট ফুয়েলের উচ্চমূল্যই এসব এয়ারলাইন্স টিকতে না পারার কারণ।
এমন পরিস্থিতিতে ফ্লাইট পরিচালনায় আসছে নতুন এয়ারলাইন্স ফ্লাই ঢাকা। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী নভেম্বরে আকাশে উড়তে চায় নবীন এ এয়ারলাইন্সটি। শুরুতে পরিচালনার আওতায় আনতে চায় অভ্যন্তরীণ সবকটি রুট।
ফ্লাই ঢাকা এয়ারলাইন্সের পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক পরিকল্পনা হচ্ছে অভ্যন্তরীণ রুট পরিচালনা করা। নভেম্বরের মধ্যেই আমরা আকাশে উড়তে চাই। বাংলাদেশে যে কয়টা বিমানবন্দর রয়েছে সবগুলোকেই আমরা পরিকল্পনায় রাখছি।’
দেশে আকাশপথে বাড়ছে যাত্রীর সংখ্যা । যা কাজে লাগাতে চায়- ফ্লাই ঢাকা। সেই লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ রুটে এটিআর ৭২-৬০০ উড়োজাহাজ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত তাদের। এরইমধ্যে যারা নিয়োগ পেয়েছে, তাদের চলছে প্রশিক্ষণ।
এয়ার হোস্টেসরা বলেন, আমরা আকাশে উড়ার জন্য খুব কৌতূহলী এ মুহূর্তে। প্রতিটি রেমিট্যান্স যোদ্ধাকে আমরা বিজনেস ক্লাসের যাত্রী হিসেবে মূল্যায়ন করতে চাই। নিরাপত্তা ও সার্ভিস দিয়ে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবো বলে আশা রাখি।
যাত্রী নিরাপত্তায় জিরো টলারেন্স নীতিতে এগুতে চায় দেশের ১২তম বেসরকারি বিমান সংস্থাটি। পাইলট নিয়োগেও সতর্ক তাই।
ফ্লাই ঢাকা এয়ারলাইন্সের পরিচালক ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ বলেন, ‘যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে অবস্থান করছি। এর মধ্যেই দক্ষ পাইলট ও ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের জন্য সার্কুলার দিয়েছি। আর পাইলট নিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা অধিক যাচাই বাছাই করবো।’
এয়ারলাইন্সটির লোগোতে স্থান পেয়েছে জাতীয় স্মৃতি সৌধ। লাল-সবুজের বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করেই সর্বস্তরের মানুষের জন্য সমান সেবা নিশ্চিত করতে চায় ফ্লাই ঢাকা।
ফ্লাই ঢাকা এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লে.জেনারেল মোল্লা ফজলে আকবর বলেন, ‘আমরা লগো করেছি স্বাধীনতার স্মৃতি সৌধের উপরে। যারা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন তাদেরকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। এয়ারলাইন্স বলতেই বড় লোকের জিনিস, এটা থেকে আমরা বেড়িয়ে আসতে চাচ্ছি। আমি চাই শ্রমিক থেকে উচ্চবিত্ত সবাই একই সেবা পাবে।’
নিয়ম অনুযায়ী, এক বছর অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে শিগগিরই আন্তর্জাতিক অপারেশন শুরু করতে চায় নতুন এই এয়ারলাইন্স।