1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

খুলনা-মোংলা রেলপথ : কাজ শেষ ডিসেম্বরেই

বিশেষ প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ৪ মে, ২০২২

গত ছয় বছরের বেশি সময়ে খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্পের অগ্রগতি ৯০ শতাংশ। সম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে হাতে আছে আরও আট মাস। ১ হাজার ৭২১ কোটি ৩৯ লাখ ৩৭ হাজার টাকার এ প্রকল্পের কাজ চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করতে চায় রেলওয়ে। তাই আন্তর্জাতিক ঠিকাদার বাদ দিয়ে দেশি ঠিকাদার দিয়েই সিগন্যালিং সম্পন্ন করার পথে হাঁটছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সিগন্যালিং কাজে যুক্ত হচ্ছে দেশি ঠিকাদার

খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত রেলপথটি ৬৪ দশমিক ৭৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রডগেজ রেললাইনে যুক্ত হবে। রেলপথে সিগন্যালিং কাজের ব্যয় সিডি ভ্যাট বাদে ১৭ কোটি ৭৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকা ও সিডি ভ্যাটসহ ২২ কোটি ৭ লাখ ৬ হাজার টাকা। মহাপরিচালক দপ্তরের সিগন্যাল ও টেলিকম শাখার দপ্তরাদেশের মাধ্যমে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মাধ্যমে সিডি ভ্যাট বাদে ১৭ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা এবং সিডি ভ্যাটসহ ২২ কোটি ৬ লাখ ৬১ হাজার টাকা ধরা হয়। ২০২০ সালের জুলাই মাসে প্রথম দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে নয়টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র কিনলেও মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। দাখিল করা দর প্রাক্কলিত মূল্যের চেয়ে ৩৩ দশমিক ৮২ শতাংশ অধিক হওয়ায় দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি তা বাতিলের সুপারিশ করে।

২০২১ সালের জুলাই মাসে দ্বিতীয়বার দরপত্র আহ্বান করা হয় এবং তিনটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র কিনলেও ২০২১ সালের ২৮ অক্টোবর প্রথমবার একটি প্রতিষ্ঠানসহ মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। দাখিল করা দর দাপ্তরিক ব্যয় থেকে ৫৭ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। অধিক দরের জন্য এই দরও বাতিল করা হয়। সিগন্যালিং কাজে যে টাকা ধরা হয়েছে তা দিয়ে বিদেশি ঠিকাদার পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ২২ কোটি টাকা দিয়ে দেশি ঠিকাদার পাওয়া সম্ভব। তাই বিদেশি ঠিকাদার বাদ দিয়ে দেশি ঠিকাদার দিয়ে কাজ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

সমুদ্রবন্দরে তৈরি হবে রেল সংযোগ

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা গেলে যে সুবিধা পাওয়া যাবে তার মধ্যে রয়েছে— খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত পথটি ৬৪ দশমিক ৭৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রডগেজ রেললাইনে সংযুক্ত হবে। এর মাধ্যমে মোংলা সমুদ্রবন্দরকে বিদ্যমান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করা সম্ভব হবে। রেলযোগে আঞ্চলিক যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নও ঘটবে। রেললাইনে সংযুক্ত হলে মোংলা সমুদ্রবন্দরে বাড়বে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। পাশাপাশি মোংলা থেকে তেলবাহী ওয়াগন সারাদেশে চলাচলের ব্যবস্থা করা যাবে। মোংলা বন্দর পর্যন্ত নিরাপদ ও আরামদায়ক রেলওয়ে পরিবহন সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ পাবেন পর্যটকরা।

নানা কারণে প্রকল্প সংশোধন

নানা কারণে প্রকল্পটি সংশোধন করা হয়। প্রকল্পের আওতাভুক্ত নির্মাণকাজের দরপত্রের মূল্যবৃদ্ধি, সিগন্যালিং ও টেলিকমিউনিকেশন ওয়ার্কসের ব্যয় বাড়ানো হয়। এছাড়া ভূমি অধিগ্রহণ, সিডি ভ্যাট, যানবাহন ভাড়া, পুনর্বাসন বাস্তবায়ন সংক্রান্ত ব্যয় কমলেও সুপারভিশন পরামর্শক খাতে ব্যয় বেড়েছে। মেয়াদ বাড়ানোর কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন ইউনিটে জনবল ও অন্যান্য খাতে ব্যয় বাড়ে। পরামর্শকের আইটি ও ভ্যাটের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং লেজিসলেটিভ পরিবর্তন, নিয়োগ ও অনুষ্ঠান ব্যয় নতুন অঙ্গ হিসেবে প্রকল্পটিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারণেও প্রকল্পটি সংশোধনের প্রয়োজন হয়।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ