চট্টগ্রাম-চীন রুটে সরাসরি কন্টেইনারবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক মেডিটেরানিয়ান শিপিং কোম্পানির (এমএসসি) পরিচালনায় এই রুটের প্রথম জাহাজ এমএসসি কাইমিয়া মঙ্গলবার (২৪ মে) চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে গেছে। যাত্রা পথে সিঙ্গাপুর থেকে কন্টেইনার নিয়ে সেটি হংকং পৌঁছাবে।
এমএসসি সূত্র জানায়, হংকং বন্দর থেকে শুরু হয়ে চীনের ইয়ানতিন ও সেকু বন্দরে কনটেইনার পণ্য বোঝাই করবে এই সেবার আওতায় পরিচালিত জাহাজগুলো। এরপর সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার বন্দরে থেকে আরও কনটেইনার বোঝাই করে চট্টগ্রামে ফিরবে এসব জাহাজ। একইভাবে চট্টগ্রাম থেকে এসব বন্দর হয়ে চীনে যাবে।
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নামের নতুন এই পরিসেবায় শুরুতে ৪টি জাহাজ যুক্ত হলেও শীঘ্রই আরো দুটি জাহাজ যুক্ত হবে। সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক মেডিটেরিয়েন শিপিং কোম্পানি (এমএসসি) এই সেবা চালু করছে। চীন থেকে পণ্য নিয়ে সপ্তাহে একটি করে জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে ভিড়বে।
প্রথম জাহাজ ‘এমএসসি কাইমিয়া’ আমদানি পণ্যভর্তি কন্টেইনার নিয়ে গত ২০ মে চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে পৌঁছে। ফিরতি পথে ২৪ মে বিকেলে ৪৩৯ একক রপ্তানি পণ্যভর্তি কন্টেইনার এবং খালি কন্টেইনার সহ মোট ১ হাজার ২৯২ কন্টেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম ছেড়ে যায়।
জাহাজের অবস্থান সনাক্তকারী ওয়েবসাইট মেরিন ট্রাফিকের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এমএসসি কাইমিয়া বিকাল সাড়ে ৫টায় চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে যায়। এটি আগামী ২৮ মে সিঙ্গাপুর বন্দরে পৌঁছাবে।
এমএসসি সূত্র জানায়, নতুন রুটে ১২-১৩ দিনেই চীন থেকে কয়েকটি বন্দর ঘুরে জাহাজে করে পণ্য চট্টগ্রামে আসবে। অন্যান্য জাহাজ ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরে পণ্য উঠানামা করে চট্টগ্রাম বন্দরে আসতে সময় লাগে প্রায় ২৫ দিন। এই পরিসেবার মাধ্যমে বাংলাদেশের আমদানিকারকদের সময় বাঁচবে প্রায় ১৩ দিন।
এমএসসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “নতুন পরিসেবার আওতায় জাহাজগুলো ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরে পণ্য নামাবেনা। কিছু কন্টেইনার উঠাবে। ট্রান্সশিপমেন্ট পোর্টে চট্টগ্রামের জন্য কানেকশান পেতে ১০ থেকে ১২ দিন অপেক্ষা করতে হয়। সরাসরি কন্টেইনার নিয়ে আসায় ওয়েটিং টাইম বেঁচে যাবে। তাই চীন থেকে ১৩ দিনের মধ্যে কার্গো চট্টগ্রামে চলে আসবে। এতে কম সময়ে এবং কম ভাড়ায় পণ্য পরিবহনের সুযোগ পাবে আমদানিকারকনরা। আমদানি পণ্য নামানোর পর জাহাজগুলো ফিরতি পথে রপ্তানি পণ্য নিয়ে যাবে ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরে।
বর্তমানে চীন থেকে ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে পণ্য পরিবহন করছে ১৯টি জাহাজ।