1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

খুলনা ও বরিশাল সিটি নির্বাচনে প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা

নির্বাচন ডেস্ক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ২৬ মে, ২০২৩

খুলনা সিটি কপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ১৭৯ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ চলছে। শুক্রবার (২৬ মে) সকাল ৯টা থেকে এ প্রতীক বরাদ্দ শুরু হয়। প্রথমেই চার মেয়র প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়।

কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন বলেন, ‘সকাল ৯টা থেকে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ শুরু হয়। প্রথমেই মেয়র প্রার্থীদের আবেদন অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। এরপর সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ কার্যক্রম শুরু হয়। আগামী ১২ জুনের এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ মেয়র প্রার্থীসহ ১৭৯ জন।’

এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীকের তালুকদার আব্দুল খালেক, ইসলামী আন্দোলন মনোনীত প্রার্থী হাত পাখা প্রতীকের মো. আব্দুল আউয়াল, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের এসএম শফিকুল ইসলাম মধু ও জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী গোলাপ ফুল প্রতীকের এসএম সাব্বির হোসেন। এছাড়া সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রার্থী রয়েছেন।

এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন টেবিল ঘড়ি, ‍আসাদুজ্জামান ‍আসাদ হরিণ ও ‍আলী হোসেন হাতি প্রতীক পেয়েছেন।

শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক নৌকা প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে নিউমার্কেট এলাকা থেকে তার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন।
জানা গেছে, কেসিসি নির্বাচনে ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৬১ কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। আর ১২৮টি সাধারণ কেন্দ্র। সাধারণ কেন্দ্রের তুলনায় ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা থাকবে। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার পুলিশ ও আনসার। নির্বাচনের কাজে ৩ হাজার ৫৬৭ পুলিশ, ৩০০ আর্মড পুলিশ ও ৪ হাজার ৬৫৭ আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এরই মধ্যে নগরীতে ১৬টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সদর দফতরে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হচ্ছে। এছাড়া বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যরা নির্বাচনের দিন দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচন উপলক্ষে ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা ১০ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।

কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন জানান, এবার ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে ২৮৯টি কেন্দ্র ও ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকক্ষের সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। নির্বাচন কমিশন এগুলো সার্বক্ষণিক মনিটর করবে। কেসিসি নির্বাচনে ৩১টি ওয়ার্ডে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন ও পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন।

বরিশাল সিটি নির্বাচন

এদিকে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া শুরু হয়।

আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত নৌকা, জাতীয় পার্টির প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস লাঙ্গল, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি ফয়জুল করিম হাতপাখা এবং জাকের পার্টির প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চুকে দলীয় প্রতীক গোলাপ ফুল বরাদ্দ দেওয়া হয়।

এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন টেবিল ঘড়ি, ‍আসাদুজ্জামান ‍আসাদ হরিণ ও ‍আলী হোসেন হাতি প্রতীক পেয়েছেন।

প্রতীক হাতে পেয়ে নৌকার প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, ‘নির্বাচিত হলে মেয়রের সঙ্গে জনগণের যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে তা দূর করা হবে। একইভাবে নগরবাসীকে সঙ্গে নিয়ে তিলোত্তমা বরিশাল গড়ে তোলা হবে। সেখানে যত সমস্যা রয়েছে তা সমাধানের চেষ্টা থাকবে।’

লাঙ্গলের প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, ‍‘গাজীপুরের সিটি নির্বাচন এবং একটি দূতাবাসের যে চিঠি তা মানুষের মনে কাছে পৌঁছে যাওয়ার ফলে মানুষ ভোট দানে আগ্রহী হয়েছে।’

আগামী ১২ জুন একইভাবে ভোটাররা বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দেওয়ার আশা করেন তিনি।

তাপস বলেন, ‘বরিশালের ২৬টি খাল পুনরায় উদ্ধার এবং জলাবদ্ধতা দূর করাসহ নগরীকে আইটি নগরীতে পরিণত করার ইচ্ছা রয়েছে। এ জন্য নগরবাসীকে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দেওয়ার ‍আহ্বান জানাই।’

৩০টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ১১৬ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী ৪২ জনের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির। তবে এ ক্ষেত্রে একই ওয়ার্ডে একাধিক প্রার্থী একই প্রতীক দাবি করলে লটারির মাধ্যমে তা সমাধান দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, ‘প্রার্থীদের নির্বাচনী ‍আচরনবিধি মেনে চলার ‍আনুরোধ জানিয়ে প্রচার-প্রচারণার সময়সীমা বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। একজন মেয়র প্রার্থী ‍একটি থানা ‍এলাকায় ‍একটির বেশি নির্বাচনী কার্যালয় করতে পারবেন না। ‍আশা করছি প্রার্থীরা ‍আচরণবিধি মেনে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাবেন। বিশেষ করে মাইকিংয়ের ক্ষেত্রে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।’

আগামী ১২ জুন নগরীর ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪টি কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৫৮ বর্গকিলোমিটার নগরীতে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন।

 


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ