1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে পতাকা হাতে সারাদেশে ছাত্রলীগের সমাবেশ

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪

প্রায় সাত মাস ধরে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। তাদের হামলায় এখন পর্যন্ত উপত্যকাটিতে নিহত হয়েছেন প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি। সেখানে দেখা দিয়েছে মানবিক সংকট। এমন প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এখন ফিলিস্তিনের পক্ষে এবং ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি ইসরায়েল এবং দেশটিতে অস্ত্র সরবরাহকারী মার্কিন কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে অনুদান নেওয়া বন্ধের দাবিতে সমাবেশ, মিছিল ও অনশন করছেন তারা। শিক্ষার্থীদের এসব কর্মসূচিতে ব্যাপকভাবে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে হাজারো শিক্ষার্থী ও বিক্ষোভকারীকে।

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এতো অভিযান, ধরপাকড় ও দমন-নিপীড়নেও দমছে না ইসরাইলবিরোধী আন্দোলন। বরং, নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষায় বিক্ষোভের এ ঢেউ আছড়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেও। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোড়ন তুলতে শুরু করেছে এই আন্দোলন। অস্ট্রেলিয়া, জর্ডান, কানাডা, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড এবং সুইজারল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ হচ্ছে। সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে ভারতেও। লন্ডন, প্যারিস ও রোম থেকে সিডনি, টোকিও, নয়াদিল্লি, বৈরুতসহ বিশ্বের বিভিন্ন শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি একটাই- ‘গণহত্যা বন্ধ হোক’।

চলমান এই আন্দোলনে এবার একাত্মতা পোষণ কর্মসূচি পালন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। এ সময় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহুর কুশপুত্তলিকা দাহ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, দেশের সব ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ছে এই আন্দোলন।

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিন থেকে ছাত্রলীগ পদযাত্রা বের করে। পদযাত্রাটি ফুলার রোড ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা ঘুরে টিএসসি এলাকায় রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানে সমাবেশ হয়। সমাবেশের আগেই ছাত্রলীগের উদ্যোগে রাজু ভাস্কর্যের পেছনে বড় আকারের একটি ফিলিস্তিনি পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল।

সমাবেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ফিলিস্তিনে যারা অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে, ইতিহাসের কী অমোঘ পরিণতি, সেই যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থী ও তরুণসমাজ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে। এ জন্য তাদের ওপর নির্যাতন-নিষ্পেষণ করা হচ্ছে। যারা গণতন্ত্রের মোড়ল এবং বিশ্বব্যাপী বাক্‌স্বাধীনতার সনদ দেয়, যারা সারা জীবনের জন্য গণতন্ত্রের টেন্ডার নিয়েছে, যারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সমাবেশের স্বাধীনতার কথা বলে, তাদের মুখোশ আজ উন্মোচিত হয়ে গেছে।

সাদ্দাম হোসেন আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনে যারা হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, তারা মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত। আন্তর্জাতিক আদালতে তাদের বিচার করতে হবে। বিশ্বমোড়লদের কাছে আমরা প্রশ্ন রাখতে চাই, কবে এটিকে গণহত্যা বলা হবে? অবিলম্বে গাজায় সংঘটিত নৃশংস যুদ্ধাপরাধের বৈশ্বিক স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে এই অপরাধ ও নৃশংসতার বিচার করতে হবে।’

যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ নগ্নভাবে ফিলিস্তিনে নিপীড়ন ও ধ্বংসযজ্ঞকে সমর্থন করছে বলে সমাবেশে অভিযোগ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির। সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান জানান, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবির পক্ষে তাঁরা ধারাবাহিক কর্মসূচি দেবেন।

বাংলাদেশে অধ্যয়নরত দুজন ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীও ছাত্রলীগের এই সমাবেশে বক্তব্য দেন। তাঁরা হলেন জেনারেল ইউনিয়ন অব প্যালেস্টাইনিয়ান স্টুডেন্টস ইন বাংলাদেশের সভাপতি ও ফাতাহ্ মুভমেন্ট বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক বাদাউয়ি আহমেদ এবং ফাতাহ্ মুভমেন্ট বাংলাদেশের সংগঠক ইশহাক নামউরা। ফিলিস্তিনের পাশে থাকার জন্য তাঁরা বাংলাদেশ সরকার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ জানান।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান সমাবেশ সঞ্চালনা করেন। আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি রাজিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সজল কুণ্ডু, উত্তরের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ শামীম ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আকিব মোহাম্মদ ফুয়াদ।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ