1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ৩০ লাখ পশু

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪

কোরবানির জন্য দেশে প্রস্তুত আছে ১ কোটি ৩০ লাখ গবাদি পশু। দেড় মাস বাকি থাকতেই বিভিন্ন খামারে শুরু হয়েছে কোরবানির পশু বেচাকেনা। হাটের ঝামেলা এড়াতে খামার থেকে পশু কিনতে আগ্রহ বাড়ছে মানুষের। তবে পশুখাদ্য, ওষুধসহ প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। যার প্রভাব পড়তে পারে কোরবানির বাজারে।

পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি প্রায় দেড়মাস। তবে এখনই শুরু হয়েছে কোরবানির পশু কেনাবেচা। ক্রেতা সমাগমে বড় খামারে এখন থেকেই হাটের চিত্র দেখা যাচ্ছে।

কেরানীগঞ্জের শরিফ অ্যগ্রোভেটে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৩ হাজার গরু। এ খামার থেকে ইতোমধ্যে বিক্রি হয়েছে ৫ শতাধিক ষাড়। প্রতিদিনই পশু কিনতে আসছেন রাজধানী ও আশেপাশের ক্রেতা।

পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দলবেঁধে আসা ক্রেতারা সময় নিয়ে পশু যাচাই বাছাই করার পর্যাপ্ত সময় পান। তাই হাটের ভিড় এড়াতে খামার’ই তাদের স্বাচ্ছন্দ।

একজন ক্রেতা বলেন, ‘হাটের গরুটা কিন্তু লাইভ ওয়েট দিয়ে মাপা যায় না। আর এখানে লাইভ ওয়েট দিয়ে মাপা যায় আমি ক্যালকুলেশন করতে পারি দামটা কি রকম হয়। এছাড়াও ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় হাটে যাওয়ার মতো সময় হয় না। সেজন্যও এখানে আসা।’

কেনা গরু ঈদ পর্যন্ত খামারেই পালন করা হয়। এ সময় তার খরচসহ দাম নির্ধারণ হয়।

খামারের বিক্রেতা বলেন, ‘গতবছর কোনোদিন ২০টি আবার কোনোদিন ৩০টি গরু বিক্রি হয়েছে। আমরা এবারও আসা করছি গতবারের মতো এ বছরও কুরবানির ১৫ থেকে ২০ দিন আগে সব বিক্রি করে দিতে পারবো।’

বিভিন্ন খামারে ওজন মাপার ব্যবস্থা থাকে। তাই গবাদিপশুর ওজন অনুযায়ী দরদামের সুযোগ থাকে ক্রেতার।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশে কুরবানি যোগ্য গবাদি পশুর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ। গত বছরের চেয়ে যা প্রায় ৫ লাখ বেশি। তীব্র গরমের কারণে এসব গবাদি পশু খাদ্যগ্রহণ কমিয়ে দিয়েছে। যার প্রভাব পড়ছে ওজনে। এক মাসের ব্যবধানে এসব গবাদি পশুর ওজন কমেছে প্রায় ৩০ থেকে ৫০ কেজি পর্যন্ত। এদিকে এদের লালন-পালনে খরচ বাড়ছে খামারিদের।

পশু ঠান্ডা রাখতে দিনরাত বৈদ্যুতিক পাখা চালু রাখার পাশাপাশি দৈনিক কয়েকবার গোসলে বাড়ে বিদ্যুৎ বিল। এসময় বেড়েছে ভ্যাকসিন ও ঔষুধের খরচও।

তবে ২ বছরের ব্যবধানে গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে প্রায় দিগুণ। গরু মোটাতাজা করতে ধানের কুড়া, গমের ভুসি, বুটের ভুসি, খেসাড়ি ভুসি, মসুর ভুসি, ভুট্টা, ফ্যাটেনিং ফিডসহ সব দানাদার খাদ্যের দাম প্রান্তিক খামারির নাগালের বাইরে।

কেরানীগঞ্জের খাড়াকান্দি বাজারের দোকানি আবু মো. দ্বীন ইসলাম বলেন,’পশুখাদ্যের যত পণ্য আছে সবগুলোর দামই ডবল হয়ে গেছে। এক বছরের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়েছে। আমার নিজের খামারেও ৩০টি গরু আছে। খামার থেকে কোনো লাভ করতে পারছি না। খামারে প্রচুর লস।’

প্রতিবছর পশুখাদ্যের দাম বাড়তে থাকায় কুলিয়ে উঠতে পারছে না প্রান্তিক খামারি। তাই খামার ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছেন অনেকে।

মৎস ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে মাংস উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। অন্যদিকে বাজারের চিত্র বলছে, ২ বছরের ব্যবধানে কেজিপ্রতি গরুর মাংসের দাম বেড়েছে প্রায় ২০০ টাকা। তবে গবাদিপশুর উৎপাদন খরচ বাড়ছে প্রতিবছর, যার প্রভাব পড়তে পারে আসন্ন কোরবানির বাজারে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ