1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বাঙালীর প্রতি পাকিস্তানের বৈষম্য

আলমগীর সাত্তার : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ৮ জুন, ২০২২

১৯৬৫ সালে আমি পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স সংক্ষেপে পিআইএ-তে যোগদান করেছিলাম। করাচী এবং রাওয়ালপিণ্ডিতে কয়েক বছরের পোস্টিং শেষে ১৯৬৮ সালের মাঝামাঝি সময় বাংলাদেশে ফিরে আসি। অর্থাৎ আমার পোস্টিং হয় ঢাকায়।

পিআইএ-তে যোগদান করার আগে আমি ঢাকা শহরের একটি ব্যাংকে কয়েক বছর চাকরি করেছিলাম। তখন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যাংকে চাকরি করতে হতো। ব্যাংকিংয়ের বই পড়া। ব্যাংকিংয়ের ফার্স্ট পার্ট আমি পাস করেছিলাম। ঢাকার ‘সিটি ল কলেজে’ সন্ধ্যার পর যেতাম ক্লাস করতে। তাই এমন ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটত যে, দৈনিক সংবাদপত্র পড়ারও সুযোগ পেতাম না। তাই পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্যের কথা ভাববার অবকাশ আমার ছিল না। ওই বৈষম্য স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করলাম চাকরি নিয়ে করাচী যাওয়ার পর। করাচীতে গিয়ে মনে হলো, মোটামুটি একটা উন্নত দেশে এসেছি। প্রশস্ত সব পিচঢালা রাস্তা। শহরের ভবনগুলোর অবস্থাও খারাপ ছিল না। হ্যাঁ, বলছিলাম পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যের বৈষম্যের কথা।

পিআইএ-তে পাইলটের সংখ্যা ছিল ৩০০ জন। এর মধ্যে আমরা বাঙালী পাইলট ছিলাম মোট ৩০ জন। অর্থাৎ মোট পাইলটের সংখ্যানুপাতে ১০ শতাংশ মাত্র। পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে পাইলটদের সংখ্যানুপাত ছিল ১১ শতাংশ। সেনাবাহিনীতে বাঙালী অফিসার ছিল ৫ শতাংশ। উর্ধতন অফিসার বলতে গেলে ছিলই না। বাংলাদেশ ডকুমেন্টস নামের একখানা বইয়ে প্রকাশিত কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরছি:

১৯৭০ সালে মাথাপিছু আয় : পশ্চিম পাকিস্তানে ছিল ৩৯১ টাকা বা রুপী এবং পূর্ব পাকিস্তানে ছিল ২৯৭ টাকা।

চালের মন (৮২ পাউন্ড) মূল্য : পশ্চিম পাকিস্তানে ১৮ টাকা আর পূর্ব পাকিস্তানে ৫০ টাকা।

আটার মণ মূল্য : পশ্চিম পাকিস্তানে ১০ টাকা আর পূর্ব পাকিস্তানে ৩৫ টাকা।

সেবা খাতের বৈষম্য : ১৯৭০ সালে পশ্চিম পাকিস্তানে ডাক্তারের সংখ্যা ছিল ১২,৪০০ জন এবং পূর্ব পাকিস্তানে ছিল ৭,৬০০ জন।

হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা : পশ্চিম পাকিস্তানে ছিল ২৬ হাজার এবং পূর্ব পাকিস্তানে ছয় হাজার মাত্র।

শিক্ষা খাত: ১৯৪৭ সালে পশ্চিম পাকিস্তানে প্রাইমারী স্কুলের সংখ্যা ছিল ৮,৪১৩টি। ১৯৭০ সালে তা বেড়ে হয় ৩৯,৪১৯টি। বৃদ্ধি পায় সাড়ে চার গুণ। অন্যদিকে ১৯৪৭ সালে পূর্ব পাকিস্তানে প্রাইমারী স্কুলের সংখ্যা ছিল ২৯,৬৬৩টি। ১৯৭০ সালে তা কমে হয় ২৮,৩০৮টি।

আমার ক্ষুদ্র লেখাটি যদি কেবল পরিসংখ্যান দিয়ে ভর্তি করি তবে তা পড়তে গিয়ে পাঠক বিরক্ত হবেন। করাচীতে তখন আমাদের সঙ্গে ছিলেন মরহুম ক্যাপ্টেন খালেক বীর প্রতীক। একদিন করাচীর ড্রিগ রোড ধরে ট্যাক্সিতে শহরের দিকে যাওয়ার পথে সুন্দর ড্রিগ রোড দেখিয়ে বললেন, এ সব হয়েছে আমাদের পাট রফতানি করার টাকায়। তখন পাকিস্তানে সোনার দাম প্রতি ভরি ছিল ১৫০ টাকা। পূর্ব পাকিস্তানে তা ছিল ২০০ টাকা। তাই পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তানে যে সব যাত্রীরা আসতেন তারা যাতে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তানে সোনা নিয়ে আসতে না পারে সে জন্য যাত্রীদের ঢাকা বিমানবন্দরে কাস্টম চেক করা হতো। অথচ পশ্চিম পাকিস্তানের এক অংশ থেকে অন্য অংশে সোনা নিয়ে চলাচলের ওপর কোন বাধা-নিষেধ ছিল না।

॥ দুই ॥

এত সময় তো পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে বৈষম্যের সামান্য কিছু কথা তুলে ধরলাম। এবার তুলে ধরতে চাই, পশ্চিম পাকিস্তানের লোকরা আমাদের কতটা অপছন্দ এবং অবজ্ঞা করত সে বিষয়টা। এ বিষয়ে খুব বেশি উদাহরণ দেয়ার প্রয়োজন বোধ করছি না। একটিমাত্র উদাহরণ দেব। তাও বিস্তারিত নয়, আংশিক মাত্র। সবটা তুলে ধরলে সেটাই হয়ে যাবে আর একটা লেখার সমান।

১৯৬৭ সালের নবেম্বর মাসের শেষের দিকের ঘটনা। ক্যাপ্টেন রফিউল হক এবং আমাকে পোস্টিংয়ে রাওয়ালপিণ্ডি যেতে হলো। ওখানে গিয়ে ‘গ্যাটমলস্ মটেল’ নামের একটি হোটেলে বড় একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে আমরা অবস্থান করছিলাম। হোটেলটির  মালিক ছিলেন অভিজাত শ্রেণীর একজন পাঠান। ম্যানেজমেন্টের তাড়ায় করাচী থেকে আমাদের এত দ্রুত আসতে হয়েছিল যে, আমরা শীত নিবারণের জন্য করাচীর পিআইএয়ের স্টোর থেকে লংকোট তুলে নিয়ে আসতে পারিনি। অথচ পিণ্ডিতে নভেম্বরের শেষ দিকে যথেষ্ট ঠান্ডা থাকে। নবেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহের একদিন ক্যাপ্টেন রফি রাওয়ালপিণ্ডি থেকে লাহোর ফ্লাইট করল। আমরা দুজনই তখন এফ-২৭ এ্যারোপ্লেনের কোপাইলট। ক্যাপ্টেন রফির ফ্লাইট করার একদিন পর আমি রাওয়ালপিণ্ডি থেকে স্কার্দু পর্যন্ত একটি ফ্লাইট করলাম। আমার ক্যাপ্টেনের নাম ছিল কামাল আল কারিমী। ভোর রাত পাঁচটায় কামাল আল কারিমীর বাসার সামনে যখন পৌঁছলাম, তখন তিনি তার বাসার সম্মুখের দরজা একটুখানি ফাঁক করে ড্রাইভারকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘আহারাহা’। এই বলে প্রস্তুত হয়ে এক ঘণ্টা পরে এসে মাইক্রোবাসে বসলেন। লংকোট না থাকায় শীতে আমি জমে যাচ্ছিলাম। কামাল আল কারিমী তার ইউনিফর্মের ওপর লংকোট পরেছিলেন। আর পরেছিলেন হাত মোজাও। বিমানবন্দরে পৌঁছে ফ্লাইট অপারেশন বিভাগের লোকজনের সম্মুখে আমাকে বেশ অপমানজনক ভাষায় বললেন, এ্যারোপ্লেনে গিয়ে দেখ সব ঠিক আছে কিনা? আমি যখন ফ্লাইট অপারেশন বিভাগের রুম থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলাম, তখন আমাকে উদ্দেশ্য করে সবাইকে শুনিয়ে বললেন, ‘ছালে, নওয়াব ছাব’। উপস্থিত সবাই এক চোট হাসল।

আমি গিয়ে এ্যারোপ্লেনের ককপিটে এক ঘণ্টারও বেশি সময় বসে রইলাম। তখন স্কার্দু, গিলগিত ফ্লাইটের যাত্রা করার জন্য নির্দিষ্ট সময় ছিল না। স্কার্দু, গিলগিট ফ্লাইট পরিচালনা করতে হতো হিন্দুকুশ-নাঙ্গা পর্বতের গিরিপথ ধরে। সমস্ত পথ আবহাওয়া ভাল থাকবে এ বিষয় নিশ্চিত হয়েই স্কার্দুর পথে যাত্রা করতাম।

উড়োজাহাজ নিয়ে টেক অফ করার পর পনেরো-বিশ মিনিট ফ্লাইট আকাশপথে চলার পর শুরু হলো সুউচ্চ পাহাড়-পর্বত শ্রেণী। কিন্তু সব তুষারাবৃত্ত। তার ওপর সূর্য কিরণ পড়ে অপূর্ব দৃশ্যের সৃষ্টি করেছিল। দূরে নাঙ্গা এবং হিন্দুকুশ পর্বতমালা দেখা যাচ্ছিল। আমি বিমুগ্ধ হয়ে বাইরের এমন সব দৃশ্য দেখছিলাম। এমন সময় হঠাৎ করে ক্যাপ্টেন কামাল আমাকে বললেন, ‘হোয়াই আর ইউ সিটিং লাইক এ প্রেগন্যান্ট ডাক? ইউ কান আসক্ মি সাম টেকনিক্যাল কোয়েশ্চেন।’ এবার তার কথাগুলো বাংলা তর্জমা করে লিখছি। তিনি আমাকে প্রশ্ন করলেন, বলতে পার এই প্লেনের ককপিটে কতটা সবুজ বাতি আছে?

আমি বললাম, কামাল তুমি খুব অল্প শিক্ষিত মানুষ। তা না হলে এমন সহজ প্রশ্ন করে না-কি? এ তো দশ-বারো বছরের একটি বাচ্চাও গুনে গুনে বলে দিতে পারে, ককপিটে কয়টা সবুজ বাতি আছে। আরও বললাম, কামাল ফ্লাইটের পরে আসো, চিফ পাইলটের অফিসে বসে আমি তোমাকে এরোপ্লেনের সব টেকনিক্যাল বুঝিয়ে বলব। এফ-২৭ এ্যারোপ্লেন যে টার্বো-প্রপেলার জেট ইঞ্জিন, পুরোপুরি জেট ইঞ্জিনের চেয়ে এর কি কি সুবিধা আছে? তোমার যা যা জানার আছে, সবই আমি তোমাকে বুঝিয়ে বলব। তুমি শুধু অল্প শিক্ষিতই না, তুমি অভদ্রও বটে। তুমি ফ্লাইট অপারেশন বিভাগের সকলের সামনে আমাকে যেসব অপমানজনক কথা বললে, আমার মনে হয় এতে করে কেউ তোমাকে ভদ্রলোক মনে করে নাই।

ক্যাপ্টেন কামাল আল কারিমী ভাবতে পারেনি যে তার কো-পাইলট তাকে অল্প শিক্ষিত এবং অভদ্রলোক বলবে? ফ্লাইট শেষ করে চলে আসার আগে, আমি আবার স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে শুরু করলাম। বললাম, স্যার, আমি কিন্তু চিফ পাইলটের অফিসে আপনার জন্য অপেক্ষা করব। আমি প্রায় আধ ঘণ্টা সময় চিফ পাইলটের অফিসে ক্যাপ্টেন কামালের জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। চিফ পাইলট মানুষ হিসেবে ভালই ছিলেন। তিনি আমাকে চা-বিস্কুট পরিবেশন করলেন। ক্যাপ্টেন কামাল কিন্তু চিফ পাইলটের অফিসে আসেননি। এরপরেও ক্যাপ্টেন কামাল আল কারিমীর সঙ্গে আমি ফ্লাইট করেছি। কিন্তু তিনি আর আমাকে এ্যারোপ্লেনের টেকনিক্যাল শেখাবার চেষ্টা করেননি। কামাল আল কারিমীর দুর্ব্যবহার থেকে আমি একটা শিক্ষাগ্রহণ করেছিলাম যে কেউ অপমানজনক ব্যবহার করলে তার যথাযোগ্য জবাব দিতে হয়।

॥ তিন ॥

পাকিস্তানের পুরনো দিনের কথা বাদ দিয়ে অদূর ভবিষ্যতে ওই দেশে কি হতে যাচ্ছে, তাই নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের অংশ হওয়ার পর তারা আমাদের চরমভাবে শোষণ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের দেশের সকল অর্থনৈতিক অবকাঠামো ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। যাতে করে আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে আর স্বনির্ভর হতে না পারি! বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, আমরা সবক্ষেত্রে এতটাই উন্নতি লাভ করেছি যে, বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করলে হতবাক হয়ে যেতে হয়।

গ্রীক নাট্যকার একই সঙ্গে ম্যারাথন যুদ্ধ অংশগ্রহণকারী অন্যতম সেনাপতি এসেকেলিয়াস ২৫০০ বছর আগে বলে গেছেন, ‘গবসড়ৎু রংঃযব সড়ঃযবৎ ড়ভ ধষষ শহড়ষিফবমব.’ যার স্মৃতিশক্তি যতটা বেশি হবে, তার জ্ঞানের পরিধি এবং দূরদৃষ্টিও তত বেশি হবে। বঙ্গবন্ধুর অলৌকিক স্মৃতি শক্তির কথা কাউকে বলতে হবে না। তাই তাঁর জ্ঞানেরও কোন সীমাবদ্ধতা ছিল না। আজ বাংলাদেশ যে সর্বক্ষেত্রে বিস্ময়কর রকমের উন্নতি অর্জন করেছে, তার প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রাথমিক নির্দেশনা বঙ্গবন্ধুই দিয়ে গিয়েছিলেন।

আজ পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা কতটা খারাপ তা আমাকে কষ্ট করে লিখতে হবে না। টাচফোনের গুগল বা ইউটিউব বাটন স্পর্শ করে সার্চ দিলেই সব জানা যাবে। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থার এমন দৈন্যদশা হলো কেন? কারণ হলো তাদের প্রতিরক্ষা বিভাগ, তাদের সেনাবাহিনী। পাকিস্তান সব সময় সামরিক শক্তির বিষয়ে ভারতের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে আসছে। ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত আমেরিকা থেকে প্রচুর সাহায্য লাভ করে তারা ভারতের সমকক্ষ ছিল। অর্থনীতির প্রতিটা সূচকে তারা ভারতের চেয়ে এগিয়ে ছিল। একাত্তর সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পর সব পাল্টে গেল। পূর্বাঞ্চলের উপনিবেশ হাত ছাড়া হওয়ায় পাকিস্তানের আর্থিক অবস্থা হলো নিম্নগামী। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী কিছুদিন চুপ থাকার পর আবার ওই দেশের সর্বময় ক্ষমতা অধিকার করে নিল। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাজেট বৃদ্ধি করে করা হলো দেশটির মোট জিডিপির ১২ থেকে ১৫ শতাংশ। এতে করে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা নিম্নমুখী হলো আরও দ্রুততর। ভারত প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করে জিডিপির প্রায় চার শতাংশ। ভারতের এই চার শতাংশ জিডিপিই পাকিস্তানের টোটাল জিডিপির ৪০ থেকে ৫০ শতাংশের সমান। কারণ, ভারত বৃহৎ দেশ। তার অর্থনৈতিক আয়তনও তেমনি বড়।

পাকিস্তান সেনাবাহিনী দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ কাশ্মীরের ভারতীয় অংশকে দখল করে পাকিস্তানের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। পাকিস্তানবাসীদেরও তেমনই ইচ্ছা। আমি মনে প্রাণে কামনা করি, কাশ্মীর সমস্যার যেন সমাধান না হয়। ভারতের সঙ্গে সামরিক শক্তির সক্ষমতা থেকে পাকবাহিনীর প্রচেষ্টা যেন অব্যাহত থাকে। তবেই পাকিস্তানের আর্থিক অবস্থা দ্রুততম বেগে নিম্নগামী হবে, যাকে বলা হয় স্পাইরাল ডাইভ (ঝঢ়রৎধষ উরাব)। তখন পাকিস্তানীরা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে দেখবে তাদের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থা কতটা উচ্চতায়?

লেখক : আলমগীর সাত্তার – বীর প্রতীক, সাবেক বৈমানিক।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ