1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

পদ্মা সেতু ও আামাদের উন্নয়ন

রফিকুল ইসলাম : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২

পদ্মাসেতু উদ্বোধনের দিন ক্রমশ এগিয়ে আসছে। বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে। আমরা এক কালোত্তীর্ণ সময় অতিক্রম করছি। কিছুকাল আগেও মফস্বলের জীবন ছিল দুর্বিষহ। লোকসংখ্যা কম ছিল কিন্তু শিক্ষার সুযোগ ছিল না, খাবারের নিশ্চয়তা ছিল না, গ্রামের পর গ্রাম বিদ্যুতের আলোহীন ছিল, মানুষ দুবেলার ভাত জোগাড় করতে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করতো, রাস্তাঘাট ছিল না, চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল না, গ্রামের পর গ্রাম মানুষ কলেরায় মারা যেত, পানীয় জলের ব্যবস্থা ছিল সীমিত, কার্তিক মাস আসলে মানুষ অনাহারে দিন কাটাত, অধিকাংশ মানুষ ছিন্নবস্ত্র পরিধান করত, মানুষের পায়ে জুতা ছিল না, নৌকা, গরুর গাড়ি ছিল যোগাযোগের অন্যতম পরিবহন।

সামান্য খাবারের বিনিময়ে দরিদ্র বাবা মা তার সন্তানকে গৃহস্থালি কাজে অন্যের বাড়িতে নিয়োজিত করত, দরিদ্র মানুষের কোনো অধিকার সুযোগ-সুবিধা ছিল না। জোতদার বা ভূস্বামীদের দয়া ছিল অধিকাংশের জীবন কাটানোর উপায়। নিকট অতীতেও সার ও বিদ্যুতের দাবিতে কৃষককে জীবন দিতে হতো, জঙ্গিবাদের উত্থান এবং ৬৪ জেলায় একযোগে বোমা হামলা, জনসভায় বোমা মেরে নেতাদের হত্যা, সিএইচটিতে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তৎপরতা ইত্যাদি নিত্য ঘটনা ছিল। আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে এগিয়ে চলেছে।

মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, প্রতিটি মানুষের জন্যপুষ্টির সুযোগ বেড়েছে, ঘরে ঘরে বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা হয়েছে, সুন্দর রাস্তাঘাট হয়েছে, অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হয়েছে, শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে, মানুষ অধিকার সচেতন হয়েছে, উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে, মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে, পশু সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে, মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। সারা পৃথিবীর বড় বড় গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের সমৃদ্ধি এবং উন্নয়নের প্রশংসা করছে। এই অর্জন ও প্রাপ্তিগুলোকে আমরা অস্বীকার করতে পারি না। বাঙালি হাজার বছরের ইতিহাসে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ কখনই এত বেশি স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করতে পারেনি। এই পরিবর্তনগুলো আমরা অনেকেই অস্বীকার করতে চাই।

একটি বাস্তব উদাহরণ বর্তমান পরিস্থিতিকে ব্যাখ্যা করতে সহায়তা করতে পারে। আমাদের ছোটবেলায় আমরা একটা চকোলেট পেলে খুশিতে ধেই ধেই করে উঠতাম। ধন্য ধন্য করে বাড়ি মাত করতাম। সেই একই ব্যক্তি আজ তার সন্তানের জন্য দুনিয়ার সকল আয়োজন করার পরও ধন্যবাদ পাচ্ছেন না বরং তার শিশু সন্তান মনে করছে এটি তার অধিকার, বাবা-মা’র এটি কর্তব্য। কি আশ্চর্য ব্যাপার? এতো নার্সিসিজম। সবকিছু তাকে কেন্দ্র করে হতে হবে। এই অবস্থার পরিণতি কোথায়? রাষ্ট্রীয় জীবনেও আমরা আজ এমন একটা পরিস্থিতির কারণে এতো পরিবর্তন ও প্রাপ্তি আমাদের সন্তুষ্ট করতে পারছে না।

লেখক : রফিকুল ইসলাম – প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ