1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

এবার কেন ব্যর্থ হলো ইসরায়েলের গর্বের ‘আয়রন ডোম’?

নিউজ এডিটর : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৩

ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস হঠাৎ করেই হামলা করে বসে ইসরায়েলে। দেশটিতে বিপুল সংখ্যক রকেট হামলা চালায় তারা। ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ নামের এই অপারেশনে ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় মাত্র ২০ মিনিটে ৫ হাজারের বেশি রকেট ছোড়ে তারা।

রকেট হামলা চালানোর সঙ্গে সঙ্গেই সক্রিয় হয় ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’। আয়রন ডোমকে বিশ্বের অন্যতম সেরা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে ধরা হয়। হামাসের ছোড়া রকেট মাঝ আকাশে ধ্বংস করতে থাকে ইসরায়েলের ‘আয়রন ডোম’। তবে এবার হামাসের রকেট হামলার মাত্রা ছিল নজিরবিহীন। তাই গাজা থেকে ছোড়া অনেক রকেট ইসরায়েলের আয়রন ডোমের প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে সক্ষম হয়। এ কারণে ইসরায়েলে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামাসের হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় গাজায় ২৩০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। উভয় পক্ষে আহত হয়েছেন হাজারো মানুষ।

আয়রন ডোম আসলে কী?

এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানায়, আয়রন ডোম হলো ভূমি থেকে আকাশে ছোড়ার একটি স্বল্পপাল্লার (শর্ট রেঞ্জ) আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। স্বল্পপাল্লার রকেট, মর্টার, আর্টিলারি শেল ও ড্রোন হামলা মোকাবিলা করতে পারে আয়রন ডোম। ইসরায়েলের এই আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার পরিসীমা প্রায় ৭০ কিলোমিটার। এই ব্যবস্থায় তিনটি কেন্দ্রীয় উপাদান আছে, যা নিয়ে একটি আয়রন ডোম ইউনিট গঠিত।

আয়রন ডোম ব্যবস্থার কেন্দ্রীয় উপাদান তিনটি হলো—রাডার ব্যবস্থা (ডিটেকশন-ট্র্যাকিং রাডার), কন্ট্রোল ব্যবস্থা (ব্যাটল ম্যানেজমেন্ট-উইপনস কন্ট্রোল) ও মিসাইল ফায়ারিং ব্যবস্থা। প্রতিটি মিসাইল ফায়ারিং ব্যবস্থায় ২০টি তামির ক্ষেপণাস্ত্র থাকে।

২০২১ সালে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের প্রেক্ষাপটে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ইসরায়েলের রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমস ও ইসরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ আয়রন ডোম তৈরি করেছে। আয়রন ডোম তৈরির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকেও কিছু সহায়তা পেয়েছে ইসরায়েল।

এনডিটিভি জানায়, আয়রন ডোম তৈরির প্রেক্ষাপট ২০০৬ সালে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ। এই যুদ্ধের সময় হিজবুল্লাহ হাজারো রকেট হামলা চালায় ইসরায়েলে। হিজবুল্লাহর রকেট হামলায় ইসরায়েলের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

হিজবুল্লাহর সঙ্গে এই যুদ্ধের পর ইসরায়েল ঘোষণা দেয়, তারা একটি নতুন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে যাচ্ছে। ২০১১ সালে ইসরায়েল প্রথম আয়রন ডোম মোতায়েন করে।

আয়রন ডোম যেভাবে কাজ করে

ইসরায়েলের দিকে ধেয়ে আসা রকেটকে চিহ্নিত ও তার গতিপথ শনাক্ত করে আয়রন ডোমের রাডারব্যবস্থা। এই তথ্য পাঠানো হয় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণব্যবস্থায়। অস্ত্র নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা রকেটের গতিপথ, গতি ও সম্ভাব্য নিশানা দ্রুত শনাক্ত করে।

যদি ধেয়ে আসা রকেট জনবহুল এলাকা বা কৌশলগত স্থাপনার দিকে যেতে থাকে, তাহলে আয়রন ডোমের লঞ্চার স্বয়ংক্রিয়ভাবে তামির ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। এই ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধেয়ে আসা রকেটকে ধ্বংস করে।

ইসরায়েলের রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমসের দাবি, আয়রন ডোমের সাফল্য ৯০ শতাংশ। এই ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত ২ হাজারের বেশি রকেট আকাশে ঠেকিয়ে দিয়েছে।

এবার কেন ব্যর্থ? 

আয়রন ডোমকে প্রায় নিখুঁত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা মনে করা হচ্ছিল। হামাসের ছোড়া রকেট ঠেকানোর ক্ষেত্রে আয়রন ডোমকে অপ্রতিরোধ্য মনে করা হচ্ছিল।

তবে কয়েক বছর ধরে আয়রন ডোমের দুর্বলতা খুঁজে বের করার চেষ্টা করে আসছিল হামাস। এ ক্ষেত্রে তারা অল্প সময়ের মধ্যে মুহুর্মুহু রকেট ছুড়ে এই ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে অনেকাংশে সফল হয়েছে। এই যেমন এবার মাত্র ২০ মিনিটে ৫ হাজারের বেশি রকেট ছোড়ে হামাস। যার ফলে সব রকেট ঠেকাতে ব্যর্থ হয় আয়রন ডোম।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ