পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনে জঙ্গি হামলার থ্রেট নেই বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন।
বুধবার (২৮ জুন) সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, এখনো জঙ্গি হামলার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো থ্রেট নেই। তবে আমরা সব পর্যায়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রেখেছি।
তিনি বলেন, ঈদে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। প্রত্যেকটি ব্যাটালিয়নের নিজ নিজ আওতাভুক্ত এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে। জাতীয় ঈদগাহের মতো বিভিন্ন জায়গায় ৩৬০ ডিগ্রি সিসি ক্যামেরা রয়েছে, যার মাধ্যমে কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বিক পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে।
এছাড়া, আমাদের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াড ও হেলিকপ্টার সবসময়ের মতো এবারও প্রস্তুত থাকবে। যাতে যেকোনো পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিকভাবে তারা সাড়া দিতে পারেন।
র্যাব ডিজি বলেন, যারা নাড়ির টানে গ্রামে যাচ্ছেন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে র্যাবের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গাবতলীতে গরু মোটাতাজকরণ পশু বিক্রি, অজ্ঞান পার্টি ও ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে অনেককে জরিমানা ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য গরুর হাট ও দেশের অন্যান্য ঈদগাহে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যাবস্থা থাকবে। ইউনিফর্ম এবং সাদা পোশাকে র্যাব সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি আরও বলেন, ঢাকামুখী যেসব পশুবাহী গাড়ি আসে, দেখা যায় অনেক সময় চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে আমাদের নজরদারি ছিল। তাই মনে হয় এ বছর তেমন কোনো অভিযোগ আসেনি। অনলাইনে পশু কেনাবেচার অনিয়মের বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।
ফাঁকা ঢাকায় বাসাবাড়ি ও শপিংমলের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকবে। সদর দপ্তরের কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে, তথ্য পেলে সঙ্গে সঙ্গে ওয়ার্কআউট করা হবে।